ক্রেতারা তেলের উচ্চমূল্যে হিমশিম খাচ্ছেন

সয়াবিন তেলের নতুন নির্ধারিত মূল্য কার্যকর হলেও রাজধানীর বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট কাটেনি। আবার তেল পাওয়া গেলেও উচ্চমূল্যের কারণে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে বাজারে অভিযানে এসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের দাবি, ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

অবশেষে গায়ে নতুন দামের লেবেল সেঁটে বাজারে আসতে শুরু করেছে ভোক্তাদের নাজেহাল করা বোতলজাত সয়াবিন তেল। গত বৃহস্পতিবার এক লাফে লিটারে ৩৮ থেকে ৪৪ টাকা দাম বাড়ানোর দুইদিন পর রোববার খুচরা বিক্রেতা, পাইকার আর কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানালেন, দাম নির্ধারণ নিয়ে ঝামেলা কেটে যাওয়ায় তেলের সরবরাহ বাড়ছে।

বাজারে তেলের সয়লাব মন্তব্য করে একজন সয়াবিন তেল বিক্রেতারা বলেন, ঈদের পর তেলের সরবরাহে সংকট ছিল। তবে এখন মোটামুটি সরবরাহ হচ্ছে। পুষ্টি কোম্পানি ৫ লিটার ও এক লিটার বোতলজাত তেল দিয়েছে। এ ছাড়া ফ্রেস কোম্পানি থেকে ৫ লিটারের বোতলজাত তেল পেয়েছি।

তবে পুরানো দামের তেল নতুন দামে বিক্রি করার অভিযোগের সত্যতাও মিলল কারওয়ানবাজারে।

এদিকে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ বাড়লেও আগের মতোই খোলা সয়াবিন ও পামতেলে সংকটে রয়েছে। খোলা সয়াবিন না বিক্রি করার বিষয়ে একজন তেল বিক্রেতা বলেন, সরকার খোলা তেলের যে দাম নির্ধারণ করেছে, তা থেকে অনেক বেশি দামে কিনে আনতে হয়। এ জন্য আমরা খোলা তেল আনছি না।

বাজারে তেলের দেখা পেলেও দামের কারণে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। উচ্চ দামে নাজেহাল ক্রেতারা বলেন, এ তো অসহনীয় দাম। আমরা তো তেল কেনা নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকি যে তেল কীভাবে কিনব। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য এ দাম অনেক বেশি।

এদিকে রোববার দুপুরে ঢাকার কারওয়ানবাজারে বাজারের অবস্থা দেখতে এসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের দাবি, সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুর জব্বার মণ্ডল বলেন, মিল থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে তেলের মজুত স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যাওয়ায় সরকারের সঙ্গে দেন দরবার করে মূলত এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভোক্তা অধিদফতরের কাজ হচ্ছে, তদারকি করা যে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের মধ্যে তেল বিক্রি করা হচ্ছে কি না।

এসএইচ-২২/০৮/২২ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : সময়)