প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আমেরিকার যে ডিগ্রি অর্জন ফাহিমের

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আমেরিকা থেকে রেজিস্ট্রার্ড বিহেভিয়ার টেকনিশিয়ান সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন আমীরুল ইসলাম ফাহিম। এতে সহায়ক হবে দেশের অটিজম নিয়ে কাজ করতে।

উচ্চ শিক্ষা নিতে বাড়ির আঙ্গিনা ছেড়ে জেলা ও দেশ পাড়ি দেওয়া নতুন কিছু নয়। তবে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশি নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা নিতে হলে পোড়াতে হয় অনেক কাঠখড়। বিদেশে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের রয়েছে অনেক সুনাম।

তবে সুদূর আমেরিকা থেকে উচ্চ শিক্ষা অর্জনকারীদের মধ্যে বাংলাদেশের আমীরুল ইসলাম ফাহিম ব্যতিক্রম। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আমেরিকা থেকে রেজিস্ট্রার্ড বিহেভিয়ার টেকনিশিয়ান সার্টিফিকেট অর্জন করেন।

২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ফাহিম বর্তমানে আমেরিকাতে ইন্টারন্যাশনাল ফেলো হিসেবে একটি ফেলোশিপ প্রোগ্রামে আছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশে বিহেভিয়ার থেরাপিস্ট হিসেবে আড়াই বছর কর্মরত ছিলেন। কক্সবাজারের চকরিয়া থানার পূর্ব বড় ভেওলায় বেড়ে ওঠা ফাহিমের বাবা নূর মোহাম্মদ ও মাতা খালেদা পারভীন। সাত ভাই-বোনের মাঝে তিনি ষষ্ঠ।

বিদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কে ফাহিম সময় সংবাদকে জানান, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সার্টিফাইট আরবিটি হতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। তার উচ্চ শিক্ষার বিষয় নিয়ে তিনি জানান, আরবিটি বা রেজিস্ট্রার্ড বিহেভিয়ার টেকনিশিয়ান হলো অ্যাপ্লাইড বিহেভিয়ার অ্যানালাইসিস বা এর ওপর ইন্টারন্যাশনাল প্রোফেশনাল সার্টিফিকেশন। যা শুধু আমেরিকার বিহেভিয়র অ্যানালাইটস সার্টিফিকেশন বোর্ড দিয়ে থাকে।

যারা এবিএ থেরাপি নিয়ে কাজ করছেন তাদের এ বোর্ডের মাধ্যমে সার্টিফাইট হতে হয়। এ বোর্ডের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য হলো এবিএ থেরাপির কাজ করা, কারণে যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করা এবং ইথিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখা।

গত আগস্ট ২০২১ তারিখ থেকে ফাহিম অ্যান্ডারসন সেন্টার ফর অটিজমে এ কোর্সের জন্য নিবন্ধন করেন। দীর্ঘ কোর্স ওয়ার্কের পর এপ্রিল ২০২২ এ পরীক্ষার মাধ্যমে কোর্সটি সম্পন্ন হয়।

এই প্রশিক্ষণ শেষ করার পর দেশে ফিরে অর্জিত জ্ঞান যথাযথ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন বলে জানান ফাহিম। যা অটিজম এবং অন্যান্য ডেভেলপমেন্ট ডিজেবিলিটি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুদের জন্য আরও উন্নত সাপোর্ট দেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে। ফাহিমের আশা, তার এ সফলতা আরও বাংলাদেশিদের এ ধরনের আন্তর্জাতিক মানের কোর্সের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে আগ্রহী করবে।

এসএইচ-১১/১৭/২২ (অনলাইন ডেস্ক)