কিসের শুটিং করলেন কোহলি?

পেরাম্বুলেটর ঠেলে এগোচ্ছিলেন এক ভারতীয় মহিলা। চিনি তঁাকে। ইনি একদা ছিলেন দীনেশ কার্তিকের স্ত্রী। তারপর ছাড়াছাড়ি হয়। প্রেমে পড়েন মুরলী বিজয়ের সঙ্গে। এবং তঁাকে বিয়ে করেন। সন্তান হয়। ক্রিসমাস ছুটির আগে ফ্লিন্ডার্স স্ট্রিট স্টেশনে পৌঁছনোর জন্য যে ছোট, সরু গলতা রয়েছে, সেখানেই দেখলাম তঁাকে। শিশুপুত্রটি ঘুমোচ্ছে। ঠিক তঁার পেছনেই মুরলী বিজয়। কালো রোদচশমায় চেনা যায় না। তিনি আরেক পুত্রকে কঁাধের ওপর বসিয়ে দিব্যি হেঁটে যাচ্ছিলেন।

ওই ভিড়ের মধ্যে শুভেচ্ছা জানানো ছাড়া কথাবার্তা এগোনো ছিল কঠিন। আরেকটু এগোতেই দেখি, বড় রাস্তার চওড়া ফুটপাথে রবীন্দ্র জাদেজা সপরিবারে ঘুরতে বেরিয়েছেন। এভাবেই শনিবার ভারতীয় ক্রিকেটাররা নিজেদের মতো করে ছুটি কাটালেন। তবে প্রত্যেককেই জিমন্যাসিয়ামে সময় কাটাতে হয়েছে। সকাল সকাল জিমন্যাসিয়ামে দেহচর্চা করে বেরিয়ে পড়েছিলেন সবাই। এরই মাঝে প্রস্তুতি চলছে বক্সিং ডে টেস্টের। ৪ দিনের ছুটি হুস করে কেটে গেল। রবিবার সকাল থেকেই পূর্ণোদ্যমে অনুশীলন শুরু করবে ভারতীয় শিবির।

সকাল থেকে হা‌পিত্যেশ করে ল্যাংহ্যাম হোটেলের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন প্রচুর ভারতীয়। সবাই একঝলক দেখতে চাইছিলেন বিরাট কোহলিকে। ওঁরা খেঁাজ নিলেন দ্বাররক্ষীর কাছে, ম্যাডাম অনুষ্কা এসেছেন কিনা। তাহলে তো একসঙ্গে দুজনকে পাওয়া যাবে। সবাই হতাশ হলেন এ কথা জেনে যে, অনুষ্কা আসেননি এখনও পর্যন্ত, আর বিরাট সেই সকালবেলা বেরিয়ে গেছেন।
সত্যিই?‌

আজ্ঞে হ্যঁা। শুটিংয়ের কাজে বিরাটকে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল সকালেই। তবু জনতা কিন্তু নড়েনি। ওঁদের হাতেই আধুনিকতম ফোনে বার্তা:‌ হার্দিক পান্ডিয়া নিজের ছবি পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। তিনি জিমন্যাসিয়ামে ব্যস্ত। সঙ্গে বার্তা— জেটল্যাগকে কলা দেখিয়ে দেখুন আমি দিব্যি কেমন শরীরচর্চা করছি।

বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া দল শনিবার সন্ধে পর্যন্ত এ শহরে এসে পৌঁছয়নি। ওরা অবশ্য থাকবে অন্য হোটেলে। গত ১০–‌১৫ বছর ধরে, এটাই নিয়ম। ভারতকে যে হোটেলে রাখা হচ্ছে, সেই হোটেলে রাখা হয় না অস্ট্রেলিয়া দলকে। স্টিভ ওয়া, রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়াকে দেখেছি, ইয়েরা নদীর ওপারে অন্য একটি হোটেলে থাকতে। এবারও সেই নিয়ম।

এবার মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার সব ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফরা আসবেন সপরিবারে। বান্ধবী–‌সহ। এবং ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে ক্রিসমাসে লাঞ্চে মিলিত হবেন সবাই। এটাই কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের ট্র‌্যাডিশন। এ কারণে বড়দিনে সকাল সকাল অনুশীলন করে ওঁরা হোটেলে ফিরে যাবেন। যাতে দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত একসঙ্গে কাটাতে পারেন।

পুনশ্চ:‌ শিরিস কাগজ বিতর্কে জড়ানোর পর স্মিথ, ওয়ার্নারদের শাস্তি চলবে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত। আর ওই ঘটনার তৃতীয় অপরাধী ব্যানক্রফ্টের শাস্তি ছিল ৯ মাসের জন্য। যা শেষ হয়ে যাচ্ছে ডিসেম্বরে। স্মিথের মতোই ব্যানক্রফ্টও অনুতপ্ত হওয়ার কথা জানালেন চোখের জলে। জাতীয় দলে ফিরতে চাইছেন। তবে শুরু করছেন বিগ ব্যাশে পার্থ স্কচার্সের হয়ে শিগগিরই।‌‌

এসএইচ-১৩/২৩/১৮ (স্পোর্টস ডেস্ক)