বোলিংয়ের পরীক্ষা দিতে হবে ‘হ্যাটট্রিকম্যান’ আলিসকে

বিপিএলে অভিষেকেই ঝড় তুলে দিয়েছেন ঢাকা ডাইনামাইটসের স্পিনার আলিস ইসলাম। এবারের আসরে প্রথম কোনো হ্যাটট্রিকের ঘটনা ঘটালেন ঢাকার নেট বোলার থেকে মুহূর্তেই ‘নায়কে’ পরিণত হওয়া এই স্পিনার। কিন্তু হ্যাটট্রিকের মধুর স্মৃতি নিয়ে মাঠ ছাড়ার পরই জানলেন, তার বিরুদ্ধে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ এনেছে রংপুর রাইডার্স।

ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব বড় পরিসরে কখনও খেলা হয়নি সাভার থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটারের। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে দু’একটা ম্যাচ খেলেছেন। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তো এর আগে কখনও খেলাই হয়নি তার। এমন অবস্থায় ঢাকা ডায়নামাইটসের নেট বোলার থেকে চলে আসলেন সোজা একাদশে।

তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে যে কয়টি ম্যাচ খেলেছেন, তখনই তার বিরুদ্ধে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সেটা পরে শুধরে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স যে সন্দেহজনক অ্যাকশনের অভিযোগ তুলেছে আলিস ইসলামের বিপক্ষে সেটাকে আমলে নিয়েছে বিসিবি।

মাঠে খেলা চলাকালীন সময়ে আম্পায়ার কিংবা রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফিসহ কেউই তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তোলেননি। কিন্তু ম্যাচ শেষে আলিস ইসলামের প্রতিটি বলের অ্যাকশন অবৈধ বলে রংপুরের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়।

এ নিয়ে বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস রোববার নিশ্চিত করেছেন, আলিসের বোলিং অ্যাকশনের বিষয়টি আম্পায়ারদের রিপোর্টেও উঠে এসেছে। তিনি বলেন, ‘মাঠের আম্পায়ারদের প্রতিবেদনেও বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। তাতে পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা প্রমাণ করতে হবে আলিসকে। অন্যথায় নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হবে তার বোলিংয়ের ওপর।’

খালি চোখেই নাকি আলিসের অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ মনে হয়েছে। শুধু ‘দুসরা’ই নয়, সব ধরনের বলেই সেটা বোঝা গেছে। বিষয়টা জানিয়ে বিসিবি পরিচালক এবং বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘ওর সব বলের অ্যাকশনই আম্পায়ারদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা ঢাকা ডায়নামাইটসকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়েছি। প্রক্রিয়া মেনেই এখন হবে পরবর্তী কার্যক্রম।’

কি প্রক্রিয়ায় হবে পরবর্তী কার্যক্রম? জানতে চাইলে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমাদের বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির নিয়মটা সব ঘরোয়া প্রতিযোগিতার জন্য। সে নিয়ম অনুসারে, কারো ব্যাপারে আম্পায়ার প্রশ্ন তুললে পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে তাকে আমাদের সামনে পরীক্ষা দিতে হয়। সেখানে যদি দেখি অ্যাকশন ঠিক আছে, তাহলে খেলা চালিয়ে যেতে সমস্যা নেই। আর অ্যাকশনে সমস্যা থাকলে সেটি পুনর্বাসনের মাধ্যমে ঠিক করতে হবে। আলিসের বেলায়ও এ নিয়ম প্রযোজ্য।’

এই ১৪ দিনের মধ্যে আলিস ইসলামের খেলায় অবশ্য কোনো বাধা নেই। জালাল ইউনুস বলেন, ‘এ দুই সম্পাহ সে খেলতে পারবে।’

এসএইচ-১১/১৩/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)