মেসিকে হারের কারণ দর্শাতে হয়!

দলের হারের জন্য ব্যর্থতার দায় চাপিয়ে লিওনেল মেসিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো? হারের ব্যাখ্যা চাওয়া বা প্রশ্নবানে জর্জরিত করা? এমন দুঃসাহস কখনোই কারো ছিল না বা দেখানোর সাহস কেউ করেননি।

তবে সময় বদলে গেছে। এখন মেসিকেও দলের হারের কারণ দর্শাতে হয় একজনের কাছে। দাঁড়াতে হয় কাঠগড়ায়। বিদ্ধ হয়ে হতে হয় সমালোচনার বাণে। বাধ্য হয়ে হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে হয়!

বিশ্বসেরা মেসির কাছে হারের কারণ দর্শাতে বলেন, কে সেই দুঃসাহসিক ব্যক্তি? তিনি মেসিরই বড় ছেলে থিয়াগো। হ্যাঁ, ৬ পেরিয়ে ৭-এ পা দেওয়া থিয়াগো এখন মেসির ঘরের শত্রু বিভীষণের ভূমিকায়। বলতে পারেন, থিয়াগোই এখন মেসির সবচেয়ে বড় সমালোচক।

দুনিয়ার আর সব সমালোচকের সমালোচনা এড়াতে পারলেও ছেলে থিয়াগোর কাছ থেকে তার নিস্তার নেই। রেহাই পান না। দল খারাপ করলে থিয়াগোর কাঠগড়ায় ঠিকই দাঁড়াতে হয় তাকে। ম্যাচ হারলে আসামির বেশে ঘরে ফিরলে জর্জরিত হতে হয় নানা প্রশ্নে।

বিচারকের ভূমিকা নিয়ে থিয়াগো একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দেন, কেন ম্যাচ হারলে? কেন জিততে পারলে না? কেন গোল করতে পারলে না? ওয়ার্ল্ড সকার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৫ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি নিজেই বলেছেন, ছেলে থিয়াগোই তার বড় সমালোচক। ছেলের কাছে পইপই করে হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে হয় তাকে।

৩১ বছর বয়সী মেসি কথা যা বলেন, মাঠেই বলেন। ঈশ্বর প্রদত্ত সোনার পা জোড়া দিয়ে। মাঠের বাইরে মেসি ফুটবল নিয়ে কথা কমই বলেন। বিশেষ করে বাসায় ফিরে ফুটবলের আলোচনা একদমই করতেন না। কিন্তু এখন নিয়ম করেই ছেলের সাথে জমাতে হয় ফুটবলের আড্ডা। গিলতে হয় নানা ছবক। ম্যাচ হারলে তো সাজতে হয় আসামিই।

বয়স মাত্র ৬ হলেও মেসির দাবি, থিয়াগো এরই মধ্যে ফুটবলের পণ্ডিত বনে গেছেন, ‘সে ফুটবলটা বেশ ভালোই বুঝে। আমার ছেলেদের মধ্যে সেই সবার বড়। ফুটবলের সব কিছু নিয়েই সে আলোচনা করে।’ এরপরই বলেছেন আসল কথাটা, ‘এরই মধ্যে আমাকে অনেকবার তার সমালোচনা শুনতে হয়েছে।

ক্লাব বার্সেলোনা, লা লিগা, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ—সবিকছুই সে খুব মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করে। সে খেলা দেখতে খুবই ভালোবাসে এবং নানা রকম প্রশ্ন করে। আমরা যখন ভালো করতে না পারি, যদি হেরে যাই, সে আমার দিকে আঙুল তোলে। কারণ দর্শাতে বলে।’

থিয়াগো ছাড়াও আরও দু’টি ছেলে আছে বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকার। তবে মাতেও ও সিরো এখনো বয়সে অনেক ছোট। ফুটবলের ব্যাপার-স্যাপার এখনো মাথায় তাদের ঢোকেনি। যেদিন ঢুকবে, ম্যাচ হেরে মেসি হয়তো ঘরেই ঢুকতে পারবেন না!

এসএইচ-০৭/২৯/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)