জয়ে রাঙাল সিলেট

এক দলের সেরা চারে থেকে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত হয়েছে আগেই। আরেক দল ছিটকে গেছে প্লে-অফের লড়াই থেকে। নিয়মরক্ষার ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসকে ২৯ রানে হারিয়ে শেষটা জয়ে রাঙাল সিলেট সিক্সার্স।

মিরপুরে শুক্রবার আগে ব্যাট করতে নেমে আন্দ্রে ফ্লেচারের ফিফটিতে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করেছিল সিলেট। জবাবে ১৩৬ রানেই গুটিয়ে যায় চিটাগং। ৪ উইকেট নেন ইবাদত হোসেন।

এই ম্যাচ হারায় চিটাগংয়ের আর সেরা দুইয়ে থাকা হচ্ছে না।১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে তারা। পাঁচ জয় ও সাত হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে থেকে বিপিএল শেষ করল সিলেট।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১৪ রানে ব্যক্তিগত ১ রানে ফেরেন আফিফ হোসেন। বেশিক্ষণ টেকেননি ইংলিশ ব্যাটসম্যান জেসন রয়ও (১১)। দুজনই প্রথম ম্যাচ খেলে নামা দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার হার্ডাস ভিজনের শিকার।

এরপর বলতে গেলে দলকে প্রায় একাই টেনেছেন আন্দ্রে ফ্লেচার। মাঝে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ নওয়াজ। তৃতীয় উইকেটে সাব্বিরের সঙ্গে ৬৫ ও চতুর্থ উইকেটে নওয়াজের সঙ্গে ৫১ রানের দুটি জুটি গড়েন ফ্লেচার।

সাব্বির ২৫ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় করেন ৩২ রান। নওয়াজ ১৯ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৩৪। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন ফ্লেচার। ৫৩ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান।

চার ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে চিটাগংয়ের সেরা বোলার ভিজন। তিন ওভারে ১৪ রানে একটি উইকেট নেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান।

লক্ষ্য তাড়ায় চিটাগংয়ের শুরুটাও ভালো হয়নি। ৩ রানের মধ্যেই তারা হারায় দুই ওপেনারকে। প্রথম দুই ম্যাচ মিলে ২৫ রান করে বাদ পড়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তিনি এদিন একাদশে ফেরেন ৯ ম্যাচ পর। কিন্তু ব্যর্থ এদিনও।

ফিল্ডিংয়ের সময় পরপর দুই বলে একই জায়গায় সহজ দুটি ক্যাচ ফেলেছিলেন। পরের ব্যাট হাতে রানের খাতাই খুলতে পারেননি আশরাফুল। তাসকিন আহমেদের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। আরেক পেসার ইবাদত হোসেনের শিকার ক্যামেরন ডেলপোর্ট।

দলকে ৪৫ পর্যন্ত টেনে নেন ইয়াসির আলী ও অধিনায়ক মুশফিক। ২৭ রান করা ইয়াসির জেসন রয়ের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। লেগ স্পিনার অলক কাপালিকে পুল করেছিলেন ইয়াসির। ডিপ মিড উইকেটে কিছুটা দৌড়ে গিয়ে শরীররা শূন্যে ভাসিয়ে ডাইভ দিয়ে এক হাতে ক্যাচ নেন রয়।

এরপর মুশফিক, মোসাদ্দক হোসেন চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দলকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিতে পারেননি। মুশফিক ব্যক্তিগত ৪৮ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউট হওয়ার পরই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চিটাগং। ৩২ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ইনিংসটি সাজান মুশফিক। মোসাদ্দেক করেন ২৫ রান। সিকান্দার রাজা, দাসুন শানাকা দুই অঙ্কেই যেতে পারেননি।

১৭ রানে ৪ উইকেট নেন ইবাদত। ২২ রানে ২ উইকেট নেন ওয়েইন পারনেল। দুই ওভারে ১০ রানে একটি উইকেট পাওয়া তাসকিন আহমেদ ফিল্ডিংয়ের সময় চোট নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যান। তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালেও।

এসএইচ-২০/০১/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)