ঢাকার সামনে ১৩৬ রানের টার্গেট চিটাগংয়ের

ম্যাচটি দুই দলের জন্যই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ খেলায় যারা হারবে তাদের শেষ হয়ে যাবে এবারের বিপিএল। জয়ী দল সুযোগ পাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে খেলার। সেই লক্ষ্যে ঢাকা ডায়নামাইটসকে –রানের টার্গেট দিতে সক্ষম হলো চিটাগং ভাইকিংস।

বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের এলিমিনেটরে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেন চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ফলে আগে বোলিং শুরু করে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় চিটাগং। রুবেল হোসেনের অসাধারণ রিভার্স সুইংয়ে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন ইয়াসির আলি।

দ্বিতীয় উইকেটে সাদমান ইসলামকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। তবে হঠাৎই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি। রানআউটে কাটা পড়েন দুর্দান্ত খেলতে থাকা ডেলপোর্ট। ফেরার আগে ২৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ রানের ক্যামিও খেলেন তিনি। কাজী অনিক ও নুরুল হাসানের যৌথ প্রচেষ্টায় সাজঘরে ফেরেন এ ইনফর্ম ওপেনার।

পরে খেলা তৈরির চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। সুনিল নারাইনের বলে প্লেড-অন হয়ে ফেরেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। এতে পথ হারায় বন্দরনগরীর দল। ডেলপোর্টকে রানআউট করেছিলেন সাদমান। কিন্তু এর ঋণ শোধ করতে পারেননি তিনি।পরক্ষণেই শুভাগত হোমকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে নারাইনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন সাদমান। ড্রেসিংরুমের পথ ধরার আগে ১৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করেন এ বাঁহাতি।

এরপর দাসুন শানাকাকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন মোসাদ্দেক হোসেন। তবে তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার মতো সমর্থন জোগাতে পারেননি শানাকা। কাজী অনিকের বলে সোজা বোল্ড হয়ে তিনি ফিরলে বিপর্যয়ে পড়ে চট্টলার দলটি। এ পরিস্থিতিতে নিজের কারিশমা দেখাতে পারেননি চার ম্যাচ পর ইনজুরি থেকে ফেরা রবি ফ্রাইলিংক। নারাইনের বলে শুভাগত হোমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। সেই রেশ না কা্টতেই এ মায়াবি স্পিনারের এলবিডব্লিউর ফাদেঁ পড়ে ফেরেন হারদুস ভিলজোন।

মুশফিক বাহিনীকে এত কম রানে বেঁধে রাখার জন্য কৃতিত্ব পাবেন ঢাকার সব বোলার। তবে বিশেষ করে পাবেন সুনিল নারাইন। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

এসএইচ-০৭/০৪/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)