দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচের পরই পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ জানিয়ে দিয়েছিলেন দলের সেরা পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে তিন ম্যাচে খেলানো বেশ কঠিনই হবে। যার প্রমাণ মেলে প্রথম ম্যাচের একাদশেই।
হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচেই একাদশের বাইরে রাখা হয়েছে মুস্তাফিজকে। যার ফলও যেনো ভুগতে হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত ১১৮ ওভার বোলিং করে নিউজিল্যান্ডের মাত্র ৪টি উইকেট তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ।
যার তিনটিই নিয়েছেন দুই পার্টটাইমার সৌম্য সরকার এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অন্য উইকেটের পাশে মেহেদি হাসান মিরাজের নাম। একাদশের তিন পেসার ইবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহী এবং খালেদ আহমদ সম্মিলিতভাবে ৬৬ ওভার বোলিং করে ২২৬ রান দিয়েও কোনো উইকেট নিতে পারেননি।
তাই অবধারিতভাবেই অনুভূত হয়েছে মুস্তাফিজের অভাব। কিন্তু কেনো নেয়া হলো না বাঁহাতি এ কাটার মাস্টারকে? খেলার দ্বিতীয় দিন শেষে জবাব দিয়েছেন প্রধান স্টিভ রোডস। যা অবিকল ওয়ালশের কথারই পুনরাবৃত্তি।
রোডস বলেন, ‘ফিজের ব্যাপারে সমস্যাটা হলো যে টানা তিন ম্যাচে তাকে খেলানোটা বেশ কঠিন একটি সিদ্ধান্ত। মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবেও তার সেরাটা পাওয়ার জন্যই মূলত বিশ্রাম দেয়া। তবে আপনারা ধরে নিতে পারেন যে পরের ম্যাচেই ফিজের ফেরার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে।’
এই যখন রোডসের ভাষ্য তখন চলে আসে নতুন আলোচনা। যদি বিশ্রামই হয় কারণ তাহলে প্রথম ম্যাচ খেলিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে কিংবা তৃতীয় ম্যাচেও তাকে রাখা যেত একাদশের বাইরে। তা না করে সিরিজ শুরুতেই সেরা বোলারকে রেখে নেমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কতোটা যুক্তিযুক্ত?
এমন প্রশ্নের জবাবে রোডস জানালেন হ্যামিল্টনের কন্ডিশনের কথা। তিনি বলেন, ‘এছাড়া আরেকটি প্রধান কারণ হলো আমরা চেয়েছিল ফিজকে ওয়েলিংটনে খেলাতে। কারণে সেখানে প্রচুর বাতাস থাকবে যা কি-না ফিজের বোলিংয়ের সঙ্গে বেশ মানানসই। এ কারণে মূলত আমরা চেয়েছি যাতে ওয়েলিংটনের গুরুদায়িত্ব নেয়ার আগে তার ওপর ক্লান্তির কোনো ছাপ না পড়ে।’
এসএইচ-১৯/০১/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)