হ্যামিল্টনে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনেই ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড ৭১৫ রানের নিচে চাপা পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিরোধ গড়তে পারছে না টাইগার বাহিনী। ব্যাটসম্যানদের একের পর এক অবিবেচক শটে আউট হওয়ায় চার উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। ইনিংস পরাজয় এড়াতে এখনও প্রয়োজন ৩০৭ রান।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের সেরা বোলার সাকিব আল হাসান। তাই মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর ছিল স্পিন বিভাগের দায়িত্ব। দায়িত্বের ভারটা এমনভাবে ভর করেছিল এই স্পিনারের ওপর যে, চাপে চ্যাপ্টা হলেন রীতিমত! রান খরচে লজ্জার রেকর্ডে নাম উঠে গেল মিরাজের। টেস্টে এক ইনিংসে বাংলাদেশের সবচেয়ে খরুচে বোলার এখন তিনিই। ৪৯ ওভারে এই স্পিনার দিয়েছেন ২৪৬ রান।
মিরাজের এই রেকর্ডে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন তাইজুল ইসলাম। এতদিন বাঁহাতি এই স্পিনারই ছিলেন এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়া বোলার। গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৭.৩ ওভার বল করে তাইজুল দিয়েছিলেন ২১৯ রান। মিরাজের রেকর্ডের আগে এটাই ছিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ খরুচে বোলিং। হ্যামিল্টন টেস্টে তাকে টপকে গেলেন মিরাজ।
টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার তালিকায় মিরাজ রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে। শীর্ষস্থানে এখনও আছেন চাক ফ্লিটউড-স্মিথ। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান চায়নাম্যান ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভাল টেস্টে ৮৭ ওভারে দিয়েছিলেন ২৯৮ রান। তার কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন ভারতের রাজেশ চৌহান, ১৯৯৭ সালে ৭৮ ওভারে দিয়েছিলেন ২৭৬। তবে এই শতাব্দীর সবচেয়ে খরুচে বোলার মিরাজই।
লজ্জার রেকর্ডে আরেকটি জায়গায় মিরাজের নাম সবার ওপরে। অন্তত ৪৫ ওভার বল করেছেন, এমন বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইকোনোমি রেট এই অফ স্পিনারের। হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে তার ইকোনোমি ৫.০২।
টাইগারদের প্রথম ইনিংসের সংক্ষিপ্ত স্কোর: ২৩৪/১০
তামিম (১২৬), সাদমান(২৪), মুমিনুল (১২), মোহাম্মদ মিঠুন (৮), সৌম্য সরকার(১),মাহমুদউল্লাহ (২২), লিটন দাস (২৯), মিরাজ (১০), রাহী (২),খালেদ (০), এবাদত (০)*।
উইকেট নিয়েছেন: ওয়েগনার ৫/৪৭, বোল্ট ১/৬২, সাউদি ৩/৭৬, গ্র্যান্ডহোম ১/৩৯
কিউইদের প্রথম ইনিংসের সংক্ষিপ্ত স্কোর: ৭১৫/৬ ডিক্লে.
জীত রাভাল (১৩২), টম ল্যাথাম (১৬১), কেন উইলিয়ামসন (২০০)*, হেনরি নিকোলস (৫৩), নেইল ওয়েগনার (৪৭), ওয়াটলিং (৩১), কলিন ডি গ্রান্ডহোম (৭৬)*।
উইকেট নিয়েছেন: সৌম্য সরকার ২/৬৮, মিরাজ ২/২৪৬, মাহমুদউল্লাহ ১/৩, এবাদত হোসেন ১/১০৭
এসএইচ-০৯/০২/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)