নিউজিল্যান্ডে প্রচুর বাতাসের বিপক্ষে বোলিং করাটা খুব কঠিন। বাংলাদেশে সাধারণত এত জোরে বাতাস হয় না। বাতাসের সঙ্গে কীভাবে বোলিং করতে হবে, এতে খাপ খাওয়ানোর ব্যাপার আছে। আমাদের উইকেটগুলো ফ্ল্যাট হয়, ওদের উইকেটগুলো সুন্দর স্পোর্টিং হয়ে থাকে। আপনি যে লাইনেই বল করেন না কেন সুন্দর ক্যারি করে।
ঢাকা মিরপুরে শের-ই-বাংলার একাডেমিতে দাঁড়িয়ে এভাবেই নিউজিল্যান্ড সফরের তিক্ত অভিজ্ঞতা গণমাধ্যমের সঙ্গে ভাগাভাগি করছিলেন জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন।
চতুর্থবারের মতো নিউজিল্যান্ডে গিয়েও রুবেল নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে ভালো কিছু নিয়ে আসতে পারেননি। এক ম্যাচ খেলে ৬৪ রানে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। এর আগের তিনবারের অভিজ্ঞতা থেকে এবারের অভিজ্ঞতা আরো ‘বাজে’। তবুও দমে যেতে চান না ডানহাতি পেসার।
সামনেই ওয়ানডে বিশ্বকাপ। নিউজিল্যান্ডের শিক্ষা রুবেল নিয়ে যেতে চান প্রায় একই কন্ডিশনের দেশ ইংল্যান্ডে। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে আমরা সিরিজটা হেরে গেছি। তাই ওইখানে কোনো অভিজ্ঞতাও নেই। কিন্তু অনেক কিছু শেখার আছে- ওই ধরনের কন্ডিশনে কীভাবে খেলতে হয়, বোলারদের কীভাবে বোলিং করতে হয়।
আমার তো মনে হয়, এই সিরিজ থেকে আমাদের বোলাররা বলেন, ব্যাটসম্যানরা বলেন, অনেক কিছু শিখেছে। সেটাই আমরা নিয়ে যেতে চাই বিশ্বকাপে। ইংল্যান্ডে আমাদের বিশ্বকাপ।
ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রস্তুতি নেবে বাংলাদেশ। এর আগে প্রস্তুতি বলতে ঘরোয়া লিগ। ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে আবাহনী লিমিটেডের জার্সিতে ঢাকা লিগ খেলবেন রুবেল। আপাতত প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে রুবেলের সব চিন্তা।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা লিগ আমাদের দেশের লিগ। এখানে অবশ্যই বিশ্বকাপের বিষয়টি কাজ করবে। ভালো খেললে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসটা কাজ করবে। এখানে খুব ভালো বোলিংয়ের লক্ষ্য থাকবে। কয়েকজন উইকেট সংগ্রাহকের ভেতর আমিও থাকতে চাই। লক্ষ্য থাকবে ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো বোলিং করা। বিপিএলটা ভালো গেছে।
এসএইচ-২৫/০৪/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)