গিবস-কারস্টেনের পাশে তামিম-সাদমান

ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দুই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর অবশেষে তৃতীয় দিন শুরু হয় খেলা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২১১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।টাইগার ব্যাটসম্যানরা এদিন ব্যর্থ হলেও উজ্জ্বল ছিলেন তামিম ও সাদমান।এই দুই ব্যাটসম্যান ওপেনিংয়ে নেমে ৭৫ রানের জুটি গড়েন।যার ফলে প্রায় ২০ বছর আগের এক রেকর্ডে ভাগ বসালেন তামিম-সাদমান।

প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়েন তামিম ও সাদমান। হ্যামিল্টনে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৫৭ ও ৮৮ রানের জুটি গড়েন তারা। আর ওয়েলিংটনে গড়লেন ৭৫ রানের জুটি। এ নিয়ে রেকর্ড বুকে নিজেদের নাম লেখালেন এই জুটি।

১৯৩০ সাল থেকে টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে নিউ জিল্যান্ডে। এই সুদীর্ঘ ইতিহাসে সফরকারী দল এখানে টানা তিন ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ ছুঁতে পেরেছে বাংলাদেশের আগে কেবল একবারই! ১৯৯৯ সালে টানা তিন ইনিংসে ৭৬, ১২৭ ও ৭৩ রানের উদ্বোধনী জুটি পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনটিতেই ছিল গ্যারি কারস্টেন-হার্শেল গিবস জুটি। এবার দুই কিংবদন্তির পাশে বসলেন তামিম-সাদমান।

অবশ্য টানা তিন ইনিংসে অর্ধশতাধিক রানের ওপেনিং জুটি বাংলাদেশ এর আগেও দুইবার দেখা পেয়েছে। বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে টানা তিন ইনিংসে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি এসেছে এবারের আগে আর দুইবার। সেই দুইবারও ছিল দেশের বাইরে। অবধারিতভাবে এর আগেও ছিলেন তামিম ।

প্রথমবার ২০১০ সালের ইংল্যান্ড সফরে। তামিম ও ইমরুল কায়েসের জুটিতে লর্ডসে এসেছিল ৮৮ ও ১৮৫ রান। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১২৬।২০১৭ সালে তামিমের সঙ্গী সৌম্য সরকার। গল টেস্টে দুই ইনিংসে বাংলাদেশ পায় ১১৮ ও ৬৭ রানের জুটি। পরের টেস্টে পি সারা ওভালে প্রথম ইনিংসে ৯৫ রান।

এসএইচ-১০/১০/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)