বিশ্রামে মাহমুদউল্লাহ

নিউজিল্যান্ড থেকে হাসিমুখে দেশে ফিরতে পারেননি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের সামনে মাহমুদউল্লাহ যখন কথা বলেছিলেন সে রাতে, তখনো জানতে না তার জন্য বড় দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে।

নিউজিল্যান্ডে প্রথম টেস্টের সময় ডাইভ দিতে গিয়ে কাঁধে চোট পান। ওই চোট নিয়ে খেলা চালিয়ে যান ঠিকই। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে থ্রোয়িংয়ে বারবার ব্যথা অনুভব করছিলেন। চোট কতটা গুরুতর, সেটা বুঝতে পারেননি নিউজিল্যান্ডে। ওখানে এমআরআই করালেও রিপোর্ট নেওয়া হয়নি। দেশে ফিরে ক্রাইস্টচার্চের ঘটনায় স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যহত হচ্ছিল। তাই নিজের দিকে মনোযোগও দিতে পারছিলেন না।

নিউজিল্যান্ড থেকে ফেরার পর সোমবার প্রথম এসেছিলেন মাঠে। হালকা অনুশীলনও করেছেন। আগের দিন আবার কাঁধের এমআরআই করিয়ে পেয়ে যান দুঃসংবাদ। কাঁধের পেশিতে যে চোট লেগেছে, তা গ্রেড থ্রি টিয়ার। পুরোপুরিভাবে গ্রেড থ্রি টিয়ার হলে অনেক সময় অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। তবে বিসিবি চিকিৎসক মঙ্গলবার ভালো খবর শুনিয়েছেন।

‘মাহমুদউল্লাহ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে কি না, এটা অনেক পরের কথা। কেননা বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো অনেক দিন বাকি। তার আগে আমাদের ভাবা উচিত সে আয়ারল্যান্ড সিরিজটি খেলতে পারবে কি না। তবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা তাকে দুই সপ্তাহের পূর্ণ বিশ্রাম দিয়েছি। এর মধ্যে সে ব্যাটিংও করতে পারবে না। তবে এরকম ইনজুরি নিয়ে অনেকেই ক্রিকেট খেলছে।’

মাহমুদউল্লাহর মতো ক্যারিয়ারের শুরুতে এমন চোটে পড়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার বাম কাঁধে চোট গুরুতর হওয়ায় অস্ত্রোপচারও লেগেছিল। মাহমুদউল্লাহর চোট গুরুতর না হওয়ায় বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শঙ্কার কথা বলতে নারাজ বিসিবির চিকিৎসক।

‘আমরা আশা করছি অস্ত্রোপচার ছাড়াই ও সুস্থ হয়ে উঠবে। এই সময়ে সে অনুশীলনও করতে পারবে, তবে ভারি কোনো চাপ নিতে পারবে না। মুস্তাফিজের মতো চোট অনেকটাই। তবে পেসারদের এই চোট থেকে সামলে উঠতে সময় লাগে। মাহমুদউল্লাহর ক্ষেত্রে আশা করি সেটা হবে না।’

২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। এর আগে আয়ারল্যান্ডে ৭ মে থেকে শুরু হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ।

এসএইচ-১৫/০২/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)