শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয় পেল নিউজিল্যান্ড

বাংলাদেশের দেয়া ২৪৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালো ভাবেই শুরু করে কিউইরা। ম্যাচের একটা সময় পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় নিউজিল্যান্ড। টাইগার বোলার মিরাজ, সাইফদ্দিন এবং সৈকত বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিউইরা। ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭ বল হাতে রেখে ২৪৮রান করে নিউজিল্যান্ড।

শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে টেইলর। তবে শতকের আক্ষেপ নিয়ে ফিরেন এই কিউই ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে ৯১ বলে ৯ চারে ৮১ রান করেন টেইলর।

এর আগে সাকিবের জোড়া আঘাতের পরই কেন উইলিয়ামসনের রান আউটের সুযোগ নষ্ট করেন মুশফিকুর রহীম। মুশফিকের হাতে জীবন পেয়েছেন লস টেইলরও। নতুন জীবন পেয়ে এই দুই ব্যাটসম্যান তৃতীয় উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়ে জয়ের ভীত গড়েন। এরপর কিউই শিবিরে মেহিদীর জোড়া আঘাত।

প্রথমে উইলিয়ামসন এরপর ল্যাথাম সাঝঘরে ফিরেন। আউট হওয়ার আগে উইলিয়ামসন ৪০ এবং ন্যাথাম কোন রান না করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।

বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ২৪৫ রানের জবাবে শুরুটা দারুণ করেছিল নিউজিল্যান্ড। মোস্তাফিজ, মিরাজ, মাশরাফির করা প্রথম পাঁচ ওভারে ৩৫ রান সংগ্রহ করে কিউইরা।

ব্যাট হাতে ৬৪ রানের পর ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে আক্রমনের দায়িত্বে এসেই মার্টিন গাপটিলকে তামিমের ক্যাচে পরিণত করেন সাকিব। মাত্র ১৪ বলে ২৫ রান করেন এই ওপেনার। নিউজিল্যান্ডের ইংনিসে দ্বিতীয় আঘাতটিও হানেন বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার। ভয়ঙ্কও হয়ে উঠার আগেই মুনরোকে ফেরান এই স্পিনার। এই পরেই মুশফিকুর রহীমে ভুলে নিশ্চিত রান আউটের হাত থেকে বেচে যান কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন।

এর আগে মার্ক হেনরি ট্রেন্ট বোল্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে থাকা ধুকতে থাকা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে ২৪৪ রানে। হেনরি চারটি বোল্ড দুই উইকেট দখল করেন।

শেষ দিকে কেবল সাইফুদ্দিন চেষ্ঠা করেছেন। যোগ্য সহায়তার অভাবে আড়াইশ রানও করতে পারেনি টাইগাররা। দলের পক্ষে সাকিব সর্বোচ্চ ৬৪ ও সাইফুদ্দিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন। এছাড়া তামিম ২৪, সৌম্য ২৫, মুশফিক ১৯ও মিঠুন ২৬ রান করেন।

এসএইচ-০১/০৬/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)