দল ছেড়ে স্ত্রীর পাশে ওয়ার্নার

বল টেম্পারিংয়ের নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা স্বপ্নের মতো কাটাচ্ছেন অসি ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার। আট ম্যাচে ৫১৬ রান করে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।

ওয়ার্নারের মতো বিশ্বকাপটা দুর্দান্ত কাটাচ্ছে তার দল অস্ট্রেলিয়ারও। আট ম্যাচে ৭ জয় ও এক হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসেবে চলতি আসরের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

প্রথম রাউন্ডে অসিদের হাতে আছে আর মাত্র একটি ম্যাচ; কিন্তু এই ম্যাচের আগে সাত দিনের লম্বা বিরতি পেয়েছে তারা। তাই এই ফাঁকে দল ছেড়ে স্ত্রীর পাশে থাকতে তাকে নিয়ে আলাদা সময় কাটাচ্ছেন ওয়ার্নার। কেননা গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়েই বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলেন এই ব্যাটসম্যান। ইংলিশ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী রোববার লন্ডনের এক হাসপাতালে নিজেদের তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন ওয়ার্নারের স্ত্রী।

দুঃসময়ে সবসময়ই স্ত্রীকে নিজের পাশে পেয়েছেন ওয়ার্নার। সে কারণে স্ত্রীর অবদান কখনোই ভুলবেন না এই অসি ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, ‘অসাধারণ একজন স্ত্রী পেয়েছি আমি। যে সবসময়ই আমাকে সহযোগিতা করে আসছে।

এছাড়াও ঘরের মধ্যে অসাধারণ একটা পরিবার আমার। চারদিক থেকে বিশাল সমর্থন পেয়েছি। আমার টিমমেটের সবাই খুব চমৎকার। পরিবারের এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়েও আমার পাশে থেকেছে তারা; কিন্তু আমার স্ত্রী, সে সবসময়ই নিঃস্বার্থ ভাবে আমার পাশে থেকে এসেছে।’

নিজের অনাগত সন্তান নিয়ে ওয়ার্নার বলেন, ‘অনাগত সন্তানের দিকে আমি অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছি। এরই মধ্যে ক্রিকেটেও মনোযোগ দিতে হচ্ছে। দুটি ছোট্ট মেয়ে নিয়ে এই মুহূর্তে আমি ভীষণ খুশি। আশা করছি, তৃতীয়জনও রোববার আসবে। আমি আসলেই এটার অপেক্ষায় আছি।’

তার এই অনাগত সন্তানকে জন্ম দেয়ার পরও প্রায় তিন মাসের জন্য থাকতে হবে ইংল্যান্ডে। কেননা বিশ্বকাপ শেষ করেই ইংলিশদের বিপক্ষে ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরনো দ্বৈরথ অ্যাশেজ খেলতে হবে ওয়ার্নার এবং তার দল অস্ট্রেলিয়াকে।

বর্তমানে স্ত্রীর পাশে থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন ঠিকই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ওয়ার্নার। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমাদের প্রস্তুতি, আমি যেদিন যাব ওদিনই শুরু হবে।’

এসএইচ-১৬/৩০/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)