রোনালদোর সঙ্গে ছবি, আটক ভক্ত

জুভেন্তাস তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ভক্ত ১৪ বছরের আখমদি ইয়েরঝানভ। কাজাকিস্তানের এই ছোট্ট ছেলেটি রোনালদোর খেলা দেখতেই বাবাকে নিয়ে উড়ে এসেছিল সিঙ্গাপুরে।

রোনালদোর দল জুভেন্তাস প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল টটেনহ্যাম হটস্পারের বিরুদ্ধে খেলতে সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে গিয়েছিল। সেই ম্যাচ দেখতেই সিঙ্গাপুর এসেছিল তরুণ ফুটবল ভক্ত আখমদি। কিন্তু গ্যালারি থেকে রোনালদোকে দেখে সাধ মেটেনি কাজাকিস্তানের এই তরুণের। তাই খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে ফেন্সিং টপকে মাঠে ঢুকে যায় স্বপ্নের নায়ককে কাছ থেকে দেখার জন্য। আর তার জন্যই শেষমেশ আটক করা হয় এই রোনালদো ভক্তকে।

কী হয়েছিল সিঙ্গাপুরের মাঠে? সংবাদমাধ্যমকে আখমদি বলেছে, সেদিন ম্যাচে আমার প্রিয় দল জুভেন্তাস ২-৩ হেরে যাওয়ায় মন কিছুটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চোখের সামনে রোনালদোকে গোল করতে দেখে খুশিও হয়েছিলাম। সেই আনন্দেই খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে ফেন্সিং টপকে মাঠে ঢুকে পড়ি। তার পরে এক দৌড়ে চলে গিয়েছিলাম জুভেন্তাস রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে। কারণ, তখন সেখানেই বসেছিলেন রোনালদো।

তবে এত সহজে রোনালদোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে আসতে পারেনি আখমদি। জুভেন্তাস রিজার্ভ বেঞ্চের সামনেই তাকে ঘিরে ধরে সিঙ্গাপুরের পুলিশ। সেখানে তার ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান জুভেন্তাস ম্যানেজার মাউরিসিয়ো সাররি।

সংবাদমাধ্যমকে সাররি জানিয়েছেন, আমি হঠাৎ দেখি বাচ্চা ছেলেটা দৌড়ে আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে এগিয়ে আসছে। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম ছেলেটা নিশ্চয়ই নিজস্বী তুলতে চায়। তাই নিরাপত্তারক্ষীদের হাত থেকে বাঁচিয়ে ওই বাচ্চা ফুটবলপ্রেমীকে নিয়ে যাই রোনালদোর কাছে। কারণ ওকে ফুটবল ভক্ত হিসেবেই দেখেছিলাম। মাঠে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখিনি।

রোনালদোর কাছে গিয়ে আখমদি প্রথমে সেলফি তোলে। তারপরে সি আর সেভেনের সঙ্গে ‘হাই ফাইভ’ করে সে। রোনালদো, বনুচ্চিদের সঙ্গে গল্পও জুড়ে দেয়।

যে প্রসঙ্গে আখমদি সাংবাদিকদের বলেন, ক্রিশ্চিয়ানোকে বলেছিলাম, কাজাকিস্তান থেকে বাবার সঙ্গে উড়ে এসেছি তোমাকে দেখব বলে। কারণ আমি তোমার একজন অন্ধ ভক্ত।যা শুনে রোনালদো তার এই ভক্তকে বলেন, আমি তোমার দেশে গিয়েছি। রোনালদো আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পানির বোতল হাতে দেয়।

এরপরেই শুরু হয় বিপত্তি। ম্যাচের পরেই স্থানীয় পুলিশ আখমদি ও তার বাবাকে আটক করে। বড় জরিমানা করা হবে বলা হয় তাদের। বাধ্য হয়ে, শেষ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের কাজাকিস্তান দূতাবাসের সাহায্য চায় এই বাবা-ছেলে। শেষ পর্যন্ত দূতাবাসের হস্তক্ষেপে বকাঝকা করে ছেড়ে দেওয়া হয় আখমদিকে।

এসএইচ-০৯/২৮/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)