পাকিস্তান যেতে নারাজ ক্রিকেটাররা

চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করে শুক্রবার ফের শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ঢাকা পর্ব। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার হুট করে বিসিবি কার্যালয়ে হাজির বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। খানিক পরেই দেখা গেলো, তার কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহীম।

বোঝা গেলো, জানুয়ারিতে পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে আলোচনা করতেই এমন হঠাৎ করে বিসিবিতে আগমন বোর্ড সভাপতির। অনুমানের সত্যতা মিললো মিনিট ত্রিশেক পরেই। সংবাদ মাধ্যমে বিসিবি সভাপতি সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘পাকিস্তানে আপাতত টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে না বাংলাদেশ।’

এরপরই অবশ্য পাপন বলেছেন, পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই তাদের মনে। তবু আপাতত শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্যই পাকিস্তান যেতে পারে বাংলাদেশ। সেটিও আবার নির্ভর করছে সরকারের নিরাপত্তা সংস্থার সবুজ সংকেতের ওপর।

এছাড়া দল সাজানোর মতো পর্যাপ্ত ক্রিকেটার পাওয়া যাবে কি না সে ব্যাপারে সংশয় রয়েছে বিসিবি সভাপতির। কারণ এরই মধ্যে কোচিং স্টাফের বড় অংশ এবং বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার জানিয়েছেন তারা পাকিস্তান যেতে নারাজ।

বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা সব খোঁজ খবর নিয়েছি। পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন অন্য জায়গায়। আমরা দেখছি প্লেয়ার এবং কোচিং স্টাফরা যাবে কি না? অনেক আগে থেকে কথা বলেছি। কোচিং স্টাফদের বড় অংশ না করে দিয়েছে। তারা যাবে না। আর যাও যাবে কেউ লম্বা সময় ধরে পাকিস্তান থাকতে চায় না।’

খেলোয়াড়দের কয়েকজনও যে পাকিস্তান যেতে রাজি নয়, তা জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আগেই অনেক কোচিং স্টাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা রাজি না। এছাড়া কিছু কিছু প্লেয়ারও আছে যারা যেতে চায় না। কিছু প্লেয়ার আছে যেতে রাজি, তবে খুব অল্প সময়ের জন্য। টেস্ট সিরিজ খেলতে গেলে তিন সপ্তাহের বেশি সময় থাকতে হবে, তত দিনের জন্য আসলে সেভাবে কেউ রাজি নয়।’

কিন্তু ক্রিকেটারদের এমন সিদ্ধান্ত কেন? পাকিস্তানে গেলেও টেস্ট কেনো খেলতে রাজি নয়? খেলোয়াড়দের বরাত দিয়ে এ প্রশ্নের উত্তরও জানিয়েছেন পাপন নিজেই। তিনি বলেন, ‘আমি জানতে চাইছিলাম কেন হঠাৎ করে যেতে চাওয়া তাও স্বল্প সময়ের জন্য। দীর্ঘ সময়ের জন্য কেন নয়? এর জবাবে সবাই পরিবারের কথা বলেছে।

জানিয়েছে, আসলে তাদের নিজ নিজ পরিবার, বাবা, মা বলেছে ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানে না গেলে কী হয়? বেশিরভাগের মত হলো পরিবার থেকে রাজি না পাকিস্তানে বেশি সময় থাকতে বা যেতে।’

‘দ্বিতীয় কথা হলো, পাকিস্তানে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনির ভিতরে বেশি দিন থাকতে রাজি নয় ক্রিকেটারদের প্রায় বড় অংশ। তাই আপাতত আমরা বলেছি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাব। সেই চেষ্টাই করছি। এটা নির্ভর করছে কোচিং স্টাফ, খেলোয়াড়দের যদি সবাই রাজি হয়, আমরা যদি ভাল টিম পাঠাতে পারি তার ওপর। এর সঙ্গে সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই আমরা যাবো।’

এসএইচ-২০/২৬/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)