সাকিবের উইকেটে সেঞ্চুরি : সামনে এখন মালিঙ্গা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সোমবার পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে চার উইকেট শিকার করায় এই ফরম্যাটে সাকিব আল হাসানের আন্তর্জাতিক উইকেট সংখ্যা এখন ১০২টি। ফলে অনন্য এক রেকর্ডেও ঢুকে গেছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার চেয়ে বেশি উইকেট কেবল একজনের, লাসিথ মালিঙ্গার। শ্রীলংকার এই কিংবদন্তি সাকিবের সমানসংখ্যাক ম্যাচে নিয়েছেন ১০৭ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদির ৮৩ ম্যাচে উইকেট ৯৯টি, পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি নিয়েছেন ৯৮ উইকেট।

পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়লেন টাইগার অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের হয়ে শত উইকেটের মাইলফক পেরিয়ে যেতে সাকিবের লেগেছে ৮৪ ম্যাচ। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে উইকেট শিকারের দিকে সাকিবের পর আছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪৮ ম্যাচে তার শিকার ৬৮ উইকেট।

বাকিদের মধ্যে কেউই এখনও ৫০ উইকেটের বৈতরণী পার হতে পারেননি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ উইকেট সাবেক স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের, ৪৩টি আল আমিন হোসেন ও ৪২ উইকেট শিকার করেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। এই সিরিজ শুরু হওয়ার আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবের উইকেট ছিল ৯৫টি। শত উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছতে তার দরকার ছিল আর পাঁচ উইকেট।

এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ায় বিপক্ষে সব মিলিয়ে সাকিব শিকার করেছেন ৭ উইকেট। যার গড় ১৮.১৪ ও ইকোনমি রেট ৬.৪৫। সাকিব এ ছাড়াও টেস্টে ২১৫ উইকেট ও ওয়ানডেতে ২৭৭ উইকেট নিয়েছেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ৬৬ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ৬১ উইকেট।

অজিদের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে ১২৩ রানের টার্গেট দেয় টাইগাররা। ব্যাট হাতে ভালো করতে না পারলেও বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন সাকিব। একে একে তিনি ম্যাথু ওয়েড, অ্যাস্টন টার্নার ও নাথাল এলিসের উইকেট শিকার করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সবশেষ উইকেটটিও নিয়েছেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে অজিদের বিপক্ষে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে এর আগে বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে ওঠছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। ক্রিজে টিকে থেকে কখনও কখনও বল আছরে ফেলছিলেন গ্যালারিতেও। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা সেই ওয়েডকে ফিরিয়েছেন সাকিব আল হাসান, আগের ম্যাচে যিনি এক ওভারেই পাঁচ ছক্কা খেয়ে প্রচুর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।

এসএইচ-২৫/০৯/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)