মেসির মাঠে নামার অপেক্ষার অবসান

মেসির

অনেক প্রতীক্ষার পর পিএসজির জার্সিতে অভিষেক হলো লিওনেল মেসির। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে নেইমারের বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছেন এলএম থার্টি। তবে মোট ৩১ মিনিট মাঠে থাকলেও কোনো গোল আসেনি মেসির পা থেকে। রেইমসকে ২-০ ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে দু’টো গোলই করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এই জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো প্যারিসিয়ানরা।

বার্সার পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে খেলবেন নেইমার। ইচ্ছেটা মনে পুষে রেখেছেন কয়েক মৌসুম ধরে। পিএসজিতে মেসিকে আনতে ব্রাজিলিয়ান যে বড় প্রভাবক ছিলেন; তাও অজানা নয়। অথচ ম্যাচের ৬৫ মিনিটে লিগ ওয়ানে লিওর অভিষেকের ক্ষণটায় একসঙ্গে মাঠে থাকা হলো না। নেইমারের বদলি হিসেবেই যে মাঠে নামলেন আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকর। নেইমারের সেই খেদ থাকলেও, হর্ষধ্বনিতে কোনো কমতি নেই গ্যালারিতে। এই মুহূর্তের অপেক্ষায় যে বুদ হয়েছিলেন প্যারিসিয়ান আর ব্যক্তি মেসি সমর্থকরা।

টিভি সেটে নীল জার্সি পড়া মেসিকে শুরুতে খুঁজে নিতে কষ্ট হলেও মনোযোগের কেন্দ্রে আসতে সময় লাগেনি বেশিক্ষণ। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে সেই চিরচেনা ক্ষীপ্রতা। নতুন সতীর্থ এমবাপ্পেকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বল। তবে গোলের সুযোগটা কাজে লাগেনি।

অবশ্য তা নিয়ে বাড়তি কোনো চাপ ছিলো না এমবাপ্পের। ম্যাচের ১৬ মিনিটে এই ফরাসীর গোলেই প্রতিপক্ষ রেইমসের মাঠে লিড পায় প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। তার দৃষ্টিনন্দন হেডারের জবাব ছিলো না গোলরক্ষক রাজকোভিচের কাছে।

ম্যাচের ৩৯ মিনিটে অবশ্য সমতায় ফিরতে পারতো রেইমস। তবে দারুণ ক্রস পেয়েও তাতে পা ঠেকাতে ব্যর্থ কেব্বাল। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় পচেত্তিনো শিষ্যরা।

ফিরে এসে ম্যাচের ৫১ মিনিটে গোল মুখ অক্ষত রাখতে পারেনি পিএসজি গোলরক্ষক নাভাস। স্বাগতিকদের হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন মুনেতসি। তবে ভিএআর এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দেয় অতিথিদের।

উলটো ৬৩ মিনিটে আরও এগিয়ে যায় প্যারিসিয়ানরা। আবারও চিত্রপটে এমবাপ্পে। আশরাফ হাকিমির অ্যাসিস্টে নিজের জোড়া পূরণ করেন এই তারকা।

বাকি সময়ে মেসি এমবাপ্পেরা ত্রাস ছড়ালেও আর গোল হয়নি। ওই ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। তবে অভিষেক ম্যাচে যোগ করা মোট ৩১ মিনিট খেলেও কোনো গোল করতে পারেনি মেসি। ভক্তদের মনের কোণে হয়তো এই অপ্রাপ্তি থেকে গেছে।

এসএইচ-০১/৩০/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)