নির্ধারিত সময়ে বিপিএল হলে আরও নতুন প্লেয়ার আসা সম্ভব

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগগুলো। নতুন নতুন ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স প্রমাণের একমাত্র জায়গা এখন এটি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল) জনপ্রিয়তার দিক থেকে কম নয়। সাত বার আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট থেকে বেরিয়ে এসেছে বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার।

তবে নির্দিষ্ট সময়ে প্রতি বছর বিপিএল আয়োজন সম্ভব না হওয়াতে নতুন ক্রিকেটারা নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছে না বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান। তার মতে, প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিপিএল আয়োজিত হলে অনেক নতুন নতুন ক্রিকেটার আসা সম্ভব।

গত বছরের জানুয়ারিতে সবশেষ বিপিএল আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একেক বছর একেক সময়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হয়েছে বিসিবিকে। কখনো নভেম্বর, কখনো ডিসেম্বর আবার কখনো জানুয়ারি এভাবেই চলছে আয়োজন। তবে বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়া না পাওয়া নিয়েই মিলছে না সঠিক সময়।

আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এসে সাকিব বলেন, ‘বিপিএল যদি সবসময় একটা ফিক্সড টাইমে কন্টিনিউ হয়, তা হলে তো ভালো। তারপরেও আমার মনে হয়, এই সিজনের আগের সিজনটাও তো হলো। লাস্ট সিজনটাই শুধু ছোট করে করা হলো।’

বিপিএল না হলেও ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির জন্য বঙ্গবন্ধু টি-২০ লিগ ও টি-২০ ফরম্যাটে আয়োজিত হয় ডিপিএল। সাকিবের মতে এটাও পজিটিভ। তিনি বলেন, ‘যেহেতু বিপিএলটা হয়নি সেহেতু বঙ্গবন্ধু টি-২০ লিগ একটা টুর্নামেন্ট হলো। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগটাও টি-২০ ফরম্যাটে করা হলো। সো ঐ অভাবটা পূরণ হয়ে গেছে আমার মনে হয়।’

তবে বিপিএলের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় চান সাকিব। তিনি বলেন, ‘বিপিএলের জন্য যদি একটা আলাদা টাইম স্লট, ফিক্সড টাইম ও টিম যদি থাকে, আমার কাছে মনে হয় আরও অরগ্যানাইজড ওয়েতে ভালোভাবে করা সম্ভব। যেটা থেকে আরও হয়তো বেশ কিছু প্লেয়ার আসা সম্ভব। কারণ কম্পিটিটিভনেসটা স্বাভাবিকভাবেই বেশি থাকে, যেহেতু ওভারসিজ প্লেয়ার অনেক খেলবে।’

‘অবশ্যই (বিপিএল) হলে ভালো। আমার কাছে মনে হয় বিসিবিও খুবই আগ্রহী বিপিএলটা ভালোভাবে করার জন্য। যতদূর আমি জানি, এবার একটা টাইম স্লটও আছে, যে সময় তারা এটা করবে। তো এটা যদি হয়, তাহলে খুবই ভালো হবে, ক্রিকেটারদের জন্যও, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও,’ যোগ করেন তিনি।

এসএইচ-১৭/১২/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)