রোনালদোর খাদ্যাভাস অনুসরণ করতে রাজি নন সতীর্থরা

অনেকে মনে করে থাকেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কঠোর পরিশ্রমীদের জন্য আদর্শস্বরূপ। ৩৬ বছর বয়সেও এখনও ২০ বছর বয়সি তরুণের মতো ফিটনেস তার। সার্বিকভাবে তিনি যেভাবে জীবন-যাপন করেন তা অনুসরণ করলে যে কারোরই সফল হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকে, সেটা হোক ফুটবলে কিংবা অন্য কোনো পেশায়। সেই রোনালদোই তার সতীর্থদের জন্য নিজের খাদ্যাভাসের তালিকা উপস্থাপন করেছিলেন, যা খেতে রাজি নন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবলাররা।

রোনালদোর আগমণে প্রভুত উন্নতি সাধিত হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। আর্থিক বিষয়াদির সঙ্গে সঙ্গে ইংল্যান্ডের ক্লাবটির শক্তিমত্তাও বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে। আক্রমণভাগে রোনালদো যে এক ভয় জাগানিয়া নাম! পর্তুগিজ তারকা এবার হয়তো চেয়েছিলেনস সতীর্থরা তার মতো খাদ্যাভাস অনুসরণ করুক, যাতে সবার ফিটনেস ভালো থাকে, লিগ ফুটবলের পাশাপাশি ইউরোপ মঞ্চেও আধিপত্য শুরু হোক রেড ডেভিলদের। রোনালদো তার খাদ্যের তালিকা দিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের শেফকে।

সেই তালিকা দেখে রোনালদোর ইউনাইটেড সতীর্থদের মধ্যে অনেকেই খেতে অনীহা প্রকাশ করেন। বলছে দ্য সানের প্রতিবেদন। ক্লাবের একটি সূত্র সানকে জানায়, রোনালদো ফিটনেস ঠিক রাখতে কঠোরভাবে খাদ্যাভাস অনুসরণ করে, কিন্তু ক্লাবের অন্যরা এসব পছন্দ করেনি। অথচ কদিন আগে বার্মিংহামের ইংলিশ ফুটবলার ত্রয় ম্যাথিউ বলেছিলেন, ফিটনেস ঠিক রাখতে রোনালদো যা খান তাই খেতে রাজি তিনি।

দ্য সানের সঙ্গে ত্রয় বলেন, রোনালদো ফিটনেস ঠিক রাখতে যা খায় আমিও তা খেতে রাজি, সেটা যত বাজে খাবারই হোক না কেন। ত্রয়কে তার অনেক বন্ধু নাকি জিজ্ঞেস করেছেন, ফিটনেস ঠিক রাখার ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম মানতে পারেন রোনালদো। তারা নাকি প্রায়ই এমন বিষয় নিয়ে সতীর্থদের মধ্যে আলোচনা করেন। তার ভাষ্যমতে, আমার এক বন্ধু বলেছিল, রোনালদো কি খায়? সে কি অনেক ভাল ভাল খাবার খেয়ে থাকে?

অনেকের ধারনা, ফিটনেস ধরে রাখার কারণেই রোনালদো এখনও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ লিগে সেরা ফর্মে রয়েছেন। রেড ডেভিলদের জার্সিতে দ্বিতীয় প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম তিন ম্যাচেই করেছিলেন ৪ গোল। অভিষেক ম্যাচেই করেন জোড়া গোল।

এসএইচ-২৩/২৭/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)