ভারতকে রুখে দিল বাংলাদেশ

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সোমবার (৪ অক্টোবর) প্রবল প্রতিপক্ষ ভারতকেও রুখে দিয়েছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। ১-১ গোলে ড্র হয়েছে ম্যাচটি।

সাম্প্রতিক ফর্ম কিংবা দলীয় শক্তি সব দিক থেকেই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ভারত। তবু প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর আত্মবিশ্বাসটাই দারুণভাবে কাজে লাগালেন জামাল ভূঁইয়ারা। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে শতভাগ সফল না হলেও, মূল্যবান এক পয়েন্ট ঠিকই আদায় করে নিয়েছে বাংলাদেশ। সুনীল ছেত্রীর গোলে পিছিয়ে পড়লেও, দ্বিতীয়ার্ধে ইয়াসিন আরাফাতের সমতাসূচক গোলে ড্র নিয়েই মাঠ ছেড়েছে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।

বাংলাদেশের এ ড্রটা যেন জয়েরই সমানই। কারণ, এদিন পিছিয়ে থেকেই বিরতির পর শুরু করছিল জামাল ভূঁইয়ারা। এরপর মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ-এর মতো যোগ হয় বিশ্বনাথ ঘোষের লালকার্ড। তবে শেষমেশ দশ জনের দল নিয়েই সমতায় ফিরে বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ার একটি কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে ইয়াসিন আরাফাতের দারুণ হেড প্রতিপক্ষের জাল ভেদ করতে ভুল করেনি।

সোমবারের ম্যাচটিতে প্রথম থেকেই দারুণ খেলছিল বাংলাদেশ। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে সুনীল ছেত্রীদের প্রতিরক্ষাব্যুহ কাঁপিয়ে দিচ্ছিল তারা। তবে ম্যাচের বয়স যত বেড়েছে, আক্রমণের ধার তত শানিয়েছে ভারত।

প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল বাংলাদেশই। ষষ্ঠ মিনিটে দলীয় কাণ্ডারি জামাল ভূঁইয়ার পাস থেকে বাম পায়ের লং রেঞ্জ শট নিয়েছিলেন ইয়াসিন আরাফাত। কিন্তু সেটি পোস্টের বাম পাস দিয়ে চলে যায় বাইরে। পরে ম্যাচের ২৫ মিনিটের সময় বিপলু আহমেদের ক্রস থেকে পাওয়া বলে ডি-বক্সের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে ডান পায়ের শট নেন জামাল। কিন্তু সেটিও ছিলৎ লক্ষ্যভ্রষ্ট।

ঠিক পরের মিনিটেই গোল হজম করে বাংলাদেশ। ম্যাচের ২৭ মিনিটের মাথায় উদান্ত সিং-এর দুরন্ত পাস থেকে ভারতকে লিড এনে দেন দলীয় কাপ্তান সুনীল ছেত্রী। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ভারত। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সুনীলের এটি ৭৬তম গোল।

তবে ভারতের এগিয়ে যাওয়ার পরও গোল শোধে মরিয়া চেষ্টা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু অধরা গোলের দেখা পায়নি তারা। এদিকে, প্রথম গোলের পর ম্যাচের ৩৭ মিনিটের মাথায় আবারও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল সুনীল ছেত্রীরা। বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার একটি শট নেন ভারত কাপ্তান। তবে এ যাত্রায় বলটি বাঁচাতে ভুল করেননি বাংলাদেশের কিপার আনিসুর রহমান জিকো।

বিরতির আগে সমতা ফেরানোর দুর্দান্ত সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশ দলের সামনে। সাদ উদ্দিনের পাস ডি-বক্সের মধ্যে ফাঁকায় পেয়েছিলেন বিপলু। কিন্তু তার গোলরক্ষক বরাবর নেওয়া শটে কাজের কাজ কিছুই হয়নি, বেড়েছে হতাশা। ফলে পিছিয়ে থেকেই যেতে হয়েছে বিরতিতে।

বিরতির পর দেড় মিনিটের মাথায় দুই কার্ড খেল বাংলাদেশ। প্রথমে রাকিব হলুদ কার্ড দেখেন, এরপরই বড় দুঃসংবাদ। লাল কার্ড দেখেন বিশ্বনাথ ঘোষ। এমনিতেই এক গোলে পিছিয়ে তার ওপর দশজন নিয়ে খেলতে হয়েছে দলকে। বাংলাদেশ পরপর দুই কার্ড দেখলেও মতিন মিয়াকে ফাউল করেও ভারতের খেলোয়াড়রা কোনো কার্ড না দেখায় প্রশ্ন উঠছে।

এসএইচ-১৪/০৪/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)