পাকিস্তানের সামনে ১৩৫ রানের টার্গেট

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩৪ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য পাকিস্তানকে করতে হবে ১৩৫ রান।

শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৩৪ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।

এর আগে টি-টোয়েন্টিতে ২৪ ম্যাচে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। তার মধ্যে ১৪ ম্যাচে জয় পায় পাকিস্তান। আর ১০টিতে জয় পায় কিউইরা। তবে বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে ৫ ম্যাচের সাক্ষাতে পাকিস্তান জয় পায় ৩ ম্যাচে আর ২ ম্যাচে জয় পায় নিউজিল্যান্ড।

শারজায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডকে শুরু থেকেই চাপে রাখে পাকিস্তান। হাত খুলে খেলতে পারেননি দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল আর ড্যারেন মিচেল।

৩১ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়ে গাপটিল হন হারিস রউফের শিকার, দারুণ এক ডেলিভারি কিউই ওপেনারের পায়ে লেগে ভেতরে ঢুকে ভেঙে যায় স্ট্যাম্প।

দ্রুত রান তুলতে যাওয়া মিচেলকে (২০ বলে ২৭) ইনিংসের নবম ওভারে ফাখর জামানের ক্যাচ বানান ইমাদ ওয়াসিম। পরের ওভারে মোহাম্মদ হাফিজকে তুলে মারতে গিয়ে আউট জিমি নিশাম। ৫৬ রানে ৩ উইকেট হারায় কিউইরা।

দলের বিপদে বরাবরের মতো হাল ধরেন কেন উইলিয়ামসন। কিউই অধিনায়ক একবার মোহাম্মদ হাফিজের বলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। তবে রানআউটে পুড়েছে তার কপাল।

১৪তম ওভারের প্রথম বলে হাসান আলির বলে সিঙ্গেলস নিতে বের হলে বোলার নিজেই স্ট্রাইকিং এন্ডের স্ট্যাম্প ভেঙে দেন। ২৬ বলে ২৫ রানে ফিরতে হয় উইলিয়ামসনকে।

এরপর কিছুটা সময় দলকে ভরসা দিয়েছিলেন ডেভন কনওয়ে আর গ্লেন ফিলিপস। ১৮তম ওভারে দুই সেট ব্যাটসম্যানকেই সাজঘরের পথ দেখান হারিস রউফ। কনওয়ে ২৪ বলে ২৭ আর ফিলিপস ১৫ বলে ১৩ রানে আউট হন। ওই ওভারে মাত্র ৩ রান খরচ করেন রউফ।

শেষ ৫ ওভারে ৩৫ রান তুলতে গিয়ে ৪টি উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। তাই সংগ্রহটা আর তেমন বড় হয়নি কিউইদের।

পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল হারিস রউফ। ২২ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন এই পেসার।

এসএইচ-৩১/২৬/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)