বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার বাংলাদেশের, নেই ভারতের

২০২১ সালের সেরা ওয়ানডে একাদশ ঘোষণা করেছে আইসিসি। যেখানে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার।

বৃহস্পতিবার আইসিসি ঘোষিত এই দলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ছাড়াও অভিজ্ঞ টাইগার সদস্য মুশফিকুর রহিম এবং তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান জায়গা পেয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার অর্থাৎ রেকর্ড তিনজন সদস্য জায়গা পেয়েছেন সেরা একাদশে।

এছাড়া পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আয়ারল্যান্ডের দুজন করে ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন। তবে জায়গা মেলেনি কোনো ভারতীয় ক্রিকেটারের। নেই ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কোনো খেলোয়াড়ও।

এদিকে বর্ষসেরা ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে আছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। এর আগে আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বও তাকে দেওয়া হয়েছিল। বাবর গত বছর মাত্র ৬টি ওয়ানডে খেলে দুটি সেঞ্চুরিসহ করেন ৪০৫ রান। পাশাপাশি দলের কাপ্তান হিসেবেও ছিলেন সফল। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন এবং সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। বাবর ২৯ ম্যাচে ৩৭.৫৬ গড়ে ৯৩৯ রান করেছেন, যার মধ্যে একটি সেঞ্চুরি ও ৯টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে।

এদিকে, ওয়ানডে দলের ওপেনারের জায়গাটা অলঙ্কৃত করেছেন আয়ারল্যান্ডের মারকুটে ব্যাটার পল স্টার্লিং। গেল বছরে ওডিআইতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। মাত্র ১৪ ম্যাচ খেলে ৭৯.৬৬ গড়ে করেছিলেন ৭০৫ রান। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন তিনি। পল স্টার্লিং ছাড়াও আইরিশ অফ ব্রেক বোলার সিমি সিং-ও সুযোগ পেয়েছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার দুইজন ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন সেরা একাদশে। তাদের একজন বছরজুড়ে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ানো জানেমান মালান। মাত্র ৮ ম্যাচে ৮৪.৮৩ গড়ে তার রান ৫০৯। যদিও ২০২১ সালেই ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল তার। আর তাই নিশ্চিতভাবেই সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

এদিকে, প্রোটিয়া মির্ডল অর্ডার ব্যাটার রাসি ভ্যান ডার ডোসেনের জন্যও বছরটা ছিল দুর্দান্ত। ৮ ম্যাচে ৫৭ গড়ে করেছেন ৩৪২ রান। পাশাপাশি পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়ানে তার সেঞ্চুরি ক্রিকেট ভক্তদের মনে গেঁথে থাকবে অনেকদিন।

পাকিস্তানের বাবর আজম ছাড়াও সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন ফখর জামানও। ৬ ম্যাচ খেলে ৬০ গড়ে করেছেন ৩৬৫ রান।

বছরটা স্মরণীয় ছিল নিষেধাজ্ঞা শেষে বাইশগজে ফেরা টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জন্যও। নয় ম্যাচে ৩৯.৫৭ অ্যাভারেজে করেছেন ২৭৭ রান। পাশাপাশি উইকেট শিকার করেছেন ১৭টি। এছাড়া ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন।

এছাড়া বাংলাদেশি হিসেবে তালিকায় আছেন মুশফিকুর রহিমও। ৯ ম্যাচ খেলে ৪০৭ রান করেছেন। যেখানে একটি সেঞ্চুরিও ছিল। পাশাপাশি তালিকায় আছেন মুস্তাফিজুর রহমানও। এর আগে আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলেও একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে জায়গা পেয়েছিলেন ‘কাটার মাস্টার’ খ্যাত মুস্তাফিজ।

শ্রীলঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার জন্য বছরটা স্মরণীয় হয়েই থাকবে। ব্যাট ও বল দু ফরম্যাটেই আলো ছড়িয়েছেন লঙ্কান এ অলরাউন্ডার। আরেক লঙ্কান বোলার সেরা একাদশে সুযোগ পেয়েছেন। তিনি হলেন দুশমান্থ চামেরা। ১৪ ম্যাচে ২৯.৩০ গড়ে উইকেট তুলে নিয়েছেন ২০টি।

আইসিসির ওয়ানডের বর্ষসেরা একাদশ
বাবর আজম (অধিনায়ক), পল স্টার্লিং, ফখর জামান, জানেমান মালান, রাসি ভান ডার ডোসেন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মুস্তাফিজুর রহিম, সিমি সিং, দুশমান্থ চামেরা।

এসএইচ-০৩/২০/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)