২০০৭ থেকে ২০১৮–ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণে দীর্ঘ ১১ বছর ভারতের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে অধিনায়ক ধোনির যাত্রাটা ২০০৭ সালে শুরু হতো না, যদি-না শচীন টেন্ডুলকারকে সমর্থন করার দায়ে যুবরাজ সিংকে তৎকালীন ভারতের হেড কোচ গ্রেগ চ্যাপেল নেতা হওয়া থেকে বঞ্চিত না করতেন, এমনটা দাবি করেছেন যুবরাজ নিজেই।
গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুবরাজ ২০০৭ সালে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমারই অধিনায়ক হওয়ার কথা ছিল। তখনই গ্রেগ চ্যাপেল ওই ঘটনা ঘটান। গ্রেগ বা শচীনের মধ্যে একজনকে বেছে নিতেই হতো। আমিই সম্ভবত দলের একমাত্র সদস্য ছিলাম, যে সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। যেটা দলের অনেকে এবং বোর্ডের কিছু কর্তাও পছন্দ করেননি। তখনই তারা ঠিক করেন আমার বদলে অন্য কাউকে অধিনায়ক করলে ভালো হবে।’
মূলত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখে তখন এতটা জনপ্রিয় ছিল না। যে কারণে এই ফরম্যাটে না খেলার পক্ষেই ছিলেন ভারতের সিনিয়র ক্রিকেটার শচীন, দ্রাবিড়, গাঙ্গুলীরা। তারা চেয়েছিলেন ২০০৭ বিশ্বকাপে যেন তরুণদের নিয়েই খেলা হয়। তবে তাদের এমন পরামর্শের পক্ষে ছিলেন না চ্যাপেল। যে কারণে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। আর সেখানে শামিল হন যুবরাজ।
ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘এটা সত্যি কি না, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। যদিও আমাকে হঠাৎ করেই সহ-অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শেবাগও দলে ছিল না। তাই মাহিকেই অধিনায়ক বেছে নেওয়া হয়েছিল ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য। আমি অধিনায়ক হব–এ রকম আশা কিন্তু আমার ছিল।’
তবে অধিনায়কত্ব না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ করছেন না যুবরাজ। অবশ্য করবেনই-বা কী করে? ধোনির অধীন ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ভারত। এরপর ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপও ঘরে তোলে তার অধীন। তা ছাড়া ভারতের ক্রিকেটে ধোনিকে মানা হয় অন্যতম সেরা অধিনায়ক হিসেবে। তবে ভারতের অধিনায়ক হতে পারাটাই যে বিরাট সম্মানের, সে সুযোগ হারিয়ে কিছুটা হতাশও তিনি।
যুবরাজ বলেন, ‘সীমিত ওভারে দলের সহ-অধিনায়ক ছিলাম। তাই আমার নেতৃত্ব পাওয়াই স্বাভাবিক ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই সুযোগটা পাইনি। অধিনায়ক হিসেবে ধোনি বেশ ভালো কাজ করছিল। আমি অধিনায়ক হলেও আমাকে চোটের জন্য দলের বাইরে যেতেই হতো। তাই আমার কোনো আক্ষেপ নেই ভারতের অধিনায়ক না হতে পারার জন্য। অবশ্যই এটা বিরাট সম্মানের।’
এসএইচ-২৩/১০/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)