ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত মুস্তাফিজ

চলতি আইপিএলের শুরুর দিকে দলে নিয়মিত সুযোগ পেলেও গেল চার ম্যাচে ডাগআউটে বসেই সময় কাটছে টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের। এদিকে, অনুশীলনে ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে তাকে।

জাতীয় দল বাদ দিয়ে যেই আইপিএল খেলতে যাওয়ায় দেশের ভেতর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। সেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও নিয়মিত সুযোগ মিলছে না। সবশেষ পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচসহ টানা চার ম্যাচ সাইডবেঞ্চে বসে কাটিয়েছেন। তার পরিবর্তে খেলা প্রোটিয়া তারকা এনরিখ নর্কিয়া ফর্মে ফেরায় বাকি ম্যাচগুলোতেও মুস্তাফিজের দলে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

অথচ কদিন আগেও দিল্লি ক্যাপিটালসের একাদশে মুস্তাফিজের নাম থাকা ছিল প্রায় নিশ্চিত। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে যাওয়ার পর কোয়ারেন্টানের কারণে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি। এরপর নেমেই গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৩ উইকেট। উড়ন্ত শুরুর পর প্রথম বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভালো বোলিং করে দলে জায়গা পাকাপোক্ত করেছিলেন কাটার মাস্টার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোলিংয়ের ধারও কমেছে তার।

এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সেগুলোর পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত বল করলেও রিদম ধরে রাখতে পারেননি ফিজ। শেষ দিকে গিয়ে প্রচুর রান দিয়েছেন, বিনিময়ে খুব বেশি উইকেটও পাননি। ৩২ ওভারে ৭.৬২ ইকোনমিতে ৮ উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজ। অবশ্য আইপিএলে মুস্তাফিজ ২০১৬ সালের পর কখনোই ম্যাচপ্রতি ১ উইকেটের বেশি পাননি। ২০১৬ সালে সবাইকে চমকে দেওয়ার বছরেও ১৬ ম্যাচে তার ১৭ উইকেট ছিল।

মুস্তাফিজকে কেন টানা তিন ম্যাচ বসিয়ে রাখা হয়েছে? এর পেছনে বড় ভূমিকা থাকতে পারে আইপিএলের দলগুলোর নতুন চিন্তাধারার। খেয়াল করলেই দেখা যাবে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে প্রতিটি দল দেশীয় তরুণ পেসারদের ওপর জোর দিয়েছে। এছাড়া অনেক দলেই এখন দেশি বাঁহাতি পেসার আছে। শুধু বাঁহাতি পেসার খেলাতে হবে, এই যুক্তিতে যেন কোনো বিদেশি কোটা পূরণ না হয়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতেই এ ব্যবস্থা।

এই কারণেই মুস্তাফিজের সঙ্গে দেশি দুই বাঁ-হাতিকেও কিনেও রেখেছিল দিল্লি। মুস্তাফিজের সাবেক রাজস্থান সতীর্থ চেতন সাকারিয়া ছাড়াও দলে নেওয়া হয়েছে খলিল আহমেদকে। টাইগার পেসারের তুলনায় খলিলের পারফরম্যান্স বরং আরও উজ্জ্বল। মাত্র ৭ ম্যাচে ৭.৮৫ ইকোনমিতে দিল্লির এ পেসার নিয়েছেন ১৪ উইকেট।

দিল্লির একাদশে বিদেশি ক্যাটাগরিতে ডেভিড ওয়ার্নার আর মিচেল মার্শের জায়গা নিশ্চিত। বাকি দুই জায়গার লড়াইয়ে এতদিন টিকেছিলেন মুস্তাফিজ। তবে এনরিখ নর্কিয়া ইনজুরি কাটিয়ে ফর্মে ফেরায় আবারও সাইডবেঞ্চে চলে যেতে হয়েছে মুস্তাফিজকে। এছাড়া কোটার আরও এক জায়গা পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন বেশ কয়েকটি ম্যাচে স্লগ ওভারে দুর্দান্ত খেলা রভম্যান পাওয়েল।

এদিকে, এদিকে চলতি আসরের প্রথম দুই দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে লখনৌ ও গুজরাট। আর প্লে-অফের জায়গা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে আইপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন রাজস্থানেরও। আর বাকি এক দল। সেই একটি স্পটের জন্য লড়ছে কোহলির দল বেঙ্গালুরু ও মুস্তাফিজের দল দিল্লি।

বেঙ্গালুরু বৃহস্পতিবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছে। যেখানে তারা টেবিলের শীর্ষ দল গুজরাটকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে। যার ফলে এখন তারা টেবিলের চারে অবস্থান করছে। তবে দিল্লি ২১ মে যদি মুম্বাইয়ের বিপক্ষে জয় পায়, তাহলে বেঙ্গালুরুকে হটিয়ে সেরা চারে জায়গা করে নেবে মুস্তাফিজের দল দিল্লি।

এসএইচ-০৬/২০/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)