মেয়ে ফুটবলারদের গ্রাম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের ভারত সীমান্তবর্তী পুকুরিয়া গ্রামের একদল মেয়ে এখন ‘ফুটবল কন্যা’। পারিবারিক দরিদ্রতা আর সামাজিক কুসংস্কারের পর্দা ছিঁড়ে তারা এগিয়ে যেতে চায় বহুদূর। সেই লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত চলে কঠোর অনুশীলন।

পৃষ্ঠপোষকরা বলছেন, সামাজিক আর অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও মেয়েদের সামনে এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখাতে চান তারা। জেলা ক্রীড়া পরিদপ্তর বলছে, সব ধরনের সহায়তা দেবেন তারা।

মেয়েরা খেলাধুলা করবে, তাও আবার ফুটবল! মাত্র কয়েক বছর আগেও এমন কথা কল্পনাও করতে পারেনি এলাকার মানুষ। কিন্তু এখন তারা সেই কল্পনাকে বাস্তবে পরিণত করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের মেয়েদের চোখেমুখে এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়।

অভিভাবকরা বলছেন, তাদের মেয়েরা এগিয়ে যাক। মেয়েদের সফলতা তাদের কাছে অনেক গর্বের। এজন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি তারা। অভাব-অনটন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মেয়েদের। নিয়মিত অনুশীলন এবং বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে ইতোমধ্যে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে তারা।

মেয়েরা সরকারি সহযোগিতা পেলে এলাকার সুনাম কুড়িয়ে আনতে পারবে বলে জানালেন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার ক্রীড়া একাডেমির কোচ সেতাউর রহমান।

একাডেমিকে পৃষ্ঠপোষকরা বলছেন, পারিবারিক আর সামাজিক নানা টানাপোড়েন পেরিয়ে তারা কঠোর অনুশীলন করছে। আমরা তাদের পাশে আছি। আমরা চাই তারা অনেক দূর এগিয়ে যাক।

জেলা ক্রীড়া পরিদপ্তরের মতে, মাত্র কয়েক মাস আগে প্রতিষ্ঠিত একাডেমিটি যেভাবে এগিয়েছে তা ঈর্ষনীয়। ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করতে অভিভাবকদেরও কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান জেলা ক্রীড়া অফিসার জাহাঙ্গীর আলম।

২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার ক্রীড়া একাডেমিতে ৩০ জন মেয়ে এবং ২০ জন ছেলে নিয়মিত অনুশীলন করে। ইতোমধ্যে পাইয়োনিয়ার লীগে ৭জন ছেলে অংশগ্রহণ করে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। ফাস্ট ডিভিশনে ডাক পেয়েছে ২ জন মেয়ে আর অপেক্ষমান আছে আরও ১ জন।

এসএইচ-০৮/১৫/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)