ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, স্বপ্ন বুনছেন টাইগ্রেসরা

ঘরের মাঠে নিজেদের দর্শকের সামনে বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশের নারীরা। খবরটা জানার পর থেকেই আনন্দে উদ্বেলিত নারী ক্রিকেট দল। উচ্ছ্বাসটা লুকাননি অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও। অকপটেই স্বীকার করলেন, নিজেদের স্কিল এবং ফিটনেসে উন্নতি এনে চ্যালেঞ্জটা নিতে চান পুরোপুরি। ব্যাটিং গভীরতায় সমস্যা থাকলেও তা উত্তরণ সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। দল আগের চেয়ে অনেক বেশি সংগঠিত থাকায় বিদেশি কোচিং স্টাফের অভাবটা ভোগাবে না বলেও বিশ্বাস ক্যাপ্টেনের।

২০১১-তে ভারত-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে প্রথমবার বিশ্ব আসর আয়োজনের উত্তেজনা ছুঁয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশকে। পরে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসর এককভাবে আয়োজন করে নিজেদের সামর্থ্যের কথা জানান দেয় ক্রিকেট বোর্ড। এরপর দীর্ঘদিনের অপেক্ষা দ্বিপক্ষীয় সফর কিংবা আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট কপালে জুটলেও একটা বিশ্ব আসরের অভাববোধ ছিল ভেতরে ভেতরে। অবশেষে আইসিসির সভা থেকে ২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরের স্বাগতিক হওয়ার খবর পেল লাল-সবুজের দেশ।

খবরটা জানতেই নারী ক্রিকেটারদের আনন্দ একটু বেশিই ছুঁয়ে যায়। কন্ডিশনিং ক্যাম্প চলায়, নিজেদের মধ্যেই ভালোলাগাটা উদ্‌যাপন করেছেন তারা। স্বপ্ন এবার ঘরের মাঠে দর্শকের সামনে বাইশ গজ মাতানো।

অধিনায়ক জ্যোতি বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা অনেক বড় একটা বিষয়। স্বাগতিক হয়ে খেলার বাড়তি সুবিধা তো আছেই। যেটা খেলোয়াড়দেরও অনুপ্রেরণা জোগাবে।’

এফটিপিও অনুমোদন পেয়েছে আইসিসির এবারের সভায়। সেখানে ম্যাচের সংখ্যা বেড়েছে নারীদের। আছে অনেক ওভারসিজ ট্যুরও। এ অবস্থায় দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেস এবং স্কিল ঠিক রাখাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন অধিনায়ক।

নারী দলের এ অধিনায়ক বলেন, ‘যখন আমরা বেশি বেশি ম্যাচ খেলব, তখন ক্রিকেটারদের সবাইকে পাওয়ারও একটা ব্যাপার থাকবে। ফিট থাকাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে। এ জন্যই এখন থেকে কাজ করতে হবে। আশা করি, কন্ডিশনিং ক্যাম্পের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের স্কিলে আরও উন্নতি হবে। তখন আরও বেশি ম্যাচ খেলতে পারবে সবাই।’

এত বেশি ক্রিকেটের জন্য প্রয়োজন অনেক বেশি ক্রিকেটার। কিন্তু, হাতে গোনা জাতীয় দলের কয়েকজন ছাড়া সেভাবে লাইমলাইটে নেই কেউ। তবে বিষয়টা মানতে নারাজ ক্যাপ্টেন। পাইপলাইন নিয়ে একেবারেই দুশ্চিন্তা নেই তার।

নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, অনূর্ধ্ব-১৯ এবং ইমাজিং টিম থেকে কিছু খেলোয়াড় উঠে এসেছে। সব মিলিয়ে পাইপলাইনে এখন ভালো কিছু ক্রিকেটার আছেন। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে একটু ধীরে চলো নীতিতে হাঁটতে চান জ্যোতি। ব্যাটিং গভীরতা বাড়াতে কাজ শুরু হওয়ায় ফরম্যাটটি নিয়ে আশাবাদীই মনে হলো তাকে।

এসএইচ-১২/২৭/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)