বিপিএলে দলের মালিকানায় সাকিব-মাশরাফী!

এশিয়া কাপের ডামাডোলে অনেকটা নিভৃতেই চলছে বিপিএলের কার্যক্রম। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের আগামী তিন মৌসুমের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আগ্রহ প্রকাশের সময়সীমা শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। ৭টি ফ্র্যাঞ্চাইজির বিপরীতে যেখানে আগ্রহ দেখিয়েছে ৯টি প্রতিষ্ঠান। আগ্রহ দেখানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সাকিব আল হাসানের প্রতিষ্ঠান মোনার্ক হোল্ডিংসও রয়েছে। এ ছাড়া গুঞ্জন আছে মালিকানায় থাকতে পারেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।

বিপিএলের গত আসরে ফরচুন বরিশালের স্পন্সর হিসেবে ছিল সাকিব আল হাসানের প্রতিষ্ঠান মোনার্ক হোল্ডিংস। শোনা যাচ্ছে, এককভাবে মালিকানা নিতে আগ্রহী তার প্রতিষ্ঠান।

এদিকে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিতে নতুন বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফিরছে পুরনোরা। গত তিন মৌসুম দেখা যায়নি রংপুর রাইডার্সকে। তবে এবার বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি আগামী তিন মৌসুমের জন্য বিপিএলে যুক্ত হতে আগ্রহী। গত আসরে অংশ নেয়া তিন ফ্র্যাঞ্চাইজি আকতার, ফরচুন এবং প্রগতি গ্রুপ আগামীতেও বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব নিতে চায়।

আগ্রহ দেখিয়েছে নতুন চারটি প্রতিষ্ঠান। সাকিবের মোনার্ক হোল্ডিংস ছাড়াও আরও রয়েছে রুপা অ্যান্ড মার্ন গ্রুপ। গতবার শেষ মুহূর্তে ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যুতে ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব পায়নি তারা। এ ছাড়া নতুন করে যুক্ত হয়েছে ফিউচার স্পোর্টস ও বৈশাখী গ্রুপ। গুঞ্জন আছে ফিউচার স্পোর্টসের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানায় থাকতে পারেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও।

তবে বিপিএলে নতুন করে আগ্রহ দেখায়নি তিন হেভিওয়েট, বেক্সিমকোর মালিকানাধীন ঢাকা ডায়নামাইটস, জেমকন গ্রুপের খুলনা টাইটান্স ও তিনবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। গত আসরেও ছিল না বেক্সিমকো ও জেমকন। কিন্তু বিপিএলের সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের না থাকাটা অবাক করার মতোই। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি ক্রিকেটার না পাওয়াই এর মূল কারণ। কিন্তু বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স থাকুক বিপিএলের সঙ্গে। যার জন্য তাদের আবেদনের জন্য ৭ দিনের বাড়তি সময় মঞ্জুর করেছে বিসিবি।

তবে সমস্যা একটা থেকেই যাচ্ছে। সেটা বিপিএলের সঙ্গে আরব আমিরাতের টি-২০ লিগের সাংঘর্ষিক সূচি। এরই মধ্যে চড়া পারিশ্রমিকে তারকা ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিগের দলগুলো। ফলে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো পাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত খেলোয়াড়দের। তাই বিপিএলের সূচি পরিবর্তন করা যায় কি না এমন আলোচনাও উঠেছে। সূচি অনুযায়ী আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বিপিএলের নবম আসর। অন্যদিকে, আরব আমিরাতের নতুন টি-টোয়েন্টি লিগ ৬ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।

বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দুশ্চিন্তা আরও বাড়াতে পারে একই সময়ে শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন টি-টোয়েন্টি লিগও। কারণ, সেখানে আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারিন, মঈন আলী, আন্দ্রে ফ্লেচার, ডিজে ব্রাভো ও মুজিব উর রহমানসহ যারা খেলবেন, তাদের বেশির ভাগই বিপিএলের গত আসরগুলোতে খেলেছেন।

এসএইচ-০৩/০১/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)