কাতার বিশ্বকাপে খেলবেন ১৪ মেসি!

২০২২ কাতারই শেষ বিশ্বকাপ। আর তাঁকে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাবে না লিওনেল মেসিকে। পরের বিশ্বকাপে হয়তো দেখা যাবে অন্য মেসিদের। ‘ তবে সবাই তো আসল মেসি নন। মেসি একজনই। বাকিরা সবাই ‘নকল মেসি’।  একজন নয়, ১৪ জন।

সোমবার দোহায় নেমে আসা জাপানি বিস্ময়কর টেকফুসা কুবো থেকে ‘ইরানি মেসি’ সর্দার আজমাউন, সুইজারল্যান্ডের জেরদান শাকিরি, যিনি ‘আল্পাইন মেসি’ নামে পরিচিত, ক্যামেরুনিয়ানের কাছে যার প্রকৃত নাম লিওনেল মেসি, লিওনেল মেসি ন্যামসি, এছাড়াও রয়েছেন ‘মেক্সিকান মেসি’ লুকা রোমেরো। আর সর্বোপরি আর্জেন্টিনার নিজস্ব লিওনেল মেসি তো রয়েছেনই।

পাওলো দিবালা, আর্জেন্টিনা : বল নিয়ন্ত্রণ এবং লম্বা শটের জন্য পরিচিত। তার সম্ভাবনা জাস্টিফাই করতে পারেনি। আর্জেন্টিনা এখন তরুণ তারকা আলেজান্দ্রো গার্নাচোর উপর আশা করছে মেসির পদাঙ্ক অনুসরণ করবে।

লিওনেল মেসি নিয়ামসি, ক্যামেরুন : একজন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। মেসি নামে ফ্রান্সের ষষ্ঠ বিভাগে টুলুস রোডিও নামের একটি ক্লাবের হয়ে মাসে ৪০০ ইউরোতে খেলেন।

অ্যালেন হ্যালিলোভিক, ক্রোয়েশিয়া : ’বলকান মেসি’ নামে পরিচিত। আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার। প্রায় এক দশক আগে বার্সেলোনা ছাড়ার পর থেকে ৯টি ক্লাবে খেলে এক ধরণের ‘জার্নিম্যান’ ফুটবলার হয়ে উঠেছেন।

খ্রিস্টান আতসু, ঘানা : তাঁর নড়াচড়া এবং ড্রিবলিং দক্ষতা তাঁকে একসময় মেসির সাথে তুলনা করা হত। কিন্তু তাঁর কেরিয়ার কখনই প্রত্যাশিতভাবে শুরু হয়নি। তিনি এখন তুর্কি লিগে হাতায়স্পোরের হয়ে খেলেন।

মারিও গোয়েটজে, জার্মানি : কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার মেসির সাথে গোয়েটজের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তারপর থেকেই তাঁকে ‘জার্মান মেসি’ বলা হত। ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান দলে ছিলেন, ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাননি। এবছর কাতার বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াডে ফিরে এসেছেন।

রদার আজমাউন, ইরান : ইরানের মেসি, আজমাউন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের ভক্ত। যদিও তাঁর অনুগামীরা মেসির সঙ্গে তুলনা বন্ধ করেনি। ‘মেসির মতো দৌড় এবং জ্লাতানের মতো মাথা’, অনুগামীরা এভাবে তুলনা করেন।

টেকফুসা কুবো, জাপান : তিনি মেসির মতো একই বয়সে লা মাসিয়াতে যোগ দিয়েছিলেন। মেসির মতোই গুণাবলী প্রদর্শন করেছিলেন। দুপায়ে অবিশ্বাস্য শট নিতে পারেন। কাতার বিশ্বকাপে তাঁর দিকে নজর দিতে হবে।

লুকা রোমেরো, মেক্সিকো : মেক্সিকোতে আর্জেন্টিনার বাবামায়ের কাছে জন্ম। স্পেনে বেড়ে ওঠা। রোমেরো আর্জেন্টিনার হয়ে বয়সভিত্তিক দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলেছেন। রোমেরোর তিনটি দেশেরই পাসপোর্ট আছে। তাদের মধ্যে যে কোনও একটির প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য। তাঁকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়।

মাতেউজ মুসিয়ালোস্কি, পোল্যান্ড : ১৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারকে ইংলিশ মিডিয়ায় এই প্রজন্মের প্রতিভা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। লিভারপুল খেলোয়াড় তাঁর ড্রিবলিং ক্ষমতা এবং দুই-তিনজন ডিফেন্ডারকে অতিক্রম করার সহজাত দক্ষতার জন্য পরিচিত।

আন্দ্রিজা জিভকোভিচ, সার্বিয়া : তাঁর দক্ষতা এবং গতির সমন্বয়, সেট পিস থেকে গোল করার দক্ষতা, তাঁকে সার্বিয়ান মেসি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তিনি সার্বিয়াকে ২০১৫ অনুর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেছিলেন।

বোজান ক্রিকিক, স্পেন : বার্সেলোনা স্কোয়াডের অংশ হওয়ার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় তরুণ খেলোয়াড়দের একজন। এই উইঙ্গারকে কাতালান দলে মেসির উত্তরসূরি হিসাবে দেখা হয়েছিল। তবে, তিনি প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি এবং এখন জাপানের ক্লাব ফুটবল খেলেন।

জারদান শাকিরি, সুইৎজারল্যান্ড : ‘আলপাইন মেসি’ নামে পরিচিত। শাকিরি সুইৎজারল্যান্ডের অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। গোলের সামনে ক্লিনিকাল হওয়ার জন্য, চমৎকার দৃষ্টিশক্তি এবং বলের উপর দারুন দক্ষতার জন্য তিনি এই ডাকনাম অর্জন করেছিলেন।

উসুফ মাসাকনি, তিউনিসিয়া : চোটের জন্য ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। এবছর তিনি কাতার বিশ্বকাপে খেলবেন। তাঁকে ‘তিউনিশিয়ার মেসি বলা হয়।

এসএইচ-০৫/২০/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)