হকি ফেডারেশনের নির্বাহী সভায় ক্যাসিনো মমিনুল

গত আড়াই বছর কোনো হদিস ছিল না। কিন্তু যেই দেশের রাজনৈতিক বসন্ত ফিরে এলো ঠিক তখনই তার আবির্ভাব। বলছি ২০১৯ সালে আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে পলাতক ছিলেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের কথা।

সাঈদের অনুপস্থিতিতে হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি যুগ্ম সম্পাদক-১ মো. ইউসুফ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। গত আড়াই বছরের বেশি সময় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন মো. ইউসুফ।

সম্প্রতি সময়ে দেশে ফিরে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) হকি ফেডারেশনের নির্বাহী সভায় আসলেন মমিনুল হক সাঈদ। তবে আজ ফ্যালকন হলে ফেডারেশন সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নানসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সবাই স্বাগত জানালেন সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত মমিনুল হককে। সাঈদ পুনরায় ফিরে আসায় হকি অঙ্গনে নতুন মোড় নিয়েছে। তার প্যানেলে থাকা কর্মকর্তারা ফের চাঙ্গা হয়েছেন।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের আগে মমিনুল ছিলেন হকি ফেডারেশনের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। তবে ২০২০ সালে ফেডারেশনের তৎকালীন সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল মাশিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। শোনা গিয়েছিল মমিনুল আছেন সিঙ্গাপুরে। প্রায় তিন বছর পর গত ৩০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন তিনি। তবে দেশে ফিরলেও গ্রেপ্তার এড়াতে প্রকাশ্যে আসছিলেন না। আজই তাঁকে প্রকাশ্যে কোনো সভায় আসতে দেখা গেল।

মমিনুলের স্বপদে ফেরা নিয়ে আইনগত কোনো বাধা নেই বলেই সভা শেষে জানিয়েছেন ফেডারেশনের সভাপতি ও বিমানবাহিনীর প্রধান শেখ আবদুল হান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তিনি কমিটিতে ঢুকবেন। এ ব্যাপারে যদি কোনো নীতিগত বাধা না থাকে তাহলে আমার পক্ষ থেকে তো কোনো বাধা নেই। এখানে যারা কমিটির অন্যান্য সদস্য আছেন, সবাই মিলে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে অনুমতি দিয়েছেন। যদি অন্য কোনো বাধা না থাকে তাহলে তিনি যোগ দেবেন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।’

সভা শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাইছিলেন না। তবে শেষ পর্যায়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আমার জীবনের চেয়ে, আমার দুই সন্তানের চেয়ে ক্রীড়াঙ্গনকে বেশি ভালোবাসি। আমাকে বাঁচতে দিন। দয়া করে আমাকে মাফ করে দিন। আমাকে সুষ্ঠু জীবন নিয়ে কাজ করতে দেন। আমি তিনটা বছর অনেক কষ্ট করেছি। এই মুহূর্তে মাকে হাসপাতালে রেখে এসেছি। শুধু আমাকে রিকোয়েস্ট (অনুরোধ) করা হয়েছে এমন একটা জায়গা থেকে, উপায় নেই। জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট (হকি ফেডারেশনের সভাপতি) বসে আছেন (কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়), অ্যাটেন্ড (যোগ দিতে) করতেই হবে। এ জন্য এসেছি। এখানে আসার পর কোনো কিছু বাধাগ্রস্ত হবে না বলেই আমার মনে হয়।’

এসএ-১৪/০২/২৩ (স্পোর্টস ডেস্ক)