সবার শীর্ষে থেকে রেকর্ডবুকে বাবর

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকে নিজের নামকে একের পর এক কীর্তির শীর্ষে লিখছেন বাবর আজম। তবে বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ব্যাট হাতে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিলেন না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজও ‘গোল্ডেন ডাক’ দিয়ে শুরু করেছিলেন এই পাকিস্তানি অধিনায়ক। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি রানে ফিরলেও ফিফটির পর আর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। তবে এর মাঝেই বড় একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন বাবর।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) শেষ ওভারের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে ১ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। রহমানউল্লাহ গুরবাজের দেড়শ পেরোনো ইনিংসে ভর করে আফগানরা প্রথমে বরাবর ৩০০ রান সংগ্রহ করে। যার জবাবে ভালোই লড়ছিল বাবরের দল। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে দিয়ে ফেরেন ইমাম উল হক। তার ৯১ রানের ইনিংস ছাড়াও বাবর ৫৩ এবং শাদাব খান করেন ৪৮ রান।

তবে মিডল অর্ডারদের ব্যর্থতায় পাকিস্তানের হাত থেকে ম্যাচ প্রায় ফসকে যেতে বসেছিল। তবে শেষ ওভারে নাসিম শাহের দৃঢ়তায় তা আর হয়নি। ফলে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নাটকীয় জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ইতোমধ্যে নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান।

এদিন মাঝারি মানের ইনিংস খেলার আগেই বড় একটা রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন বাবর। ১০০তম ওয়ানডে ইনিংস খেলতে নেমে তিনি সর্বোচ্চ রানের মাইলফলকে পৌঁছান। সমান সংখ্যক ম্যাচে যা বিশ্বের যেকোনো ব্যাটারের চেয়ে বেশি। ১০০ ইনিংসে ৪৫ বারই ফিফটি বা তার চেয়ে বেশি রান করেছেন বাবর। এর মধ্যে তিনি ১৮টি ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন। ফরম্যাটটিতে ৫৮.৪৩ গড়ে বাবরের সংগ্রহ ৫১৪২ রান।

এতদিন পর্যন্ত ১০০ ওডিআই ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ছিল প্রোটিয়া কিংবদন্তি হাশিম আমলার। ওই সময়ে তিনি ২৫ ফিফটি ও ১৭ সেঞ্চুরিতে করেছিলেন ৪৯৪৬ রান। তালিকায় এর পরের নামটা ক্যারিবিয়ান গ্রেট ভিভিয়ান রিচার্ডসের। ৫৬.০৭ গড়ে ৪৬০৭ রান করেছিলেন ভিভ। ১০০ ইনিংসে এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের সেঞ্চুরি ছিল ৮টি এবং ফিফটি ৩৪টি। এ তালিকায় কোহলির অবস্থান নবম। প্রথম ১০০ ইনিংসে ৫০–এর কম গড় নিয়ে ৪৯.৭৬ কোহলির রান ছিল ৪২৩০।

অবশ্য রশিদ খানদের বিপক্ষে কালকের ম্যাচের আগেই পাঁচ হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন পাকিস্তানি এই তারকা ব্যাটার। ৯৯ ইনিংসেই বাবরের রান ছিল ৫০৮৯। আমলাদের ছাড়িয়ে যেতে শুধু ১০০তম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামাটাই দরকার ছিল বাবরের।

এসএ-০৪/০৮/২৩ (স্পোর্টস ডেস্ক)