মাঠ নিয়ে লজ্জার মুখে ভারতীয় বোর্ড

নানান সমালোচনায় বেড়াজালেই আটকে আছে ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বাজে আউটফিল্ডের কারণে এই মাঠের ওপর ধেয়ে আসছে একের পর এক মন্তব্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মনোরম পরিবেশের কারণে সুনাম কুড়ালেও আউটফিল্ডের কারণে নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হচ্ছে ধর্মশালা।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ধর্মশালায় গড়াবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার ম্যাচ। তবে এ ম্যাচের আগে সোমবার সেখানে হয়েছে বৃষ্টি। এতে মাঠের আউটফিল্ডের অবস্থা আরও শোচনীয়। যদিও প্রথম ম্যাচের পর থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল এই মাঠের আউটফিল্ড।

আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচের দিনে মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে উড়ছিল ধুলো। রান-আপ নিতে গিয়ে পা ভারী হয়ে যাচ্ছিল বোলারদের। এমনকি ফিল্ডারদের ডাইভেও প্রচুর ধুলো উড়তে দেখা গেছে। এ ছাড়া মাঠের কোথাও ঘাসের পরিমাণ বেশি, আবারও কোথাও এতই কম যে দূর থেকেই মাটি দেখা যাচ্ছিল।

ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্য বক্সেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আউটফিল্ড ইস্যু নিয়ে মজাও করেন ধারাভাষ্যকাররা। এই সময়ে ড্রোন শটে পার্শ্ববর্তী একটি স্কুল মাঠ দেখানো হচ্ছিল। তখন মজা করে ম্যাথু হেইডেন বলে ওঠেন, এই দুই মাঠের আউটফিল্ডই কাছাকাছি মানের। আউটফিল্ড ইস্যুতে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক নাসের হুসেইনও হাসাহাসি করেন।

প্রথমবার এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে সবচেয়ে ধনী এই ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমলের মাঠ ধর্মশালার কারণে বারবার লজ্জার মুখে বিসিসিআই।

ম্যাচের দিনও সেখানে আকাশ মেঘলা রয়েছে। আউটফিল্ড এখনও শুকানো যায়নি। ফলে সেখানে কাজে লাগানো হয়েছে সুপারসপার। তবে ম্যাচের আগে মাঠ কতটা শুকনো থাকবে, তাই এখন চিন্তার বিষয়। যদিও এ নিয়ে বেশ আশাবাদী হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা।

বোর্ড সচিব অবনীশ পার্মার ভাষ্য, আগামী ম্যাচের জন্য আমরা তৈরি। সবরকম ব্যবস্থা করা আছে।

তিনি যোগ করেন, আমরা স্বাভাবিক আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে কাজ করছিলাম। কিন্তু এই বছর বৃষ্টিটা অনেকদিন ধরে চলছে। সেটাই মাঠের ক্ষতি করে দিয়েছে।

এদিকে এ মাঠে আগামী ২২ অক্টোবর ভারত-নিউজিল্যান্ড এবং ২৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ রয়েছে। আর মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) গড়ানোর কথা ডাচ-প্রোটিয়াদের ম্যাচ।

এ প্রসঙ্গে এই বোর্ড কর্তার দাবি, ম্যাচ সরানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। খেলা এখানেই হবে। বিশ্বকাপের সূচি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

এর আগে আউটফিল্ড নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার মন্তব্য, মাঠের কিছু জায়গায় কাদা রয়েছে। যদিও আমাদের খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তবে খেলার উত্তেজনার মাঝে হঠাৎ করে মাঠে ডাইভ দেওয়ার সময় কী হবে, বলা যায় না। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

ডাচ কোচ রিয়ান কুক আবার মজার ছলে বলেছেন, আমরা যে ধরনের মাঠে খেলে অভ্যস্ত তার থেকে অনেক ভালো আউটফিল্ড এখানে।

এসএ-০৪/১০/১৭ (স্পোর্টস ডেস্ক)