রিয়াদের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও বড় হার বাংলাদেশের

পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬০ রানের আগেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে একাই দলকে টেনেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। একপ্রান্ত আগলে রেখে তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। তবে ততোক্ষণে জয়ের পথ থেকে অনেকটাই সরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ভালোভাবেই লড়াই করলেও বড় ব্যবধানেই হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বাংলাদেশকে ১৪৯ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৩৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৩৩ রানে থেমেছে টাইগাররা।

ম্যাচটা অবশ্য এতদূর এগোতোই না। অনেক আগেই অলআউট হয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে বাংলাশের লজ্জাজনক হার এড়িয়েছেন রিয়াদ। ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ১১১ বলে করেছেন ১১১ রান। বাংলাদেশের মোট রানের প্রায় অর্ধেকটাই এসেছেন ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে।

পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবে সেখান থেকেই পথ হারানো শুরু টাইগারদের। মার্কো ইয়েনসেনের করা সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে লিজাড উইলিয়ামস ফেরান সাকিব আল হাসানকে।

পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারানোর পর দ্বাদশ ওভারে মুশফিকুর রহিমকে ফেরান গেরাল্ড কোয়েতজে। ১৫তম ওভারে দলীয় ৫৮ রানে কাগিসো রাবাদার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন লিটন দাস। কেশভ মহারাজের বলে ক্যাচ দিয়েছ ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

সপ্তম উইকেটে নাসুম আহমেদের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন রিয়াদ। ১৯ বলে ১৯ রান করে নাসুম ফেরার পর হাসান মাহমুদও রিয়াদকে সঙ্গ দিয়েছেন কিছুটা। তবে রিয়াদ সবচেয়ে বড় জুটিটি গড়েন মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। এই জুটিতে ৬৮ রান আসে, যার বেশিরভাগই রিয়াদের ব্যাট থেকে। সেঞ্চুরি করে রিয়াদ ফিরলে এক ওভারের মধ্যে অল আউট হয় বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে টস হেরে বোলিংয়ে নেমে ষষ্ঠ ওভারে রিজা হেন্ডরিকসকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ ধরিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। হেন্ডরিকস আউট হওয়ার পরের ওভারেই ফন ডার ডুসেনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মেহেদী মিরাজ। মিরাজের অফস্পিন বলটা ফাইন লেগে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ডানহাতি এই ব্যাটার।

দ্রুত দুই উইকেট হারিয়েও কুইন্টন ডি কক এবং এইডেন মার্করামের জুটিতে দ্রুত ম্যাচে ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ১৩১ রানের জুটি গড়েন এইডেন মার্করাম এবং ডি কক। ৬০ রান করা মার্করামকে লং অফে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাকিব।

জুটি ভেঙে অবশ্য আরও বড় বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। পাঁচে নেমে ক্লাসেন রীতিমতো টর্নেডো ব্যাটিং করেছেন। সেঞ্চুরির পর ডি ককও বাড়ান রানের গতি। ১৩২ রানের বিধ্বংসী জুটিতে তারা বল খেলেছেন মোটে ৮৭টি। ১৫ চার এবং ৭ ছয়ে ১৪০ বলে ১৭৪ রান করেছেন ডি কক। ৮ ছক্কা ও ২ চারে ৪৯ বলে ৯০ রানের দানবীয় ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন ক্লাসেন।

ডাবল হান্ড্রেড করার সম্ভাবনা তৈরি করে শেষমেশ ১৭৪ রানে ফেরেন ডি কক। ক্লাসেনেরও সুযোগ ছিল সেঞ্চুরির। তবে দুজনকেই আউট করেছেন হাসান মাহমুদ। তবে ততোক্ষণে রানের পাহাড় গড়ে ফেলেছে আফ্রিকান দলটি। শেষদিকে ১৫ বলে ৩৪ রানের ক্যামিওতে ৩৮২ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।

এসএইচ-১৮/২৪/২৩ (স্পোর্টস ডেস্ক)