৬ ব্যাটারের হাফ সেঞ্চুরিতে ৫৩১ রানে থামল শ্রীলংকা

৮৬, ৯৩ ও ৯২; বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে দিমুথ করুনারত্মে, কুশল মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিসের রান। সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন তারা। হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন নিশান মাদুশকা, দিনেশ চান্ডিমাল আর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও। কেউ সেঞ্চুরি না পেলেও এই ৬ ব্যাটারের হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে অলআউট হয়েছে শ্রীলংকা।

সিলেটে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে বড় হার দেখায় চট্টগ্রাম টেস্ট পরিণত হয়েছে বাঁচা-মরার যুদ্ধে। তবে এই টেস্টও ভালো কাটছে না নাজমুল হোসেন শান্তদের। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৪ উইকেটে ৩১৪ রান নিয়ে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা লংকানরা এদিন কোনো উইকেট না হারিয়েই তুলে ফেলে ৩৭৫ রান। অবশেষে সাকিব আল হাসানের আঘাতে ভাঙে দিনেশ চান্ডিমাল ও ধনাঞ্জয়ার ৮৬ রানের জুটি। ফিফটি পার করার পর ৫৯ রানে থেমেছেন চান্ডিমাল। ৫ উইকেটে ৪১১ রান নিয়ে মধ্যাহ্ণ বিরতিতে যায় শ্রীলংকা।

দ্বিতীয় সেশনে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় তারা। ওই রানেই অধিনায়ক ধনাঞ্জায়াকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন খালেদ। এরপর কামিন্দুর সঙ্গে জুটি বাঁধেন প্রভাত জয়াসুরিয়া। দিনের দ্বিতীয় সেশনে আরও একটি উইকেট হারায় লংকানরা। ৪৭৬ রানের মাথায় প্রভাতকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ফেরান সাকিব। এই রান নিয়েই চা বিরতিতে যায় ৭ উইকেট হারানো শ্রীলংকা।

তবে অন্য পাশে উইকেট পরলেও কামিন্দু ছিলেন অবিচল। তৃতীয় সেশনের শুরুতে শান্তর দুর্দান্ত এক থ্রোয়ে ফেরেন বিশ্ব ফার্নান্দো। ৪৯৭ রানে ৮ উইকেট হারানো শ্রীলংকা তাদের নবম উইকেট হারায় ৫১৮ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বড় শট খেলতে দিয়ে বোল্ড হন লাহিরু কুমরা। শেষের দিকে তাইজুল ইসলামের এক ওভারে ২টি ছক্কা মেরে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন কামিন্দু। তবে নন স্ট্রাইকে থাকা আসিথা ফার্নান্দো উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে আসলে রান আউট করে দেন তাইজুল। ৫৩১ রানে থামে শ্রীলংকা।

৩৭ ওভারে ১১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার এই টেস্টেই দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর দলে ফেরা সাকিব আল হাসান। ২টি উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত বোলার হাসান মাহমুদ। ১টি উইকেট খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের। তবে ১ উইকেট পেতে মিরাজকে ৪৬ ওভারে দিতে হয়েছে ১৪৬ রান।

এসএ-০৬/৩১/২৪(স্পোর্টস ডেস্ক)