সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসছে নতুন বিধিনিষেধ

ফেসবুক, ইউটিউব ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষেত্রে নতুন একটি প্রবিধান তৈরি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বিটিআরসি তাদের প্রকাশিত প্রবিধানে জানিয়েছে, ইন্টারনেটভিত্তিক মাধ্যমগুলোকে বাংলাদেশে কর্মী নিয়োগ করতে হবে, সশরীর যোগাযোগের ঠিকানা থাকতে হবে, অভিযোগ নেওয়া ও নির্দিষ্ট সময়ে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। আদালত ও বিটিআরসি নির্দেশ দিলে নির্দিষ্ট কনটেন্ট বা আধেয় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে।

এ ছাড়াও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক জরুরি পরিস্থিতিতে শুনানি ছাড়াই যেকোনো কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখবে বলে খসড়ায় জানানো হয়েছে।

মূলত উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এই খসড়া প্রবিধানটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। এর আগে কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়া কিংবা রেখে দেওয়ার জন্য বিটিআরসিকে সংশ্লিষ্ট মাধ্যমগুলোর ওপরই নির্ভর করতে হতো।

নতুন এই খসড়াটি মূলত সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ডিজিটাল মাধ্যম এবং সব ওভার দ্য টপ (ওটিটি) মাধ্যমের জন্য প্রযোজ্য হবে।

‘ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন রেগুলেশন-২০২১’ শিরোনামের ১৬ পৃষ্ঠার খসড়া প্রবিধানমালা অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে হুমকির মুখে ফেলে এবং সরকারের গোপনীয়তা ভঙ্গ করে–এমন কিছু প্রচার করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত লাগে–এমন কিছু প্রচারে বিরত থাকতে হবে। পর্নোগ্রাফি, গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারী এবং অবমাননা ও মানহানিকর আধেয় প্রচার করা যাবে না।

খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, এই প্রবিধানে নিষিদ্ধ আধেয় ব্যবহারকারী মুছে ফেললেও তদন্তের জন্য ১৮০ দিন সংরক্ষণ করতে হবে।

বিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে খসড়ায় বলা হয়েছে, বিধি লঙ্ঘনকারী কোনো বার্তা আদান-প্রদান করলে আদালত ও বিটিআরসির নির্দেশ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট বার্তা প্রথম যিনি দিয়েছিলেন, তাকে শনাক্ত করে দিতে হবে। প্রথম ব্যক্তি যদি দেশের বাইরে অবস্থান করেন, তবে দেশে যিনি অবস্থান করবেন, তিনি প্রথম বলে অভিযুক্ত হবেন।

এসএইচ-০৪/১৭/২২ (প্রযুক্তি ডেস্ক)