মালদ্বীপেও ভীড় হয় মাশরাফি-সাকিবদের খেলা দেখতে

বাংলাদেশিদের কাছে ক্রিকেটটা আবেগের জায়গা। মাশরাফি, সাকিবরা তাই যেখানেই থাকেন না কেন, তাদের সমর্থন দিতে গ্যালারিতে ভীড় জমান টাইগার সমর্থকরা। ভিনদেশে এবারের বিশ্বকাপ (ইংল্যান্ড) হলেও সেখানে দেখা যাচ্ছে একই চিত্র।

ইংল্যান্ডে থাকা প্রবাসীরাই গ্যালারি পূর্ণ করে ফেলছেন। দর্শক জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। প্রিয় দলের ম্যাচ দেখতে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে স্টেডিয়ামে আসছেন টাইগার ভক্ত-সমর্থকরা।

দেশে তো সমর্থন সবসময়ই পাওয়া যায়। বিশ্বকাপের মাঠেও সমর্থন দিচ্ছেন বাংলাদেশিরা। কিন্তু যারা দেশে কিংবা ইংল্যান্ডে নেই, তারাও কি প্রিয় দলের জন্য এভাবে ভিড় জমান? কাজ বাদ দিয়ে কি তারাও দলকে এভাবে সমর্থন দিতে পারেন?

আসলে বাংলাদেশের মানুষ যে কতটা ক্রিকেটপাগল তার একটা খন্ডচিত্র দেখা গেল এবার মালদ্বীপে। বাংলাদেশের প্রায় ৫০ হাজারের মতো মানুষ কাজ করেন এই দেশে।

বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে তারা যেন নিজেদের কাজের কথাও ভুলে গেছেন। বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের দিন মালদ্বীপের একটা এলাকা যেন হয়ে গিয়েছিল এক টুকরো মিরপুর।

মালদ্বীপে অবস্থানরত প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর আয়োজন করে ‘মিডিয়ানেট’ নামক এক সংবাদ মাধ্যম। আর সেখানে ম্যাচ দেখতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের।

স্টেডিয়ামের মতোই সেখানে দাঁড়িয়ে-বসে খেলা দেখেছেন তারা। প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে হাততালি দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ বলে গলাও ফাটিয়েছেন।

দেশের প্রতি বাংলাদেশিদের এমন আবেগ আর সমর্থন দেখে রীতিমত মুগ্ধ মালদ্বীপের ক্রীড়া মন্ত্রী আহমেদ মালুফ। এমন বর্ণিল আয়োজন করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সেই সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

টুইটারে মালুফ লেখেন, ‘বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ দেখতে হাউজফুল হয়ে গেছে সোশ্যাল সেন্টার এবং একুভেনি এলাকা। দেশকে সমর্থন করার জন্য দুই জায়গায় এতো মানুষ দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। ধন্যবাদ মিডিয়ানেট দ্রুত সময়ে এতো বড় আয়োজন করার জন্য।’

খেলার প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেন মালদ্বীপের ক্রীড়ামন্ত্রী আহমেদ মালুফ। এক সময় ফুটবলার হিসেবে মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি।

ইনজুরির কারণে ফুটবলের ক্যারিয়ার লম্বা না হলেও এরপরে মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন সাবেক এই ফুটবলার। এরপর ২০০৯ সাল থেকে যোগ দেন দেশটির রাজনীতিতে এবং ২০১৮ সালে দায়িত্ব নেন মালদ্বীপের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে।

এসএইচ-১৯/২১/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)