বাংলাদেশের আশা জাগানিয়া পুঁজি

মাশরাফি, তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ-বাংলাদেশ দলের এই পঞ্চপাণ্ডবের একসঙ্গে এটা ১০০তম ওয়ানডে। জয়ের উপলক্ষ্য দারুণ। কিন্তু বাংলাদেশ উপলক্ষ্যটাকে জয়ে রাঙাতে পারবে কিনা, বলবে সময়। তবে মিরপুরে আশা জাগানিয়া পুঁজিই গড়েছে বাংলাদেশ। তামিম, মুশফিক ও সাকিবের ফিফটিতে ৭ উইকেট হারিয়ে গড়েছে ২৫৫ রানের পুঁজি।

এমনিতে আধুনিক ক্রিকেটে ওয়োনডেতে ২৫৫ রানের স্কোর মামলিই। কিন্তু মিরপুরের স্লো উইকেটের কথা মাথায় রেখে পুঁজিটাকে আশা জাগানিয়াই মনে হচ্ছে। আশা দিচ্ছে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশি বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংও। দুই দিন আগে এই মিরপুরেই প্রথমে ব্যাটিং করা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মোটে ১৯৫ রানে আটকে দিয়েছিল বাংলাদেশি বোলাররা।

ক্যারিবীয়দের জয়বঞ্চিত করতে আজ তার চেয়েও ৬০ রানের বেশি পুঁজি পাচ্ছেন বোলাররা। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, রুবেল, সাকিব, মেহেদী হাসান মিরাজরা নিশ্চিয় আশার জালই বুনছেন।

আজ টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় বাংলাদেশকে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই পড়তে হয় উশানে থমাসের ঝড়ের মুখে। হ্যাঁ, শুরুতে ছোট্টখাট একটা ঝড়ই তুলেন থমাস। ক্যারিবীয় তরুণ পেসারের সেই ঝড়ে শুরুতে এলোমেলোই হয়ে বাংলাদেশের ইনিংস। নিজের প্রথম এবং ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই বাংলাদেশ শিবিরে একটা ধাক্কা দেন থমাস। উইকেট নিয়ে নয়। ওপেনার লিটন দাসকে আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়ে।

থমাসের ইয়র্কার লেন্থের বলটি ফ্লিক করতে গিয়ে পায়ে চোট পান লিটন দাস। সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রেচারে করে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়। পরে এক্স-রের জন্য যেতে স্থানীয় এক ক্লিনিকে। বাংলাদেশের রান তখন ৯, লিটনের ৫। লিটনের আহত বিদায়ে ব্যাটিংয়ে নামে ইমরুল কায়েস। কিন্তু থমাসের পরের ভারে তিনি শুন্য রানেই আউট। লিটন হাসপাতালে, ইমরুল আউট। ফেলে শুরুতেই বিপদের শঙ্কা। তবে সেই বিপদ কাটিয়ে দলকে আলোর পথে ফিরিয়েছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহীম।

দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেট গড়েন ১১১ রানের জুটি। দলকে টেনে তোলার পর অবশ্য দুজনেই বিদায় নেন প্রায় গলাগলি ধরে। তবে তার আগে দুজনেই পূর্ণ করেন হাফসেঞ্চুরি। দেবেন্দ্র বিশুর শিকার হওয়ার আগে তামিম করেন কাটায় কাটায় ৫০। এই পথে তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গড়েন তিন সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে ১২ হাজার রানের মাইলফলক। বর্তমানে তার আন্তর্জাতিক রান ১২০০৩।

তামিমের চেয়ে আরও ১২ রান বেশি করে মুশফিক আউট হন ৬২ রানে। রান করায় তাকেও টেক্কা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এক ছক্কা ও ৬ চারে তিনি ৬১ বলে করেছেন ৬৫ রান। এছাড়া উল্লৈখ্য করার মতো রান যা করেছেন মাহমুদউল্লাহ, ৩০।

হাসপাতালে যেতে হলেও আগেই জানা গেছে লিটনের চোট গুরুতর নয়। তার প্রমাণও মিলেছে। হাসপাতাল ঘুরে এসে দলের প্রয়োজনে ঠিকই আবার ব্যাট হাতে নেমে পড়েন লিটন। কিন্তু মাঠে নামার স্বস্তি দেওয়া পর্যন্তই। ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পারেননি। ৫ রানের সঙ্গে আর মাত্র ৩ রান যোগ করে তিনি আউট হন ৮ রানে।

ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে থমাসই সেরা। তিনি নিয়েছেন ৩টি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন কেমার রোচ, কেমো পল, বিশু ও রোস্টন চেস।

এসএ্ইচ-১০/১১/১২ (স্পোর্টস ডেস্ক)