রক্তে লেখা এ এক অন্য বিয়ের গল্প

রক্তে লেখা এ

বিয়ের রিসেপশনের নিমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে রক্তদানের আবেদন হবু দম্পতির, সঙ্গে রক্তদান সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর প্রচার। বলা বাহুল্য, অভিনব এই আবেদন শুনে দুহাত তুলে আশীর্বাদ জানানোর পাশাপাশি রিসেপশনের দিন উপস্থিত থেকে রক্তদানের আশ্বাস দিলেন আমন্ত্রিতরা। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

আজকাল বিয়ে উপলক্ষে আকছার দেখা যায়, হবু বর ও কনে ‘প্রি-ওয়েডিং ফোটো শুট’ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু গতানুগতিক মূলস্রোত থেকে বেরিয়ে নিজেদের বিয়েকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে সামাজিক সচেতনতার কাজে নিয়োজিত হলেন ময়নাগুড়ির এই হবু দম্পতি।

বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হতে চলেছেন বাবুপাড়ার বাসিন্দা পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার প্রীতম দাস (৩০) এবং ময়নাগুড়ির দেবীনগরের বাসিন্দা সুকন্যা সাহা (২৭), যিনি সদ্য বিএড পড়া শেষ করেছেন। একটি নাচের স্কুলও আছে তাঁর।

৮ মার্চ প্রীতম ও সুকন্যার শুভ বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়, এবং ১০ মার্চ, রবিবার তাঁদের বৌভাত। আর বৌভাতের দিনই তারা এক অভিনব রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন। সকাল ১১ টা থেকে এই রক্তদান শিবির শুরু হয় বলে জানান তাঁরা। শিবিরের ঠিকানা, ময়নাগুড়ি মাতৃ সংঘ পুজো ময়দান।

প্রীতম জানান, “আমি আগে থেকেই রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বরাবর চেয়েছিলাম রক্তদান শিবিরকে রক্তদান উৎসবের রূপ দিতে। তাই এই উদ্যোগ। সবার সহযোগিতা চাইছি।”

সুকন্যা বলেন, “পরিবারের সবাই খুব একসাইটেড। পুরোপুরি সার্পোট করছেন। যেখানে নিমন্ত্রণ করতে যাচ্ছি, সবাই আমাদের দুহাত তুলে আশীর্বাদ করছেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।”

ব্লাড ডোনার অর্গানাইজেশনের সম্পাদক রাজা বৈদ্য বলেন, “বিয়েতে রক্তদান এক অভিনব প্রয়াস। রক্তদান শিবির এখন রক্তদান উৎসবে পরিণত হয়েছে। নব দম্পতিকে অগ্রিম বিয়ের শুভেচ্ছা জানাই। বিয়েতে আত্মীয় বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা ১,০০০ হাজার হলে, ১০০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করতেই পারেন। আমাদের ১০ মার্চ বৌভাতে রক্তদান অনুষ্ঠান কামাখ্যাগুড়িতেও রয়েছে।”

আরএম-১৮/২৩/০৩ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)