চার স্তরের নিরাপত্তায় ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দান

দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। তবে নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত শেষ করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন। ২০১৬ সালের ভয়ানক জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় রেথে নেয়া হচ্ছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ঈদের দিন যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবার প্রথম বারের মতো চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সাদা ও পোশাকে এক হাজার ২০০ পুলিশ, ১০০ র্যাব ছাড়াও মোতায়েন থাকছে ৫ প্লাটুন বিজিবি। ৩২টি নিরাপত্তা চৌকি ছাড়াও ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে থাকছে স্ট্রাইকিং ফোর্স।

চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় পার হয়ে মুসল্লিদের প্রবেশ করতে হবে মাঠে। এ ছাড়া মাঠের চারপাশে বিভিন্ন গেটে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দেহ তল্লাশি করা হবে। থাকবে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা। নামাজের সময় শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান ও আশপাশের আকাশে নজরদারি করবে শক্তিশালী ড্রোন ক্যামেরা।

বৃহস্পতিবার শোলাকিয়া মাঠের প্রস্তুতি সরেজমিন দেখতে গিয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মুসল্লিরা নিরাপদে ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়ে আবারও নিরাপদে যাতে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন সে জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বহিরাগতদের নজরদারি করার জন্য এরই মধ্যে মাঠের আশপাশের বাসাবাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

নিরাপত্তার স্বার্থে শোলাকিয়া মাঠে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না মুসল্লিরা। এবার শোলাকিয়া ঈদগাহে ১৯২তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

২০১৬ সালের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন সকালে শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে পুলিশের একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে দুই পুলিশ সদস্য, এক এলাকাবাসী ও এক হামলাকারী নিহত হয়।

বিএ-১৭/৩০-০৫ (আঞ্চলিক ডেস্ক)