মানিকগঞ্জে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মাত্র ১৩ বছরের এক কিশোরীকে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে তার বাবার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি শিবালয় উপজেলার যমুনা নদীর দুর্গম আলোকদিয়া চরে এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে শিবালয় থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ছুটে যান ওই কিশোরীর বাড়িতে। এ সময় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পায় ওই কিশোরী।
স্থানীয়রা জানান, শিবালয়ের তেওতা আলোকদিয়া চরের ‘ডাকাত সর্দার’ জুলহাস মোল্লার বিবাহিত ছেলে সোলায়মানের (৩২) সঙ্গে বিয়ের কথা পাকা করেন ওই কিশোরীর বাবা। কিন্তু কিশোরী এ বিয়েতে অসম্মতি জানায়। তবে ‘ডাকাত সর্দারের’ ভয়ে মেয়েকে রাজি করাতে তাকে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন কিশোরীর বাবা। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীরা প্রশাসনকে খবর দেন।
শিবালয় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফিরোজ কবির বলেন, কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বিয়ের আয়োজন করার খবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানার অফিসার-ফোর্স নিয়ে দুর্গম আলোকদিয়া চরে কিশোরীর বাড়িতে যাই। পরে কিশোরীর বাবা ও কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, গ্রামবাসী তাকে জানিয়েছেন বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মেয়ের বাবা মেয়েকে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা বলেন, কিশোরীর ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোথায়ও তাকে বিয়ে দেবে না এমন শর্তে মুচলেকা দিয়েছেন তার বাবা। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএইচ-২৬/০৯/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)