নিউ অরলিয়েন্সে মার্ডিগ্রা উৎসবে বাংলাদেশিরাও

নিউ অরলিয়েন্সে আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে মার্ডিগ্রা উৎসব। সহস্রাধিক বছরের পুরাতন এই উৎসবের উৎপত্তি ইউরোপে। প্রায় তিনশত বছর পূর্বে ফরাসী ঔপনিবেশিক শাসকেরা এর প্রচলন করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিয়েন্সে।

প্রায় চারশত ফ্লোট (শতাধিক ফুট দীর্ঘ দ্বিতল সুসজ্জিত ট্রাক), বিশ হাজার মুখোশ পরিহিত বহুরূপী, শতাধিক মিউজিক ব্যান্ড, কয়েকশত মধ্যযুগীয় পোশাক পরিহিত অশ্বারোহী সমন্বয়ে নাচে গানে মুখরিত হবে গোটা শহর।

লক্ষ লক্ষ দর্শক বিচিত্র সাজ-সজ্জায় সারাটি দিন উপভোগ করবে আনন্দধারা। শুধু একদিন নয়, দুই সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে এই বিপুল উৎসব। শেষ দিন হল মার্ডিগ্রার দিন।

কয়েক বছর ধরে নিউ অরলিয়েন্সের সর্ববৃহৎ প্লেজার ক্লাব এন্ডিমিয়ানের ক্যাপটেন ফ্লোটে বাংলাদেশি আমেরিকান ড. মোস্তফা সারওয়ার (ডেলগাডো কমিউনিটি কলেজের ভাইস চ্যান্সেলর এবং রিজিওনাল ট্র্যাঞ্জিট অথরিটির কমিশনার) লক্ষ লক্ষ দর্শকের দিকে ছুড়েছেন বিচিত্র রং এবং আকারের বীড দিয়ে তৈরি মালা, মুদ্রা সদৃশ ডাবলুন এবং বিচিত্র খেলনা। নিজে পরিধান করেছেন মধ্যযুগীয় অভিজাত পোশাক।

তিনি অংশগ্রহণ করেছেন নিউ অরলিয়েন্সের বিখ্যাত সুপারডোমে অনুষ্ঠিত এন্ডিমিয়ান বোলে। বসেছেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের মাইনরিটি হুইপ এবং গেল বারের মেজরিটি হুইপ কংগ্রেসম্যান স্টিভ স্ক্যালিসের সন্নিকটে।

স্ত্রী ডাঃ সাঈদা সারওয়ারের সঙ্গে উপভোগ করেছেন সংগীত ও নৃত্যের মোহনীয় রাত। মার্ডিগ্রা বোলের প্রায় তিনশত বছরের ইতিহাসে ডাঃ সাঈদা সারওয়ার ছিলেন একমাত্র শাড়ী পরিহিত মহিলা।

ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোস্তফা সারওয়ার এবং ডাঃ সাঈদা সারওয়ার নিউ অরলিয়েন্সের সংস্কৃতির মূলধারায় অংশগ্রহণ করেছেন বাংলাদেশি স্বকীয়তা বজায় রেখে। ড. সারওয়ার বলেছেন, “মার্ডিগ্রা এক ধরনের যাদুকরী এবং প্রমোদ ব্যাকুল নিদারুন কার্নিভ্যাল।

বিশাল ফ্লোটের দুইতালা থেকে দেখেছি মানুষের চোখে, মুখে, হাসিতে, চিৎকারে এক স্বর্গীয় আনন্দের প্লাবন। মানুষের আনন্দ দেখে আমি ভুলেছিলাম সারাদিনের ক্লান্তি। বীডসের মালা, ডাবলুন, আর খেলনা ছুড়ে ছুড়ে সময় যে গড়িয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না।’’

এসএইচ-১৮/০৪/১৯ (প্রবাস ডেস্ক)