শাক-সবজি ফলিয়ে লন্ডনে বাংলাদেশি যুবকের সাফল্য

করোনায় বন্দিদশাকে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশি এক যুবক সবার দৃষ্টি কেড়েছেন। বাড়ির পেছনের পরিত্যক্ত আঙ্গিনায় ২৭ ধরনের শাক-সবজি ফলিয়ে লন্ডন প্রবাসীদের কাছে তিনি এখন দৃষ্টান্ত।

উদ্যোমী এই যুবকের নাম সাইফুর রহমান ইতাম। তার পৈতৃক বাড়ি রাজবাড়ী সদরে। পেশায় তিনি হলিডে ইন হোটেলের প্রধান শেফ। ফলে তার রয়েছে বাড়তি সুবিধা। নিজের ফলানো সবজি দিয়েই করছেন নানা ধরনের রান্না।

জানা যায়, লক ডাউনের সময় তার কর্মস্থল হলিডে ইন হোটেল অন্য প্রতিষ্ঠানের মতো বন্ধ হয়ে যায়। বিশাল অবসর। কী করবেন এই অফুরন্ত সময়ে, তা ভাবতে ভাবতে মাথায় আসে বাসার পেছনে একচিলতে গার্ডেনের কথা। পরিত্যক্ত আঙ্গিনায় গড়ে তোলেন একটি শাক-সবজির বাগান। সেখানে তিনি দেশি বিদেশি ২৭ পদের শাক-সবজির চাষ করেন।

আশাতীত সাফল্য আসে এতে। বাড়ির আঙ্গিনায় তিনি বিভিন্ন জাতের লাউ, মরিচ, লালশাক, কুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, বাঁধা কপি, বেগুন. টমেটো, বরবটি চাষ করেছেন।

ইংল্যান্ডের আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করে ২১ ধরনের মরিচও চাষ করেছেন তিনি। বিদেশের মাটিতে সফল এই বাংলাদেশি পরিবার পরিজন নিয়ে থাকেন ইংল্যান্ডের এসেস শহরে। করোনারিতে মাস্টার্স করেছেন। বাগান করেই ক্ষান্ত হননি তিনি।

অন্যকে উৎসাহিত করতে প্রায়ই বাগানে ‘ওপেন ডে’র আয়োজন করেন। যারা তার এই বাগানের মতো নিজেদের আঙ্গিনাকে কাজে লাগাতে চান, তাদের তিনি সহায়তা করছেন। কখন কোনো সবজি লাগাতে হয়, এর পরিচর্যা কেমন, ইত্যাদি তিনি হাতে কলমে শিখিয়ে দিচ্ছেন।

সাইফুর রহমান বলেন, এই বাগান শুধু যে শাক-সবজির যেজগান দিচ্ছে, তা নয়। প্রতিদিন নিজের পেশাগত কাজ শেষ করে বাগানের পরিচর্যা করতে এলে মন ভরে যায়। আনন্দ ও প্রফুল্ল আসে। প্রাণশক্তি ফিরে পাই। এতে দেহের ইমিউনিটি বাড়ে।

তিনি বলেন, এক ওপেনে ডেতে কমিউনিটির লোকদের আপ্যায়ন করতে নিজের ফলানো ২৭ ধরনের শবজি দিয়ে বিভিন্ন স্বাদের ৬০ ধরনের খাবার রান্না করি। চাইনিজ ও ইটালিয়ান খাবারও এই সবজি দিয়ে তৈরি করি। বাগান করা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য যে উপকারী, সেই অভিজ্ঞতাও সবার কাছে তুলে ধরছি।

এসএইচ-০৫/১৭/২০ (প্রবাস ডেস্ক)