তুরস্কে সেকেন্ড হোমের জন্য ২০০ বাংলাদেশির আবেদন

তুরস্কে বিনিয়োগ করে অন্তত ২০০ বাংলাদেশি সেকেন্ড হোমের জন্য আবেদন করেছে। এরইমধ্যে অনেকেই পেয়েছেন নাগরিকত্ব।

২০১৮ সালে বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়ার নিয়ম করে তুরস্ক সরকার। আড়াই লাখ ডলার বিনিয়োগ করে বিশ্বের যে কোনো দেশের নাগরিক তুরস্কের নাগরিকত্ব পাবেন। এই সুযোগ পেয়ে গেল তিন বছরে অন্তত ২০০ বাংলাদেশি দেশটিতে নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করেছেন।

আবেদন করা বাংলাদেশিদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীই বেশি। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া থেকেও আবেদন করেছেন বাংলাদেশিরা।

অনেকেই ব্যবসার নামে বা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার তৃতীয় দেশ থেকেও টাকা বিনিয়োগ করছেন তুরস্কে। ২০১৫ থেকে ২০ পর্যন্ত বিদেশিদের কাছে ১ লাখ ৯০ হাজার বাড়ি বিক্রি করেছে তুরস্ক।

সেকেন্ড হোম হিসাবে তুরস্কে বিনিয়োগের আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেক বাংলাদেশি। এরইমধ্যে নাগরিকত্বও পেয়েছেন। কিন্তু এই বিনিয়োগ বৈধ প্রক্রিয়ায় হয়েছে কি না সে প্রশ্ন থেকে যায়।

এদিকে সারা বিশ্ব থেকে প্রতি বছর ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দেয় তুরস্ক সরকার। বাংলাদেশ থেকে এই স্কলারশিপের সুযোগ খুব বেশি শিক্ষার্থী না নিলেও সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এ বছরে ৪৭ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি নিয়ে পড়ালেখা করতে গেছেন।

জানা গেছে, ব্যবসা শিক্ষা, বিজ্ঞান শিক্ষায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ছাড়াও গবেষণায় উচ্চতর ডিগ্রি নিতে তুরস্কের প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। ইস্তাম্বুলের খ্যাতনামা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ইয়েলডিজ টেকনিক ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করতে এসে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন একমাত্র বাংলাদেশি ড. শাহেন শাহ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করার সুযোগ বাড়ছে। ব্যাচেলদের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশে তুর্কি অ্যাম্বাসিতে একটা পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার মাধ্যমে তারা নির্বাচন করে। মাস্টার্স ও পিএইচডির ক্ষেত্রে অ্যাম্বাসিতে ইন্টারভিউ হয়। সেখান থেকে তারা বাছাই করে। আর টপ র‌্যাংকিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে হলে জিআরই, জিম্যাট বা ইংলিশে পড়তে গেলে টোফেল লাগে।

তবে যেসব বাংলাদেশি ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করতে যাচ্ছে তাদের মতে, তুরস্কে পড়ালেখার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ভাষাগত দক্ষতা।

এসএইচ-১৪/০৭/২১ (প্রবাস ডেস্ক)