দিনে ২ লাখ ওমিক্রন সংক্রমণের আশঙ্কায় অস্ট্রেলিয়া

আগামী জানুয়ারির শেষের দিকে কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিদিন ২ লাখ মানুষের ওমিক্রনে আক্রান্তের আশঙ্কা করছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এটি বিস্ময়কর মনে হলেও আগামী কয়েক মাস অস্ট্রেলিয়াকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে।

ক্রিস্টমাসও নিউ ইয়ারের উৎসবে মানুষের অবাধ অংশগ্রহণ এবং বেশিরভাগ বিধিনিষেধ বাতিল করাকে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়ানোর মূল কারণ হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সীমান্ত খুলে দেওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে অবাধ চলাফেরা বেড়েছে। যা সংক্রমণ ছড়ানোর আরেকটি কারণ বলে মনে করছেন তারা।

ফেডারেল স্বাস্থ্য বিভাগ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কয়েক হাজারে পৌঁছাবে যাবে। এছাড়া, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার মতো প্রভাবশালী হয়ে উঠবে।

বুধবার জাতীয় মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, সরকার নতুন ভ্যারিয়েন্টকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার চিফ মেডিকেল অফিসার পল কেলি এবং রাজ্য ও অঞ্চলগুলো প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মাস্ক পরা পুনরায় বাধ্যতামূলক করতে লিখিত সুপারিশ করেছেন। চিফ মেডিকেল অফিসার বলেছেন, এটি বাধ্যতামূলক না হলেও অস্ট্রেলিয়ানদের মাস্ক পরা উচিত। আমি এখন থেকে যেখানেই যাব সেখানেই মাস্ক পরবো।

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ওমিক্রনের জন্য নতুন কোনো বিধিনিষেধ আরোপ হবে না। মানুষের সাধারণ জ্ঞানের পরিধি এখন আরও প্রসারিত করা গুরুত্বপূর্ণ। নিজেরাই নিজেদেরকে রক্ষা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী মাস্ক ব্যবহার এবং বুস্টার ডোজ নিতে অস্ট্রেলিয়ানদের উৎসাহিত করেছেন। বুস্টার শটের সময়সীমা ইতোমধ্যে ৬ মাস থেকে কমিয়ে ৫ মাস করা হয়েছে। আরও কমানোর বিষয়টি বিবেচনাধীন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার ফার্মাসিস্টদের প্রতি শট ১০ ডলার পরিমাণে অর্থপ্রদান বৃদ্ধি করবে। যেন তারা ছুটির সময়েও কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহী হয়।

তিনি বলেন, বুস্টার শট সরবরাহের জন্য রাজ্যগুলোকে আবার টিকাকেন্দ্রগুলো চালু করতে হবে।

এসএইচ-২৬/২২/২১ (প্রবাস ডেস্ক)