ব্রিটেনে বিয়ের প্রবণতায় এগিয়ে বাংলাদেশিরা

ব্রিটেনে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের তুলনায় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিয়ে করার হার ৪৫ গুণ বেশি। অর্থাৎ দেশটিতে বসবাসরত বিয়ের বিশ্বাস শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর মধ্যে অনেক বেশি। গবেষণা সংস্থা সিভিটাস জানিয়েছে, ২০৬২ সালে ব্রিটেনে বিয়ের হার ৭০ শতাংশ কমে যাবে।

যুক্তরাজ্যের শিশু ও পরিবারবিষয়ক গবেষণা সংস্থা সিভিটাসের সমীক্ষা বলছে, ব্রিটেন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিয়ের সংস্কৃতি। এমন প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে ২০৬২ সাল নাগাদ দেশটি থেকে বিয়ের সংস্কৃতি অদৃশ্য হয়ে যাবে। ২০১৯ সালে ব্রিটেনে বিবাহিত দম্পতি ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার। ২০৬২ সালে এই সংখ্যা নেমে আসবে ৬৭ হাজারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ৫০ বছর পর যুক্তরাজ্যে প্রতি ৪০০ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে বিবাহিত দম্পতি থাকবে মাত্র একটি। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রিটেনে বিয়ে করার হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের তুলনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বিয়ের হার ৪৫ গুণ বেশি। আর দেশটিতে বসবাসরত ক্যারিবীয় অশ্বেতাঙ্গদের তুলনায় এই হার ৭১ গুণ বেশি।

সিভিটাসের সবশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২১ সালে বিয়ে করার হার কমেছে ৪৪ শতাংশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিয়ে না করে সিভিল পার্টনারশিপে থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়লেও ব্রিটেনের জনশুমারির তথ্যে দেখা গেছে, এমন সম্পর্কে থাকা মানুষের সংখ্যাও কমছে।

ব্রিটেনে খ্রিস্টান, ইহুদি, মুসলমান, হিন্দু ও শিখ ধর্মে বিশ্বাসীদের বিয়ের হার ধর্মে অবিশ্বাসীদের তুলনায় ২৪ গুণ বেশি। আবার ধর্মে বিশ্বাসীদের তুলনায় অবিশ্বাসীদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের হার ২১ শতাংশ বেশি।

ব্রিটেনের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের (ওএনএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সাল ছিল ব্রিটেনের ইতিহাসে প্রথম বছর, যখন বিবাহিত দম্পতির চেয়ে অবিবাহিত মা-বাবা বেশি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বিয়ের হারের ক্ষেত্রেও ২০২২ সালে সবচেয়ে কম সংখ্যক যুগল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

এসএইচ-০৬/১৩/২৩ (প্রবাস ডেস্ক)