বিকাল ৩:০৮
বৃহস্পতিবার
২১ শে আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
৬ ই ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬ শে সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

মাইলস্টোনের ৩ শিক্ষক সাহসিকতার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধান উপদেষ্টা

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী, মাসুকা বেগম ও মাহফুজা খানম মানবতা ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে এ জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল, দুই ছেলে আদিল রশিদ ও আয়ান রশিদ, বোন মেহেতাজ চৌধুরী, ভাই মুনাফ মজিব চৌধুরী ও নিকট আত্মীয় কাওসার হোসেন চৌধুরী; শিক্ষক মাসুকা বেগমের বোন পাপড়ি রহমান ও ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান এবং শিক্ষক মাহফুজা খাতুনের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা, বোন মুরশিদা খাতুন, ভাগনে মো. মাইদুল ইসলাম ও নিকট আত্মীয় হুমায়ূন কবির।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন পার হলেও এই স্মৃতি এখনো সবার মধ্যে দগদগে হয়ে আছে। আমি ঘটনা জানামাত্রই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা যে দুঃসময়ের মধ্যে ছিলেন, সেসময়ে দেখা করা সমীচীন হতো না। আমরা আপনাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু এই দুঃসহ স্মৃতি মুছে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, এ শোক আপনাদের একার নয়। জাতি হিসেবে আমরা এই শোককে ধারণ করি।’

এসময় তিন শিক্ষক পরিবারের কাছে তাদের স্মৃতিকথা শুনতে চান প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের কথা শুনতে কষ্ট লাগে। একই সঙ্গে গর্ববোধ হয় যে আমাদের দেশে এমন নাগরিক আছে যারা অন্যের জীবন বাঁচাতে আগুনে ঝাপ দিয়েছে। মানবতার এই দৃষ্টান্ত তারা প্রমাণ করে গেছে। আমরা ক্ষুদ্র মানব ছিলাম, তারা আমাদের বড় করেছে। সবার ভেতরে নাড়া দিয়েছে।’

‘এই শিক্ষকগণ আমাদের গর্ব, আমাদের আদর্শ। তাদের স্মৃতি আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, আমাদের তা করব।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

এআর-০১/১৯/০৮ (জাতীয় ডেস্ক)

১৮ বছর পর চাকরি ফিরে পেলেন ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তা

২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত হওয়া ৮৫ জন উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (১৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এর আগে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে আপিল বিভাগ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন। রায়ে চাকরি হারানো কর্মকর্তাদের সব সুযোগ-সুবিধা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে আপিল বিভাগ এসব কথা বলেছেন।

এসব কর্মকর্তার আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে ইসির সিনিয়র সচিবের কাছে সরাসরি বা ই-মেইলের মাধ্যমে যোগদানপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছে। উক্ত তারিখে যোগ না দিলে চাকরিতে যোগদান করতে সম্মত নন মর্মে ধরে নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালে এ ৮৫ জন কর্মকর্তা নিয়োগ পান। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে (২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর) তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও চারটি পৃথক রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি চাকরি ফেরতের এ রায় দেন। সে রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এসব কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করল ইসি।

এআর-০৩/১৮/০৮ (জাতীয় ডেস্ক)

তিন শর্তে পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া যেতে পারে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

তিন শর্তে চাকরিজীবী পুরুষদের পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।

সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

তিন শর্তের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, শিশুকে সময় দিতে হবে, শিশুর যত্ন নেওয়ায় সমান অংশগ্রহণ থাকতে হবে এবং শিশুটির মায়ের সেবা করতে হবে। পিতৃত্বকালীন ছুটি যদি দিতে হয়, তাহলে সেখানে লিখিত শর্ত থাকবে।

নূরজাহান বেগম বলেন, শিশুদের গুঁড়া দুধ খাওয়াতে উদ্বুদ্ধ না করে সমন্বিতভাবে মাতৃদুগ্ধের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই। যেখানে ধারণ ক্ষমতা ২ হাজার ৬০০ সেখানে রোগী আসে ৫ হাজার। এক হিসাব অনুযায়ী ৬৫ শতাংশ ডেলিভারি হয় হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এবং ৩৫ শতাংশ গৃহে। কাজেই ধাত্রীদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।

এ সময় উপদেষ্টা বলেন, মাতৃদুগ্ধ নিয়ে কাজ এককভাবে সরকার বা স্বাস্থ্য সেক্টরের নয় বরং এনজিও কর্মী থেকে শুরু করে মসজিদের ইমামেরও। খুতবায় এ বিষয়ে কথা বলা যেতে পারে। এমনকি মন্দির ও গির্জায় সচেতনতামূলক আলোচনা হতে পারে। এখানে মিডিয়ারও দায়িত্ব আছে। মিডিয়া আমাদের কাজগুলো, সচেতনতামূলক কার্যক্রমগুলো উপস্থাপন করে জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে পারে।

তিনি বলেন, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে শিশু ভালো দুধ পাবে। কাজেই মায়ের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে।

 
এআর-০২/১৮/০৮ (জাতীয় ডেস্ক)

নির্বাচনী রোডম্যাপের খসড়া প্রস্তুত, চলতি সপ্তাহে প্রকাশ: ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনী রোডম্যাপের খসড়া করা হয়েছে। ইসির অনুমোদনের পর চলতি সপ্তাহে এটা প্রকাশ করা হবে।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি সচিব এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রোডম্যাপ বিষয়ে এই সপ্তাহে একটা কর্মপরিকল্পনার ব্যাপারে বলা হয়েছিল। এটা সমন্বয় করা হচ্ছে। আন্ত অনুভাগ প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে রোডম্যাপের খসড়া করা হয়েছে। এটা এখন কমিশনে দিয়ে আমরা অনুমোদন করবো। এরপর এই সপ্তাহের ভেতরে রোডম্যাপ দিতে পারবো।

এদিন নির্বাচন ভবনে মাঠ কর্মকর্তাদের সমন্বয় নিয়ে বৈঠক করেছে ইসি সচিবালয়। এরই মধ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন ইসি সচিব।

ভোট প্রস্তুতির এ মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই বলে মন্তব্য করে আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা তো আরও পরের ব্যাপার। আমাদের কনসার্ন হওয়ার এই মুহূর্তে কোনো কারণ আছে? আমরা আমাদের জিনিসটা গুছিয়ে নিচ্ছি। যে যার জায়গাটাকে গুছিয়ে নিলেই তো হয়ে যাবে। নির্বাচন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে আমরা এই মুহূর্তে জড়িত।

তিনি জানান, মাঠপ্রশাসনে যারা আছেন, তারা রেসপেক্টিভ এরিয়াতে কাজ করছেন। আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে যারা আছেন, তারাও রেসপেক্টিভ এরিয়াতে করছেন। আমাদের ভেতরে একটা যোগাযোগ তো আছেই। এটা নিয়ে এই মুহূর্তে আমার কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই।

ইসি সচিব বলেন, মাঠপ্রশাসনে নিয়োজিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় ও তাদের কার্যপরিধি এবং ফোকাল পারসন নির্ধারণের ব্যাপার রয়েছে। এসব বিষয়ে পরিপত্র-নির্দেশনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কিত কাগজপত্র তৈরি করা নিয়ে একটা মিটিং চলছে। আমরা কো-অর্ডিনেট করার চেষ্টা করছি, যেন আমরা সময়মতো কাজগুলোকে গুছিয়ে রাখতে পারি।

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস বিষয়ে তিনি বলেন, সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আপত্তিগুলোর শুনানি ২৪ আগস্ট থেকে শুরু করব। একটানা চারদিন শুনানি শেষে এটাকে চূড়ান্ত করব।

 
এআর-০১/১৮/০৮ (জাতীয় ডেস্ক)

আসন দিয়ে এনসিপি নেতাদের কেনা সম্ভব নয়: হাসনাত আবদুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) আসন ভাগাভাগির রাজনীতিতে যাবে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের আসন দিয়ে কেনা যাবে না, আমরা বিক্রি হতে আসিনি।’

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ মনে করেন, আসন ভাগাভাগি বা সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন মানে হবে মধ্যরাতের ভোটের পুনরাবৃত্তি। তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করব না। জনগণের সামনে বিকল্প থাকতে হবে। আগের মতো ওসিনির্ভর বা প্রশাসননির্ভর নির্বাচন আমরা চাই না।’ আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি সরাসরি বলেন, ‘আমরা বিক্রি হতে আসিনি। আসন দিয়ে আমাদের কেনা সম্ভব নয়। নতুন বাংলাদেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য। জনগণের আস্থা থাকলেই আমরা টিকে থাকব।’

বিভিন্ন গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁদের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর ছড়ানো হচ্ছে বলে হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন। তবে এখন পর্যন্ত একটি প্রমাণও হাজির করা যায়নি বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, ‘এক বছরে একজনও যদি প্রমাণ দিতে পারে যে আমরা দুর্নীতি করেছি—নথি, অডিও, ভিডিও, সিসিটিভি ফুটেজ, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু ভুয়া সংবাদ দিয়ে চরিত্রহনন করা হলে তার দায় নিতে হবে।’

এনসিপির এই নেতা বলেন, কেবল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেই হবে না, বরং পুরো রাজনৈতিক খেলার নিয়ম পরিবর্তন করতে হবে। আগে দেখা গেছে, রেফারি গোল দিয়েছে, প্রশাসন খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে। এবার নিয়ম বদলাতে হবে। রেফারি রেফারি থাকবে, খেলোয়াড় খেলোয়াড় থাকবে। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।

এআর-০২/১৬/০৮ (জাতীয় ডেস্ক)

এই দেশ সবার, একসাথে শান্তিতে বসবাস করব: সেনাপ্রধান

এই দেশ সবার এবং এখানে সবাই শাস্তিতে বসবাস করবে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর পলাশীর মোড়ে কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন করে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খানও উপস্থিত ছিলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে যাচ্ছি। আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে, সেই সম্প্রীতি ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ আমরা সব সময় বজায় রাখব। এই দেশ সবার, আমরা একসাথে এ দেশে শান্তিতে বসবাস করব।’

এসময় সেনাপ্রধান জানান, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ধর্মীয় সব উদযাপনে দেশবাসীর পাশে রয়েছেন।

পরে মিছিলটি ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে উদ্দেশে রওনা হয়।

শনিবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ জন্মাষ্টমী। হিন্দু ধর্ম অনুসারে এই দিন জন্ম দেন ভগবান শ্রী কৃষ্ণ। জন্মাষ্টমী উদযাপনে সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় হয় শ্রীশ্রী গীতাযজ্ঞ।

এদিকে, জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

এআর-০১/১৬/০৮ (জাতীয় ডেস্ক)

সাবেক তিন গভর্নর ও ছয় ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ও ছয় ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে বুধবার (১৩ আগস্ট) দেশের সব ব্যাংকে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তালিকায় থাকা সাবেক গভর্নররা হলেন: ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের মধ্যে এই তিনজন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পদে ছিলেন। তাদের আমলে ব্যাংক খাতের একাধিক দুর্নীতি, ঋণ কেলেঙ্কারি ও রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটে।

ড. আতিউর রহমানের সময়ে সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারি, বেসিক ব্যাংকের জালিয়াতি এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটে। রিজার্ভ চুরির পর তিনি পদত্যাগ করেন।

ফজলে কবিরের সময়ে ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দখল, ঋণখেলাপি গোপন এবং ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নীতি চালু হয়, যা থেকে অনেক ব্যবসায়ী বিদেশে অর্থ পাচার করেন।

অন্যদিকে আব্দুর রউফ তালুকদারের সময়ে ঋণখেলাপিদের ছাড়, বেনামে ঋণ বিতরণ এবং এস আলম গ্রুপকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছাপানো টাকা ঋণের নামে দেয়া হয়।

তলব করা সাবেক ছয় ডেপুটি গভর্নর হলেন: সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, মাসুদ বিশ্বাস, এস এম মনিরুজ্জামান, আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাছের।

এদের মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী ও মাসুদ বিশ্বাস বর্তমানে জেলহাজতে আছেন। অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যাংক খাত বিপর্যয়ের অভিযোগ রয়েছে।

এআর-০২/১৩/০৮ (জাতীয় ডেস্ক)

ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : অর্থ উপদেষ্টা

আগামী নির্বাচনে ঋণখেলাপিরা অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (১৩ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ে সর্বজনীন পেনশন অ্যাপ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে কালোটাকার ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে এটার বাস্তবায়ন পুরোপুরি নির্ভর করবে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর।

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কালোটাকার উৎস বন্ধ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লজিস্টিকের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।

ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘কালোটাকার উৎস এবং প্রসেস, আমরা চেষ্টা করছি উৎসটা বন্ধ করা। উৎসাটা মোটামুটি কিন্তু লোন যারা নেয়। আগে তো ব্যাংকের মালিক, ইন্ডাস্ট্রির মালিক, টেলিভিশনের মালিক, নিউজ পেপারের মালিক সব একজনই। সে নির্ধারণ করত। এখন তো সেটা হচ্ছে না।’

এআর-০১/১৩/০৮ (জাতীয় ডেস্ক)

বিএনপি মিলে-মিশে দেশ পরিচালনা করবে : তারেক রহমান

জনরায় পেলে বিএনপি মিলে-মিশে দেশ পরিচালনা করবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে যুব সমাবেশে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ফ্যাসিবাদের দেড় দশক পর ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ইনশাল্লাহ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সকল নারী-পুরুষ-ছাত্র-তরুণ-যুবসমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের কাছে আমার আহ্বান… আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিন দেশ গড়ার সুযোগ দিন।

তিনি বলেন, আমি আজকে এখানে যারা বক্তব্য রেখেছেন তাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি, যারা আমার নেতাকর্মীরা আছেন, যারা সংবাদকর্মী আছেন তাদের মাধ্যমে আমি দেশের সকল মানুষের কাছে এতটুকু বলতে চাই.. ভোট দিলে ধানের শীষে দেশ গড়ব মিলে-মিলে।

আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয়তাবাদী যুব দল- জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল-জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল’ এই তিন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ‘যুব সমাবেশের প্রত্যাশা ও বিএনপির পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

প্রযুক্তি নির্ভর যুব সমাজ গড়ে তুলতে দলের কর্ম পরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে তুলে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে আগামী দিনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। বেকারদের কর্মের ব্যবস্থা করা এটাই আমাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য।

জনগণ প্রচলিত রাজনীতির একটা পরিবর্তন চাইছে। জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা এই আকাঙ্ক্ষা পূরণে আর প্রতিশ্রুতি নয়, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। এই কারণে প্রতিটি সেক্টরে পরিকল্পনাগুলো কীভাবে বাস্তায়ন করা যায় সেটাই আমরা পরিকল্পনার কাজ করছি। আজকের এই যুব সমাজের মাধ্যমে দেশের তরুণ যুবশক্তির কাছে আমার আবেদন আপনারা বিএনপির জনমুখী গণমুখী কর্ম পরিকল্পনাগুলো দেশের সকলের সামনে, জনগণের সামনে তুলে ধরুন। জনগণের রায় বিএনপি রাষ্ট্রীয় পরিচালনার সুযোগ পেলে সামনের দিনে আমরা এই পরিকল্পনাগুলো পর্যায়ক্রমে ইনশাল্লাহ বাস্তবায়ন করব।

তারেক বলেন, সাধারণভাবে একটা দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি যখন কর্মক্ষম শ্রমশক্তি থাকে সেটি হলো কিন্তু ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড… এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বিবেচনা দেশের বর্তমান জনসংখ্যা দেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে। কারণ বয়সের হিসাবে আমাদের জনসংখ্যা অধিকাংশই কিন্তু কর্মক্ষম। শুধু এই জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে আমাদের কনভার্ট বা রূপান্তর করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এ কারণেই বিএনপি মনে করে যে, দেশের জনসংখ্যাকে বিশেষ করে তরুণ এবং যুবশক্তিকে কারিগরি নির্ভর শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলা যায়, তাহলে বর্তমান জনসংখ্যা দেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠবে। দেশের এই কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে একদিকে যেমন প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় লক্ষ্য নিয়ে গড়ে তুলতে আমরা আগ্রহী ঠিক একই সঙ্গে তরুণ যুবকদের আগ্রহী একটি অংশকে খেলাধুলার পারদর্শিতা অর্জন আমাদের করানো প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, এখানে খুব সম্ভব একজন বক্তা ‘নতুন কুড়ি’ কথাটি উনারা বলেছেন। যুবকদের মধ্যে প্রযুক্তি জ্ঞানের পাশাপাশি একটি অংশ আছে যারা খেলাধুলা নিজেদেরকে পারদর্শী করে গড়ে তুলতে চান আমাদেরকে সেই সুযোগটা দিতে হবে। এর ভিতরে আমরা একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, সেই পরিকল্পনাটা হচ্ছে ‘নতুন কুড়ি’ আমরা ইনশাআল্লাহ আবার চালু করব। নতুন কুড়ির আরেকটি সাবজেক্ট আমরা চালু করবো এতে স্পোর্টস বা ক্রীড়াও থাকবে।

তারেক রহমান বলেন, আমরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ বংশধরদের দিক থেকে এই সেক্টরে খেলাধুলায় যারা দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারবেন সেই মানুষগুলোকে আমরা বের করে নেব কালচারাল লাইফের পাশাপাশি। সেজন্য এই খেলাগুলোকে পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ক্রীড়া শিক্ষাকেও আমরা কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত আমরা করতে পারি।

এআর-০২/১২/০৮ (জাতীয় ডেস্ক)

মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে ব্যবসাবান্ধব করতে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সুযোগ নিয়ে আয়োজিত এক ব্যবসায়িক ফোরামে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অতীতে বাংলাদেশে ব্যবসা আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোয়নি। তবে নতুন বাংলাদেশে অনেক কিছুই নতুনভাবে গড়ে উঠছে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্যবসার সম্ভাবনা।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্ভাব্য সব উপায়ে ব্যবসাবান্ধব হতে চেষ্টা করছে। আমি পরিবর্তিত বাংলাদেশে অসীম সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছি।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে রয়েছে তরুণ ও সৃষ্টিশীল জনগোষ্ঠী। তিনি বিনিয়োগকারীদের বিশ্বজুড়ে বসবাসরত তরুণ বাংলাদেশি প্রবাসীদের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

বিদেশে থাকা তরুণ বাংলাদেশিদের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাদের মধ্যে সবসময় বাংলাদেশের জন্য কিছু করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য প্রদান করেন। এতে তিনি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা এবং শুল্ক ও অশুল্ক বাধা অপসারণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।

সেলুলার অপারেটর রবি’র প্রধান শেয়ারহোল্ডার, আজিয়াটা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিবেক সুদও বক্তব্য দেন। এতে তিনি বাংলাদেশে আজিয়াটার ২৮ বছরে ব্যবসা সম্প্রসারণ, অংশীদারিত্ব ও যৌথ সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।

এ সময় পেট্রোলিয়াম ন্যাশনাল বেরহাদ (পেট্রোনাস)-এর প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ সিইও তেংকু মুহাম্মদ তৌফিক, সার্বভৌম সম্পদ তহবিল খাজানাহ ন্যাশনাল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ফেইসাল ওয়ান জাহির, পাম অয়েল কোম্পানি সাইম ডার্বি প্লান্টেশনস, কুয়ালালামপুর কেপং বেরহাদ (কেএলকে), আইওআই কর্পোরেশন এবং ফেলদা গ্লোবাল ভেঞ্চারস (এফজেভি)-এর শীর্ষ কর্মকর্তা, প্রোটন হোল্ডিংস বেরহাদের (প্রোটন) চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়সাল আলবার এবং গ্লোভ প্রস্তুতকারক টপ গ্লাভ কর্পোরেশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান লিম উই চাই প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

ব্যবসায়িক এই সমাবেশের আগে মঙ্গলবার পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি -এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

এআর-০১/১২/০৮ (জাতীয় ডেস্ক)