সকাল ৭:১২
বুধবার
৮ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২৫ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৯ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে সংসদে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আপাতত বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের নেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আরও আলাপ–আলোচনা করা হবে। আরও আলোচনা–পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে বিষয়টি দেখা হবে।

সোমবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম ও ফরিদা ইয়াসমিনের পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর–পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

রফিকুল ইসলাম তাঁর প্রশ্নে বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার যে বয়সসীমা রয়েছে, তা অনেক আগে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে দেশের মানুষের আয়ুষ্কাল ৬২ থেকে ৭২ বছরে এসে পৌঁছেছে। এখন সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার বয়সসীমা শিথিল করে অন্তত ৩৫ বছরের কাছে নিয়ে যাওয়া যৌক্তিক হবে। এটা হলে কর্মসংস্থানের অভাবে হতাশাগ্রস্ত তরুণ ও যুবসমাজ প্রতিযোগিতায় এসে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারবেন।

জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তাদের জন্য সেটা ৩২ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে।

চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরে যাওয়ার বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারি চাকরিতে এখন বেশ আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত মেধাবীরা ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দিয়েছেন। সরকারি চাকরির পরিবেশ থেকে শুরু করে বেতনকাঠামো নতুন প্রজন্মের কাছে বড় আকর্ষণ তৈরি করেছে। সরকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা একটি সম্মানের বিষয়। আবার চাকরির নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বেতনকাঠামো এবং কাজের পরিবেশও সুন্দর হয়েছে।

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা সব সময় বলে আসছি, ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট (সদ্য স্নাতক পাস) যারা, তাদের রিক্রুট (নিয়োগ) করতে চাই। এটা সরকারের একটা পলিসি (নীতি)। আমরা বিসিএসের মাধ্যমে দেখে থাকি, ২২–২৩ বছর বয়স থেকেই বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকে। তারা ৬–৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এ জন্য তারা যোগদানের যথেষ্ট সময় পাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি সংসদে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় যুগের প্রয়োজনে নতুন যেটা করলে ভালো হবে, সেটা চিন্তাভাবনা করে থাকি। তবে মনে করি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমরা চাকরির বয়স আগামীতে বাড়াব কি বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কি না—এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলাপ‍–আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’

সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী একটি আধা সরকারি পত্র দিয়েছেন বলে পত্রিকায় খবর এসেছে। এ বিষয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, তা তিনি জানতে চান।

শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে তাঁরা এ ধরনের একটি পত্র পেয়েছেন জানিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও আলাপ–আলোচনা করব। তবে আপাতত চাকরির প্রবেশের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত নেই। এটা নিয়ে আরও আলোচনা পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখব।’

এআর-০৪/০৬/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

দেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার

বর্তমানে দেশে ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার আছেন। ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার।

সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ করেছে। এই জরিপ প্রতিবেদনে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বেকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুসারে, যাঁরা সাত দিনের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পাননি এবং গত এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী ছিলেন, তাঁরা বেকার হিসেবে গণ্য হবেন। বিবিএস এই নিয়ম অনুসারেই বেকারের হিসাব দিয়ে থাকে।

বিবিএসের হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেও ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার ছিল। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেকারের সংখ্যা বাড়েনি। বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের গড় বেকারের হারের চেয়ে কিছুটা বেশি। ২০২৩ সালের গড় বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এদিকে পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে, নারী বেকার কমেছে। বিবিএস হিসাব অনুসারে, গত মার্চ মাস শেষে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৪০ হাজার। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে (মার্চ-জানুয়ারি) সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ১০ হাজার। অন্যদিকে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ হাজার নারী বেকার কমেছে। এখন নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার।

বিবিএস বলছে, শ্রমশক্তিতে এখন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। তাঁদের মধ্যে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার।

এ ছাড়া শ্রমশক্তির বাইরে বিশাল জনগোষ্ঠী আছে। তারা কর্মে নিয়োজিত নয়, আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়। এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার। তাঁরা মূলত সাধারণ ছাত্র, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক নারী-পুরুষ, কাজ করতে অক্ষম ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং কর্মে নিয়োজিত নন বা নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক গৃহিণী।

এআর-০৩/০৬/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)

ইমরোজ শাওনের পরিচালনায় ফিরছেন জোভান-তিশা জুটি

ফারহান আহমেদ জোভান ও তানজিন তিশা, জুটি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। যদিও মাঝে হঠাৎ করেই অজানা কারণে দু’জনের যৌথ পথচলায় ছেদ পড়েছে। টানা দুই বছর দেখা যায়নি নতুন কোনও নাটকে।

অবশেষে সেই বিরতি ভেঙে ফের এক ফ্রেমে দাঁড়ালেন জোভান-তিশা জুটি। আর এই কাজটি করেছেন তরুণ নির্মাতা ইমরোজ শাওন। যোবায়েদ আহসানের রচনায় সিএমভি’র ব্যানারে নির্মিত বিশেষ এই নাটকটির নাম ‘কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস’।

সদ্য শুটিং শেষ হওয়া এই নাটকে জোভান অভিনয় করেছেন রাকিব চরিত্রে আর তিশারে নাম রিদা। দু’জনে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ক্লাবের নেতৃত্বে অন্যজন সাংস্কৃতিক ক্লাবের।

নাটকটি প্রসঙ্গে নির্মাতা ইমরোজ শাওন বলেন, ‘তার মানে এই নয়, দুটি দলের প্রধান বলে তাদের মধ্যে মধুর বা প্রেমময় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। গল্পে মূলত তাদের দেখা যাবে বিরোধী অবস্থানে। এমনকি দুর্ঘটনাও ঘটে তাদের এই বিরোধের জেরে। গল্পটা প্রেমের বটে, তবে এটি দেখলে মূলত ক্যাম্পাস জীবনে ফিরে যাবেন দর্শকরা।’

প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ‘কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস’ নাটকটি শিগগিরই উন্মুক্ত হবে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।

এসএ-০১/০৬/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

চার জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৬ জনের

চার জেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে শরীয়তপুরের দুই উপজেলায় তিনজন, সিলেটের কানাইঘাটে একজন, নেত্রকোণার আটপাড়ায় একজন ও ফরিদপুরের মধুখালীতে একজনের মৃত্যু হয়।

শরীয়তপুরের জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে ও বিকেলে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। বৃষ্টির মধ্যে মায়ের খোঁজ করতে গিয়েছিলেন আমেনা বেগম। ফসলি মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাকে খুঁজছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান আমেনা বেগম।

অন্যদিকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি গ্রামে সয়াবিন ক্ষেতে কাজ করছিলেন নেছার উদ্দিন মাঝি। দুপুরে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম স্বামীর জন্য দুপুরের খাবার হিসেবে ভাত নিয়ে গিয়েছিলেন সয়াবিন ক্ষেতে। এ সময় হঠাৎ করেই ঝড়সহ বজ্রপাত শুরু হলে বজ্রপাতের আঘাতে কুলসুম বেগম মারা যান।

এছাড়াও জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের বাবুরচরের একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে বজ্রপাতে আব্দুল হান্নান নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের বাবুরচর এলাকার সরল খার কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সিলেটের কানাইঘাটে মাঠে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মাহতাব উদ্দিন মাতাই (৪৫) নামে এক ওমান প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার দীঘিরপার ৩নং পূর্ব ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মাহতাব উদ্দিন মাতাই উপজেলার দর্পনগর পশ্চিম করচটি গ্রামের রফিকুল হকের ছেলে।

ফরিদপুরের মধুখালীতে বজ্রপাতে মুরাদ মল্লিক (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন মো. কামরুজ্জামান (৪৫) নামের আরেক কৃষক। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের মীরেপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

কামালদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়ালিদ হাসান বলেন, দুই কৃষক মীরেপাড়া গ্রামের একটি ক্ষেতে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুরাদ মল্লিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নেত্রকোণার আটপাড়ায় বোরো জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মো. দিলওয়ার মিয়া (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার স্বরমুশিয়া হাওরে এ ঘটনা ঘটে। দিলওয়ার মিয়া উপজেলার স্বরমুশিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে।

আটপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহিদুর রহমান বলেন, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে দিলওয়ার নিজের জমির ধান কাটতে হাওরে যান। এ সময় বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এআর-০২/০৬/০৫ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বিদ্যুৎস্পৃষ্টের নাটক সাজান মা

চুয়াড়াঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় সাত বছরের মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বিদ্যুৎস্পৃষ্টের নাটক সাজান মা পপি খাতুন। হত্যার দুই মাস পর তদন্তের পর এমনই তথ্য জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান।

সোমবার (৬ মে) সকালে এক নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বলেন, ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দোষ স্বীকার করে নিজের শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পৈশাচিক বর্ণনা দিয়েছেন মা পপি খাতুন। ৭ বছরের শিশুকন্যা মাইশাকে হত্যার পর নিজেকে বাঁচাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাইশা মারা গিয়েছে এমন নাটক সাজিয়ে মোবাইল ফোনের চার্জার তার গলায় জড়িয়ে রাখেন। হত্যাকারী মা পপি খাতুন আলমডাঙ্গা ভোগাইল বগাদি গ্রামের বাসিন্দা।

আরএম ফয়জুর রহমান জানান, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল বগাদী গ্রামের মাইশা খাতুন নামে ৭ বছর বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়। মোবাইল চার্জার নিয়ে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্টে মারা যায় বলে ধারণা করা হয়। তার মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ওইদিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল রানা মামলার তদন্ত করার সময় মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হলে শিশুটিকে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় শিশুকন্য মাইশার শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরই ভিত্তিতে গত ৩ মে নিহত মাইশার নানা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমানসহ মামলার তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেয়ে মা পপি খাতুনের কথা বার্তায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বেচ্ছায় এই হত্যার দায় স্বীকার করেন। তিনি তার পারিবারিক কারণে নিজেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানান।

মাইশা খাতুন ভোগাইল বগাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মা-বাবার বিয়ে বিচ্ছেদ হলে মায়ের সাথে মাইশা নানা বাড়িতেই থাকতো।

এআর-০১/০৬/০৫ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

ইসরায়েলের বিমান হামলায় লেবাননে নিহত অন্তত ৪

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক পরিবারের অন্তত চার সদস্য নিহত হয়েছেন। রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় ওই চার লেবানিজ নিহত হয়েছেন বলে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।

দেশটির সীমান্তের গ্রাম মেইস আল জাবালে ওই চার নাগরিক নিহত হয়েছেন। গত ৭ অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ও ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মাঝে নিয়মিত গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে মেইস আল জাবাল।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, বিমান হামলার প্রতিশোধে লেবানন সীমান্তের পার্শ্ববর্তী ইসরায়েলি উত্তরাঞ্চলীয় কিরিয়াত শমোনা শহরে অন্তত ১০টি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে তাদের যোদ্ধারা।

অক্টোবর থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনী। তবে উভয়পক্ষ সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়ানো থেকে বিরত রয়েছে।

অক্টোবরে লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ২৫০ জনের বেশি সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া একই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে নিহত হয়েছেন আরও ৭৫ জন বেসামরিক। ইসরায়েলের একাধিক সূত্র বলেছে, লেবানন থেকে ছোড়া হিজবুল্লাহর রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলি অন্তত এক ডজন সৈন্য নিহত ও বেশ কয়েকজন বেসামরিক আহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএ-২০/০৫/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধ করায় ‘বড় বিপদে’ পড়তে যাচ্ছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যতদিন বর্বরতা বন্ধ না করা হবে ততদিন ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। গত ২ মে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে দেশটি।

তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধ করার তিনদিনের মাথায় ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ক্যালকালিস্ট জানিয়েছে, তুরস্কের এই বাণিজ্য বয়কটের প্রভাব আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পড়া শুরু হবে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, তুরস্কের এই সিদ্ধান্তের কারণে ইসরায়েলে মৌলিক পণ্য, খাদ্য পণ্য এবং বাড়িঘরের দাম বেড়ে যাবে।

ইসরায়েলি এ সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, তুরস্ক বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার পর ইসরায়েলি সরকার বেশ অবাক হয়েছে। কারণ তারা ভেবেছিল তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিলেও; এটি কখনো কার্যকর করবে না। কিন্তু তাদের অবাক করে দিয়ে তার্কিস প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেন।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের বিকল্প বের করতে লম্বা সময় প্রয়োজন হবে। সঙ্গে নতুন করে চুক্তিও করতে হবে। এমনকি বিকল্প কোনো দেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও পণ্যের দাম বেশিই থাকবে।

পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির এই ভার সাধারণ ইসরায়েলিদেরই বহন করতে হবে। যারা যুদ্ধের কারণে ইতিমধ্যে আগের তুলনায় বেশি দাম দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন।

তুরস্কের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে ইসরায়েলি নির্মাণ শিল্পের ওপর। সঙ্গে অটোমোবাইল খাতেও এটির প্রভাব পড়বে। কারণ বেশিরভাগ অটোমেকাররা জনপ্রিয় সব গাড়িগুলো তুরস্ক থেকে ইসরায়েলে নিয়ে আসে।

সূত্র: আলজাজিরা

এসএ-১৯/০৫/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ

দেড়শ রানের চেয়েও কম তাড়া করতে গিয়ে বেশ ভুগেছে বাংলাদেশ। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটিংটা আপ টু দ্য মার্ক হয়নি। তবে শেষদিকে তাওহিদ হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটির কল্যাণে এ যাত্রায় জয়ের বন্দরে নোঙর করতে পেরেছে স্বাগতিকরা।

রবিবার (৫ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন জোনাথন ক্যাম্পবেল।

জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভার ৩ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৭ রান করেছেন তাওহিদ হৃদয়।

১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। উদ্বোধনী জুটিতে দুই ওপেনার মিলে যোগ করেন ৪১ রান। ১৯ বলে ১৮ রান করে তানজিদ তামিম ফেরার পর ব্যাটিংয়ে পতনের শুরু। আরেক ওপেনার লিটন দাস ফেরেন ২৩ রান করে।

তিনে নেমে শান্তও ইনিংসে বড় করতে পারেননি। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১৬ রান। পাঁচে নেমে ব্যর্থ জাকের আলি। একটি ছক্কা মারলেও বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। ১২ বলে করেছেন ১৩ রান। তাতে একশর আগেই ৪ উইকেট হারায় দল।

তবে এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনেই অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়েছেন। হৃদয় করেছেন ৩৭ রান। আর মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ রান।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করেন দুই ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি ও তাদিয়ানশে মারুমানি। কিন্তু ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন মারুমানি। য়ারেক ওপেনার গাম্বিও সুবিধা করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ বলে ১৭ রান।

গত ম্যাচের মতোই এবারও ব্যর্থ হয়েছেন ক্রেইগ আরভিন। এই অভিজ্ঞ ব্যাটার থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ বলে ১৩ রান। টপ অর্ডার ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিতে পারেননি সিকান্দার রাজাও। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার ৮ বলে করেছেন ৩ রান। এরপর উইকেটে এসে ডাক খেয়েছেন ক্লাইভ মানদান্দে। তাতে ৪২ রানেই টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারায় সফরকারীরা।

এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলকে টেনে তুলেন জোনাথন ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট। দুজনে মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন। তাতে একশ পেরোয় সফরকারীরা। ২৪ বলে ৪৫ রান করেন ক্যাম্পবেল। আর বেনেট অপরাজিত থেকেছেন ২৯ বলে ৫৪ রান করে।

বাংলাদেশের হয়ে যারাই বল হাতে নিয়েছেন, সবাই উইকেট পেয়েছেন। ১৮ রানে ২ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ। রিশাদ হোসেনও পেয়েছেন ২ উইকেট। তাছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম ও শেখ মেহেদি।

এসএ-১৮/০৫/২৪(স্পোর্টস ডেস্ক)

বিশ্বকাপে মাঠে দর্শক আনতে যে পরিকল্পনার কথা বললেন পাপন

দেশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে ক্রিকেট। ব্যাটঁ বলের এই লড়াই দেখতে স্টেডিয়াম যেন থাকে পূর্ণ। সেটা দেশের খেলা হোক বা এসিসি বা আইসিসির সূচি হোক। এবার প্রায় ১০ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছে আইসিসি ইভেন্ট। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের মাটিতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর।

তবে, নারীদের ক্রিকেট খেলা দেখতে মাঠে তেমন দর্শক দেখা যায় না। সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ বা চলমান বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে চলছে দর্শকখরা। সে কারণে বিসিবির কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নই উঠল বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সামনে। জানতে চাওয়া হলো, স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঠে আনা হবে কিনা।

জবাবে রোববার গণমাধ্যমে পাপন বলেন, ‘ফ্রি টিকিটে কি না এখন বলা মুশকিল। তবে আমরা চেষ্টা করবো। ফ্রি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বোর্ড নিজের উদ্যোগে চেষ্টা করবে যে ওদেরকে (স্কুলের মেয়েদের) মাঠে আনার জন্য। সেটার জন্যে যদি পেমেন্ট করতে হয়, বোর্ড করবে, ওদের পক্ষ থেকে পেমেন্ট করতে হবে না। বিশ্বকাপের কোনো টিকিটই কিন্তু ফ্রি না, এই মেসেজটা আমি সবার জন্যই বলছি।’

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবার বসবে বাংলাদেশের দুই ভেন্যুতে। আরো বেশি কেন রাখা হলো না এমন প্রশ্নে পাপন বলেন, ‘কেন দুইটা ভেন্যু, তার এক্স্যাক্ট কারণটা আমি জানি না। পসিবল যতগুলো ভেন্যু ছিল, সব দেখে ওনারা মনে করেছে এই দুই ভেন্যুতেই সবচেয়ে ভালো হয়। শুধু বাংলাদেশের ব্যাপার নয়, আইসিসিও আছে, আমাদের বোর্ডও আছে। ’

‘আমার মনে হয় বেস্ট পসিবল অপশন যা ছিল, তাই চুজ করেছে। অন্য জায়গায় হলেও যে তা ঠিক, ছড়িয়ে যেত। আপাতত এই দুইটাকেই যদি আমরা ভালোভাবে আয়োজন করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে আরও অনেক জায়গায় আয়োজন করতে পারব। ’- যোগ করেন পাপন।

এসএ-১৭/০৫/২৪(স্পোর্টস ডেস্ক)

বিশ্রামে যাচ্ছেন শাহরুখ খান!

এক বছরে জাওয়ান, পাঠান এবং ডাঙ্কির মতো হিট ছবি উপহার দিয়েছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। এখন নতুন ছবির কাজ শুরুর আগে বিশ্রাম নিতে পারেন বলিউডের এ অভিনেতা। বিশ্রাম সেরে এ বছরের জুনে তিনি তার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং শুরু করতে চান।

শুক্রবার ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন শাহরুখ খান।

অভিনেতা বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমার একটু বিশ্রাম নেওয়া উচিত। তিনটি সিনেমা পরপর করে ফেলেছি। যার জন্য আমার শরীরে অনেক ধকল গিয়েছে। আমি কলকাতা নাইট রাইডার্স দলকে বলেছিলাম যে এইবার শুধু মূল ম্যাচে আসব। সৌভাগ্যবশত, আমার পরবর্তী ছবির শ্যুটিং আগস্ট থেকে শুরু হবে বা হয়তো জুলাই। যদিও আমরা জুনে শুরু করার প্ল্যান করছি। আমি সব হোম ম্যাচে আসতে চাই কারণ কলকাতা আমার বাড়ির মতো।

তবে শাহরুখ ছবির নাম বা অন্যান্য বিবরণ প্রকাশ করেননি। এদিকে, শাহরুখকে স্টেডিয়ামে প্রায়ই তার ছোট ছেলে আব্রাম নিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, শাহরুখকে শেষবার রাজকুমার হিরানিক ডাঙ্কিতে তাপসী পান্নুর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। এছাড়াও মেয়ে সুহানা খানের সঙ্গে জুটিতে শাহরুখ খান। ছবির নাম ‘কিং’। এই অ্যাকশন থ্রিলার ছবিতে ডনের চরিত্রে দেখা যাবে শাহরুখকে।

জানা গেছে, ২০০ কোটি টাকার বিশাল বাজেটে নির্মিত হচ্ছে ছবিটি। ছবি পরিচালনা করবেন সুজয় ঘোষ। অন্যদিকে আছে সিদ্ধার্থ আনন্দের সঙ্গে রেড চিলিজের সহ-প্রযোজনা।

এসএ-১৬/০৫/২৪(বিনোদন ডেস্ক)