দুপুর ১:৫৭
রবিবার
৫ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
২২ শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬ শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত

বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভূটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলংকায় ৯৯ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভারতীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। ভারত সরকারের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য রপ্তানি বন্ধ ছিল বেশ কয়েক সপ্তাহ। তবে, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন দেশটি। ভারতীয় এজেন্সি ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেডকে (এনসিইএল) এই পেঁয়াজ রপ্তানির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ এবং আলোচনার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে, এই ৬ দেশে এনসিইএল পেঁয়াজ রপ্তানি করবে বলে জানা যায়।

যেসব দেশ পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে থাকে এনসিইএল। আর যে দেশগুলোতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে, সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হবে বলে গণমাধ্যমে জানানো হয়। এছাড়া ২ হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। ভারতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় মহারাষ্ট্রে। অঞ্চলটি এবারও এনসিইএলকে রপ্তানির জন্য সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ সরবরাহ করতে যাচ্ছে।

এআর-০১/২৭/০৪ (অনলাইন ডেস্ক)

এশিয়ার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট বসবে পাকিস্তানের করাচিতে

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী করাচির তাইসার শহরে বসবে এশিয়ার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট।

পাক সংবাদমাধ্যম জাসারাত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ অথবা ১৭ জুন পাকিস্তানে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। তবে করাচির তাইসার শহরের হাটে পশু আনা ও বেঁচাকেনা শুরু হতে পারে ১০ মে থেকে। হাটটির আয়োজকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। অর্থাৎ ঈদের এক মাসেরও বেশি সময় আগে কোরবানির পশুর সমাগম শুরু হবে সেখানে।

সংবাদমাধ্যম জাসারাত জানিয়েছে, গত বছরের মতো এবারও এই হাটটি অর্থনীতির অন্যতম মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। কারণ হাটটিতে পশু বেঁচাকেনার জন্য হাজার হাজার মানুষ সমবেত হবেন। সেখানে কয়েক বিলিয়ন রুপির লেনদেন হবে।

এছাড়া হাটটিকে ঘিরে অস্থায়ী রেস্তোরাঁ, চা ও ফাস্টফুডের দোকান গড়ে উঠবে। এগুলোও অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।

হাটটি উত্তর বাইপাসের তাইসার শহরের ১ হাজার একর জায়গাজুড়ে স্থাপিত হবে। গতবারের ন্যায় এবারও সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেখানে উপস্থিত থাকবেন আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স এবং পুলিশের সদস্যরা।

গাড়ি নিয়ে এসে যেন ক্রেতারা পশু ক্রয় করতে পারেন সেজন্য সেখানে পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা রাখা হবে বলে জানিয়েছে হাটটির আয়োজকরা। এছাড়া অর্থ লেনদেন নির্বিঘ্ন করতে সেখানে এটিএম স্থাপন করা হবে।

যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তখন জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য সেখানে চিকিৎসা সহকারী ও অ্যাম্বুলেন্স রাখা হবে।

আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, পশু বিক্রেতাদের প্রতিবছরের মতো এবারও বিনামূল্যে পানি সরবরাহ করা হবে।

সূত্র: জাসারাত

এসএ-১০/২৭/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল : হামাস

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস, তাতে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল। গোষ্ঠীর মুখপাত্র খলিল আল হায়া শনিবার কাতার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিবৃতিতে খলিল আল হায়া বলেন, ‘গত ১৩ এপ্রিল মিসর ও কাতারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে (যুদ্ধবিরতির) যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দিয়েছে ইহুদি দখলদার শক্তি।’

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা-দূতিয়ালিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ইসরায়েলও।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি।

ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে— এখনও অজানা।

কাতার এবং মিসরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির জন্য প্রথম দফা বিরতির পর ২য় বার যুদ্ধবিরতির জন্য একাধিক বার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কাছে। কিন্তু প্রতিটি প্রস্তাবে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং এই দাবির কারণে সেসব প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ইসরায়েল।

দুই পক্ষের মতানৈক্যের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসন এবং জিম্মিদের মুক্তির পথ তৈরি করতে বৃহস্পতিবার ইসরায়েল সফরে যায় মিসরের একটি সরকারি প্রতিনিধি দল। এদিকে, ওই দিনই হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মুক্তির জন্য গোষ্ঠীটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ১৭টি দেশ।

হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা গত ১২ বছর ধরে কাতারে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। সম্প্রতি কাতার ইঙ্গিত দিয়েছে, যদি গাজায় যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে হামাসের ভূমিকা ইতিবাচক না হয়— তাহলে কাতার ছাড়তে হবে গোষ্ঠীটির নেতাদের।

বৃহস্পতিবার ১৭টি দেশের চিঠি প্রসঙ্গে প্রাথমিক এক প্রতিক্রিয়ায় হামাস নেতারা বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক চাপের কাছে তারা মাথা নত করবেন না। তবে কয়ে ঘণ্টা পরই তারা ফের বলেন, ‘ফিলিস্তিনের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ যে কোনো প্রস্তাবকে হামাস স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’

মিসরের প্রতিনিধিদলের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ১৩ এপ্রিল পাঠানো প্রস্তাবে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মতি জানিয়েছে হামাস।

সূত্র : রয়টার্স

এসএ-০৯/২৭/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

বাংলাদেশ সিরিজের জন্য আইপিএল ছাড়লেন রাজা

টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামী ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে দল। যেখানে অধিনায়ক হিসেবে আছেন সিকান্দার রাজা। রোডেশিয়ান অধিনায়ক বাংলাদেশ সিরিজ খেলতে ইতোমধ্যেই আইপিএল ছেড়েছেন।

এবারের আসরে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলেছেন রাজা। জাতীয় দলের ব্যস্ততায় আসরের মাঝপথেই দল ছাড়লেন তিনি। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’–এ করা এক পোস্টে জানিয়েছেন রাজা, ‘আমাকে নেওয়ার জন্য পাঞ্জাব কিংস, আইপিএল এবং ভারতকে ধন্যবাদ। প্রতিটি মিনিট উপভোগ করেছি। এখন জাতীয় দলের হয়ে দায়িত্ব পালনের সময়। ইনশা আল্লাহ আবার দেখা হবে।’

রাজার কাছে সবার আগে জাতীয় দল। বিশ্বের যে লিগেই খেলেন না কেন, যদি সেই সময়ে জাতীয় দলের খেলা থাকে তাহলে কোনোরকম দ্বন্দ্ব ছাড়াই লিগ ছেড়ে দেশের হয়ে খেলতে যাবেন রাজা। এমনকি নাইজেরিয়ার মতো খর্ব শক্তির দলের বিপক্ষেও যদি সিরিজ থাকে, তাহলেও সেটিই বেছে নেবেন এই অলরাউন্ডার। কয়েক দিন আগেই জিম্বাবুয়েভিত্তিক ওয়েবসাইট থ্রি-মোবডটকমকে রাজা বলেছেন, ‘আমি সেখানে থাকব ইনশা আল্লাহ। (বাংলাদেশ সিরিজের জন্য) আইপিএল ছেড়ে যাচ্ছি।’

সম্প্রতি আরেকটি ওয়েবসাইটকে রাজা বলেন, ‘আমি জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, দেশের একটা সীমিত ওভারের ম্যাচও আমি মিস করব না। এর কারণে যে লিগকেই ছেড়ে যেতে হোক না কেন।’

‘জিম্বাবুয়ে যদি এখন আমাকে বলে যে তিন দিন পরই সিরিজ আছে, আর প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া, তাতে আমার কিছু যায়–আসে না। জিম্বাবুয়ে যদি আমাকে দলে নেয়, তাহলে আমি পিএসএল ছেড়ে যাব। যদি আইপিএলের সময় সিরিজ আসে, আমি আইপিএল ছেড়ে যাব। গ্লোবালটি-টোয়েন্টি, সিপিএল, আইএলটি-টোয়েন্টি—যে লিগই হোক না কেন।’-যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।

এসএ-০৮/২৭/২৪(স্পোর্টস ডেস্ক)

বিশ্বরেকর্ড গড়া জয়ে যে কারণে কৃতিত্ব পাচ্ছেন প্রীতিও

কেবল আইপিএলেই নয়, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে বিশ্বরেকর্ড গড়া জয় পেয়েছে পাঞ্জাব কিংস। কলকাতা নাইট রাইডার্সের দেওয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য তারা ৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়েছে। এমন জয়ের জন্য দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকানো জনি বেয়ারস্টো এবং বিধ্বংসী ফিফটি করা শশাঙ্ক সিং তো প্রশংসা পাচ্ছেনই, কৃতিত্ব পাচ্ছেন পাঞ্জাবের মালিক ও বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতাও!

আইপিএলে তিন বছর পাঞ্জাবের হয়ে খেলেছিলেন সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান। ফলে ফ্র্যাঞ্চাজিটির ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রীতির আচরণ ও আত্মত্যাগ তিনি কাছ থেকে দেখেছেন। বিশ্বরেকর্ড গড়ে ম্যাচ জয়ের পর আইপিএলের অফিশিয়ার ব্রডকাস্টের আলোচনায় এ নিয়ে কথা বলেছেন পাঠান। যেখানে পাঞ্জাবের সফলতা-ব্যর্থতায় প্রীতির অংশীদার হওয়ার কিছু ঘটনাও উল্লেখ করেন সাবেক এই ভারতীয় তারকা।

পাঠান বলেন, ‘তিনি (প্রীতি জিনতা) চমৎকার একজন নারী। দলের সঙ্গে যে খুব ভালোভাবে সম্পৃক্ত থাকেন। যখন দেখা যায় দল হারের দ্বারপ্রান্তে, তখন খুব পেরেশান হয়ে যান, কিন্তু তিনি জানেন কীভাবে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।’ দলকে পুরো সমর্থন দিতে প্রীতি কতটা উদ্যমী সেটাই বোঝাতে চাইলেন পাঠান।

এরপর বলিউডে প্রীতির সফলতা নিয়েও কথা বলেন ইরফান পাঠান, ‘যখন তিনি অভিনয় করতেন, দারুণ অভিনেত্রী ছিলেন, খুব অভিজ্ঞ এবং সফলও বলা চলে। তিনি জানেন কিছুই সহজ নয়। সব মুভিই হিট হবে না এটাও জানতেন। একইভাবে মাঠেও পাঞ্জাব টিম প্রতিটি ম্যাচ জিতবে বিষয়গুলাও ভালোভাবে বোঝেন। যখন দল হেরে যায় তিনি আমাদের সঙ্গে এসে কথা বলেন। দলটির সঙ্গে আমার তিন বছরের সময়কালে দেখেছি, আমরা ৪০টিরও বেশি ম্যাচ খেললেও কেবল ২–৩ বার আমাদের ওপর হতাশা দেখিয়েছেন তিনি। অন্যথায় বেশিরভাগ সময়ই শান্ত থাকতেন।’

মাঠের বাইরেও প্রীতি খেলোয়াড়দের প্রতি কেমন আন্তরিক সেটা মজার এক ঘটনা দিয়ে উল্লেখ করেন পাঠান। ২০০৯ আইপিএল আসর বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানকার একটি ঘটনা স্মরণ করে বর্তমানে ভারতীয় এই ক্রিকেট বিশ্লেষক বলেন, ‘তিনি (প্রীতি) একবার দক্ষিণ আফ্রিকায় পুরো দলের জন্য নিজহাতে পরোটা বানিয়ে খাইয়েছিলেন। কারণ আমরা চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ জিতি, প্রায় ৪০টি পরোটা বানিয়েছিলেন প্রীতি। তিনি দলের মালিক হলেও, ভিন্ন লেভেলের একজন।’ তার এমন আচরণ দলের সাফল্যের পেছনে অবদান রাখছে বলে অভিমত পাঠানের।

আইপিএলের এক ম্যাচেই রেকর্ডের ছড়াছড়ি

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসর থেকেই উপস্থিতি ছিল পাঞ্জাবের। প্রথমদিকে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব নাম থাকলেও, পরবর্তীতে সেটি বদলে পাঞ্জাব কিংস করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সাফল্য পায়নি প্রীতি জিনতার দলটি। প্রথম আসরে ৬৬ শতাংশের বেশি জয় নিয়ে তারা আসর শেষ করেছিল তিন নম্বরে থেকে। এরপর ২০১৪ আসরে কেবল ফাইনালে উঠেছিল পাঞ্জাব, যদিও তাদের রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। চলতি আসরেও তাদের অবস্থান অতটা সুবিধার নয়, ৯ ম্যাচে তিন জয় নিয়ে পাঞ্জাবের অবস্থান আটে।

এসএ-০৭/২৭/২৪(স্পোর্টস ডেস্ক)

মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা, ইতিহাস গড়ল ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’!

ভারতের স্বাধীনতা দিবসে বড়সড় ধামাকা আসতে চলেছে। মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘পুষ্পা: দ্য রুল’। মুক্তির চার মাস আগে থেকেই এই সিনেমা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রচার শুরু হয়নি সিনেমার। তা সত্ত্বেও, খবরের শিরোনাম দখল করে নিচ্ছে ‘পুষ্পা’। কেন জানেন?

শোনা যাচ্ছে, প্রচারের আগে, মুক্তির অনেক আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে এই সিনেমা। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এমন ঘটনা এটিই প্রথম। অনন্য নজিরটি গড়ল আল্লু অর্জুন অভিনীত এই সিনেমা।

১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শক্তি সামন্ত পরিচালিত ‘অমর প্রেম’ সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুরের কান্না দেখে রাজেশ খান্না বলেছিলেন ‘পুষ্পা, আই হেট টিয়ার্স’। কাট টু, ২০২১ সালে, ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমায় দক্ষিণের সুপারস্টার আল্লু অর্জুন বললেন, ‘পুষ্পা, ম্যায় ঝুঁকে গা নেহি সালা…’।

পুষ্পাকে কেন্দ্র করে দুই সংলাপে আকাশ-পাতালের তফাত। তফাত সোয়্যাগে। এক পুষ্পা (‘অমর প্রেম’ সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত চরিত্রের নাম ছিল পুষ্পা) কান্নাকাটি করে ভাসায়। ১৯৭২ সাল থেকে দর্শকের মনে বদ্ধমূলভাবে গেঁথে গিয়েছে– ফুলের মতো নাজুক পুষ্পারা কেবল কাঁদতেই পারে। ফোঁস করতে পারেন না।

২০২১ সালে আল্লু অর্জুন প্রথম দেখালেন, পুষ্পাদের কাঁটাও আছে। ফোঁস করতেও পারে। পুষ্পার নতুন সংজ্ঞা তৈরি করলেন এই বলে যে, সে মাথা নোয়াতে রাজি নয়, ‘পুষ্পা ঝুঁকে গা নেহি!’ সোয়্যাগে পরিপূর্ণ ডায়ালগ ডেলিভারি, থুতনির নিচ দিয়ে আঙুলগুলো কায়দা করে নিতে-নিতে পুষ্পা বলে ‘ঝুঁকে গা নেহি সালা’!

এই সিনেমায় অভিনয় করে প্রকৃত অর্থেই শোরগোল ফেলে দিলেন দক্ষিণ ভারতীয় তারকা আল্লু অর্জুন। যিনি অতীতে কেবল নিজের ঘরের মাঠেই গোল দিয়েছেন। কখনও ‘দেসামুদুরু’, কখনও ‘পারুগু’ তো কখনও ‘ইয়েভাদু’ সিনেমায়। রাতারাতি প্যান ইন্ডিয়া স্টারের তকমা পেয়ে গেলেন আল্লু। হয়ে উঠলেন গোটা দেশের ঘরের ছেলে।

গ্ল্যামারের মোড়ক থেকে আগাগোড়া বেরিয়ে, রোদে পোড়া চেহারা নিয়ে ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়ালেন পুষ্পারূপী আল্লু অর্জুন। পাখির চোখ করলেন গোটা দেশের দর্শককে। ‘মহাভারত’ মহাকাব্যের বীরের মতো লক্ষ্যভ্রষ্ট ছিলেন না বলেই পুষ্পার সিক্যুয়েল নিয়ে এখন থেকেই এত হাঙ্গামা শুরু হয়ে গেছে।

এসএ-০৬/২৭/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

বিরিয়ানি ফ্রি দেওয়া সেই সিনেমা হলে হাজির আদর আজাদ-পূজা চেরি

সিনেমার তারকাদের নিয়ে বরাবরই দর্শকের নানা কৌতূহল থাকে। আর যদি সেই তারকারা স্বয়ং দর্শকের সঙ্গে দেখা করতে আসেন, তবে তো কথাই নেই।

এবার সেই ঘটনাই ঘটলো বগুড়ার ধুনট উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ঝংকার সিনেমা হলে। নিজেদের অভিনীত ‘লিপস্টিক’ সিনেমা দেখতে ঝংকার সিনেমা হলে আসেন চিত্রনায়ক আদর আজাদ, নায়িকা পূজা চেরি ও সিনেমার নির্মাতা কামরুজ্জামান রোমান।

শুক্রবার দুপুরের পর ঈসা খানের মালিকানাধীন ঝংকার সিনেমা হলে প্রবেশ করেন আদর আজাদ ও পূজা চেরি। পরে দর্শক সারিতে বসে নিজের অভিনীত সিনেমা দেখেন তারা। নায়ক-নায়িকার আগমনের খবরে প্রেক্ষাগৃহ প্রাঙ্গণে উপস্থিত ভক্ত ও দর্শকরা তাদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান।

সিনেমা হলে ছবি দেখতে এসে নায়ক-নায়িকাকে কাছে পেয়েও অভিভূত হন দর্শকরা। প্রিয় নায়ক-নায়িকার সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলতে ভিড় করেন তারা। এ সময় দর্শকের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আদর আজাদ ও পূজা।

নায়ক আদর আজাদ বলেন, আমাদের দেশে এখনো অনেক ভালো মানের সিনেমা তৈরি হয়, সেগুলো আসলে সেভাবে প্রচার পায় না। তাই আমি দর্শকের বলব, আপনারা হলে আসুন, আমাদের সিনেমা দেখুন। তবেই আরও অনেক ভালো ভালো সিনেমা তৈরি হবে এবং অতীতের সেইসব সোনালী দিন আবারও ফিরে আসবে। লিপস্টিক সিনেমায় দর্শকের সাড়া পেয়ে ভীষণ আনন্দিত আমি। দর্শক এটি পছন্দ করেছেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে হলে আসছেন দেখতে।

অন্যদিকে, চিত্রনায়িকা পূজা বলেন, দর্শকরা আসলে ভালো গল্পের সিনেমা দেখতে চায়। লিপস্টিক সিনেমায় সেই ভালো গল্প আছে, ভালো ডায়ালগ আছে, ভালো কাস্টিং আছে। আমাদের আগের সিনেমাগুলো খুবই ভালো হয়েছে এবং দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। তাই আশা করছি, বাংলাদেশের সিনেমা ভবিষ্যতে আবারও ঘুরে দাঁড়াবে। এছাড়া ধুনটে আসার মূল লক্ষ্য হলো মফস্বলের সিনেমা হলগুলো সিনেপ্লেক্স নয় বা এসি নেই। এখানে গরমের মধ্যে দর্শকরা কীভাবে কষ্ট করে হলে বসে সিনেমা দেখে, তা দেখতে এবং দর্শকের সঙ্গে সেই কষ্ট শেয়ার করতেই এখানে আসা।

এসএ-০৫/২৭/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

একসময় ধূমপানে আসক্ত হয়েছিলেন বিদ্যা বালান

সিগারটের ধোঁয়ার গন্ধ বরাবরই উপভোগ করলেও এতে কখনও আসক্তি ছিল না অভিনেত্রী বিদ্যা বালানের। তবে দ্য ডার্টি পিকচারের শুটিং করতে গিয়ে ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা জানান, দ্য ডার্টি পিকচার সিনেমাতে ঘন ঘন ধূমপানের দৃশ্যে অভিনয় করতে হতো। তাতেই সিগারেটের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। দিন তিনটে করে সিগারেট লাগত অভিনেত্রীর। তবে সেই আসক্তি নাকি উপভোগই করতেন অভিনেত্রী।

বিদ্যা বলেন, আমার ছোটবেলা থেকেই সিগারেটের গন্ধটা ভালো লাগত। কলেজ যাওয়ার সময় বাসের জন্য যখন দাঁড়িয়ে থাকতাম, আশপাশে যারা ধূমপান করতেন, তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতাম আমি।

সে সব অবশ্য পুরনো গল্প। ধূমপানকে অবশ্য এখন জীবন থেকে বিদায় দিয়েছেন তিনি। তা পুরোপুরি স্বাস্থ্যের কারণে।

এসএ-০৪/২৭/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

সালমান শাহ-শাকিব খানের মতোই জয়কে টার্গেট করা হলো : স্ত্রী নীড়

এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপরে অভিনয়শিল্পীদের হামলার ঘটনায় চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এই ঘটনার পরে জয়কে ‘আজীবনের’ জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিকরা। একইসঙ্গে জয়কে নিয়ে কোনো পরিচালক কিংবা প্রযোজক কাজ করলে তাদের সংবাদ বয়কটেরও ডাক দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

সাংবাদিকদের সঙ্গে অভিনয়শিল্পীদের সেই গণ্ডগোলের ঘটনায় জয় চৌধুরী ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’ বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা রোমানা ইসলাম নীড়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে এমনটা দাবি করেন তিনি।

যেখানে রোমানা বলেন, এই ১১ বছরের ফিল্ম জীবনে কেউ বলতে পারবে না জয় করো সাথে কোনো দিন কোনো বিষয় নিয়ে বেয়াদবি করেছে। শুধু সাংবাদিক ভাইয়েরা না চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত কোনো একটা মানুষ বলতে পারবেনা। এমনকি আমাদের বিএফডিসিতে যে ঝাড়ুর কাজ করে তার সাথেও হেসে কথা বলে তাদের সমস্যায় পাশে থেকেছে। এতটাই ভালোবাসা পেয়েছে যে, শিল্পীরা তাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে শিল্পীদের নেতা বানিয়েছে। ২৩ তারিখ কি এমন হলো যে এই পরিবেশ হলো?

সেদিনের ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না প্রশ্ন রেখে জয়ের স্ত্রী বলেন, আপনার শিল্পীকে কেউ বাউন্ডারি ক্রস করে মারতে আসবে আর আপনি কি সেটা চেয়ে চেয়ে দেখবেন? এটাই কি কাম্য আপনাদের? ভিডিওতে সবাই দেখেছে, শিল্পী সমিতির বাউন্ডারি ক্রস করে একজন ভিতরে ঢুকছিল শিল্পীকে আঘাত করার জন্য। সেটা দেখে আরেকজন শিল্পী প্রতিবাদ করেছে! এটাইতো শিল্পীদের ধর্ম হওয়া উচিত। খুব অবাক হলাম, একা জয় চৌধুরীকে দোষ দিয়ে তাকে কোণঠাসা করা হচ্ছে? এটা কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে না তো?

এরপর রোমানা ইসলাম নীড় বলেন, যদি বিচার করতেই হয় আসেন সমান বিচার করতে শিখি। সেখানে কি এমনি এমনিই শিল্পীরা ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন? আসেন আরো সহজভাবে বলি, ওখানে কি এক হাতে তালি বেজেছিল? যে ছেলেটা ১১ বছর করো সাথে কোনো দিন এক মিনিটের জন্য বেয়াদবি করেনি সে হঠাৎ করেই রেগে গেল? যুগে যুগে আমাদের চলচ্চিত্রে হয়ে এসেছে, যখন কেউ একটু মাথা চারা চিয়ে উঠেছে তাকেই টার্গেট করা হয়েছে! সালমান শাহ, মান্না ভাই, শাকিব ভাই, জায়েদ খান, শেষে আসলো এই জয় চৌধুরী!

শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই জয়কে লক্ষ্য করা হয়েছে বলে মনে করেন নীড়। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য সালমান শাহ আজ মরে গিয়েও প্রতিটা মানুষের অন্তরে আছেন। মান্না ভাইও একই! শাকিব খান আজ আমাদের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার! জায়েদ খানকে সবাই চেনে! জয়ের কি হবে জনি না! তবে একটা কথা বলতে পারি, জয় জীবন দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রকে এবং এখানকার মানুষদেরকে ভালোবাসে। সর্বোপরি প্রশ্ন রাখতে চাই, এই শিল্পী সমিতির নির্বাচনই কি কাল হলো জয়ের জীবনে? চোখে পড়ে গেল সে? চারিদিকে এতো প্রশংসা এটাই কি কাল হলো?

জয়ের স্ত্রীর দাবি, আমি নিজে বলতে শুনেছি, অন্য শিল্পীরা বলছেন- আজ জয় না থাকলে আমরা জিততে পারতাম না! অন্য শিল্পীরা বলছেন, এমন একজন জয় থাকলে আমাদের হয়ে যেতো! পরিবারকে সময় না দিয়ে দিনের পর দিন শিল্পী সমিতিকে সময় দিয়েছে! আমার মনে পড়ে না একটা ইফতার সে পরিবারের সাথে করেছে! ঈদের দিনটা পর্যন্ত সে পরিবারকে দিতে পারেনি। এগুলোই কি কাল হলো? সাংবাদিক ভাইদের একটা কথায় বলবো সঠিক তদন্ত করে সঠিক সিদ্ধান্তটাই আপনারা নিবেন এটা বিশ্বাস রাখি।

সবশেষ নীড় বলেন, আবেগ বা প্ররোচনায় পড়ে সিদ্ধান্ত সবার জন্যই ক্ষতির। কারণ শিল্পী আর সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক একে অপরের ভাই। তাই, ভাই ভাইয়ের সাথে নমনীয় হবে এটাই স্বাভাবিক। সবশেষে আমরা একটা পরিবার।

এসএ-০৩/২৭/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

শত কোটির সম্পদ বাজেয়াপ্ত, এর মধ্যেও ছুটি কাটাতে বেরোলেন শিল্পা

মাত্র এক সপ্তাহ আগেই রাজ কুন্দ্রার ১০০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শিল্পা শেঠির নামে থাকা বিলাসবহুল বান্দ্রার ফ্ল্যাটও হাতছাড়া হয়েছে। এর মধ্যেই ছুটি কাটাতে মুম্বাই ছাড়লেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দরে পাপারাজ্জিদের দেখেই তড়িঘড়ি সেখান থেকে পাশ কাটিয়ে ভেতরে ঢুকে যান।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) শিল্পা শেঠিকে ছেলে ভিভান ও মেয়ে শমিসার সঙ্গে মুম্বই বিমানবন্দরে দেখা গেল। সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রীর মাও।

জানা গেছে, মা ও সন্তানদের নিয়ে ছুটি কাটাতে বাইরে যাচ্ছেন শিল্পা। তবে, এই ইডি কেলেঙ্কারির মাঝে অভিনেত্রীর সঙ্গে স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে দেখা গেল না। আসলে সময় পেলেই ছুটি কাটাতে ভালোবাসেন শিল্পা। এবারও সম্ভবত কঠিন সময়ে তাই খানিকটা রিল্যাক্স করতে দুই সন্তান আর মাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। তবে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরার জন্য পোজ দিলেন না বিমানবন্দরে। ‘শিল্পা কি রেগে রয়েছেন কোনও কারণে?’ সেই প্রশ্ন পাপারাজ্জিরা ছুঁড়লে অভিনেত্রী বলেন, ‘না মোটেই রেগে নেই! আসলে দেরি হয়ে যাচ্ছে তো, তাই।’

ছয় হাজার ৬০০ কোটি টাকার বিটকয়েন পঞ্জি স্ক্যামের আর্থিক তছরুপ মামলায় বৃহস্পতিবারই শিল্পা শেট্টি ও রাজ কুন্দ্রার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সেই তালিকায় জুহুর পাশাপাশি তারকা দম্পতির পুনের প্রাসাদোপম বাংলোও রয়েছে। রাজ কুন্দ্রার নামে কিছু ইক্যুয়িটি শেয়ারও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

আইপিএল বেটিং ও পর্নোগ্রাফি মামলায় নাম রাজ কুন্দ্রার নাম উঠেছিল আগেই। সম্প্রতি বিটকয়েন জালিয়াতি মামলাতেও তার নাম জড়ায়। যার জেরে স্থাবর-অস্থাবর সব মিলিয়ে রাজ-শিল্পার প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের হাতে। এসবের মাঝেই মুম্বাই থেকে দূরে ছুটি কাটাতে গেলেন শিল্পা শেট্টি।

এসএ-০২/২৭/২৪(বিনোদন ডেস্ক)