সন্ধ্যা ৬:৩৫
বৃহস্পতিবার
৭ ই আগস্ট ২০২৫ ইংরেজি
২৩ শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১২ ই সফর ১৪৪৭ হিজরী
spot_img

শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু: দুদক কমিশনার

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ভাগনি যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেন। পরে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে রাজউকের আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করেছে দুদক।

টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফেরত আনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে হাফিজ আহসান ফরিদ বলেন, ‘আমরা এখান থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নথি পাঠিয়েছি। যেটাকে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) বলে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা বিদেশি দূতাবাসে যাবে। সেখান থেকে বাংলাদেশের দূতাবাসে যাবে। সেই কাজ আমরা শুরু করেছি। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে।’

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রেড অ্যালার্ট নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। এটি নিয়ে এখনো কমিশনে আলোচনা হয়নি।’এটি নিয়ে কবে আলোচনা হবে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, পরবর্তী কমিশন সভায়, এ সপ্তাহে যদি না হয়, আগামী সপ্তাহে হবে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার বলেন, এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁকে (শেখ হাসিনা) ফেরত পাঠানোর জন্য। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে বিষয়টি চুক্তি পর্যায়ে রয়েছে। চুক্তি হয়ে গেলে তাঁদের কাছ থেকে সাহায্য পাবে দুদক।

এআর-০১/২২/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবোর সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

গভর্নরের প্রথম বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এটা কেবল শুরু। আমরা এত কাছাকাছি, তবুও এত দূরে। আসুন, এ পরিস্থিতি বদলে ফেলি।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আশা করি আপনি আবারও আমাদের দেখতে আসবেন— আমরা ভালো প্রতিবেশী হতে চাই, তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই।’

ড. ইউনূস তার সাম্প্রতিক চীন সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, এটি দুই দেশের সম্পর্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

তিনি চীনের উষ্ণ আতিথেয়তার প্রশংসা করেন এবং সম্পর্ক উন্নয়নে উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ধন্যবাদ জানান।

গভর্নর ইউবো অধ্যাপক ইউনূসের বক্তব্যে আন্তরিকভাবে সাড়া দিয়ে বলেন, ‘আমার এই সফরের উদ্দেশ্য হলো আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা। ইউনান দক্ষিণ এশিয়ার জন্য চীনের উন্মুক্ত কেন্দ্র হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত।’

প্রধান উপদেষ্টা ও গভর্নর যুব বিনিময়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন যৌথ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

গভর্নর ইউবো জানান, ইউনানে একটি চীনা ব্যাংক ইতোমধ্যে অধ্যাপক ইউনূস প্রবর্তিত ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

তিনি দুই দেশের অভিন্ন সামাজিক লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘চীনে অনেকেই এই পদ্ধতির সুফল পাচ্ছেন।’

ইউবো পেশাগত প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল ও ভাষা শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়ানো এবং সামুদ্রিক খাবার, আম ও কৃষিপণ্যের মতো খাতে বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেন।

মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযোগে জোর দিতে হবে এবং আমাদের অঞ্চলগুলোকে আরও ঘনিষ্ঠ করে তুলতে হবে— বলেন ওয়াং ইউবো।

প্রধান উপদেষ্টা গভর্নরের প্রস্তাবগুলোর প্রতি সমর্থন জানান। তিনি বলেন, ‘আপনি যা বলেছেন—স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য বা প্রশিক্ষণ বিষয়ে—আমরা সবকিছুর সঙ্গে একমত। আমরা এগুলো আগের চেয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা আরও ঘনিষ্ঠ অংশীদার ও প্রকৃত বন্ধু হতে চাই।’

বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবাকে মূল অগ্রাধিকারখাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশি রোগীদের জন্য কুনমিংয়ের চারটি হাসপাতাল নির্ধারণসহ চিকিৎসা পর্যটন সেবা চালুর ক্ষেত্রে চীন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এই সহযোগিতা আমাদের অংশীদারিত্বের একটি নতুন অধ্যায়।’

উভয় পক্ষ শিক্ষাবিনিময় বাড়ানোর গুরুত্ব নিয়েও একমত হন। বর্তমানে প্রায় ৪শ’ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনা করছে এবং অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখযোগ্য হারে এই সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

‘আমরা আমাদের তরুণদের চীনে পড়াশোনা ও ভাষা শেখায় উৎসাহিত করব,’ তিনি জোর দিয়ে বলেন।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে, প্রধান উপদেষ্টা পারস্পরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং নতুন সমৃদ্ধির সুযোগ উন্মোচনে চীনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বাংলাদেশের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।

সভায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

এআর-০২/২১/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ১০ সদস্যের এনআইডি স্থগিত

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থগিত করেছে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।

এনআইডি স্থগিত হওয়াদের মধ্যে আরও আছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, বোন রেহানা সিদ্দিক (শেখ রেহানা), বোনের মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক, বোনের ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক এবং তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন।

গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এমপিদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়।

সরকার পতনের পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে অসংখ্য হত্যা মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে ভারত সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অবশ্য ভারতের পক্ষ থেকে এই চিঠির কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি।

এআর-০১/২১/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়াতে জাতিসংঘকে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি নারী শান্তিরক্ষী নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

রোববার (২০ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তি কার্যক্রমবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ-পিয়ের লাক্রোয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠকে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি যা উৎসাহিত করি তা হলো শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বাংলাদেশি নারীর অংশগ্রহণ।’

শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ তিন দেশের একটি। বর্তমানে বাংলাদেশের ৫ হাজার ৬৭৭ জন শান্তিরক্ষী ১১টি সক্রিয় মিশনের মধ্যে ১০টিতে কাজ করছে।

জাতিসংঘ আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জানান, নারীদের শান্তিরক্ষায় সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে জাতিসংঘের একটি নীতিমালা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা নারীদের নির্দিষ্ট কোনো ভূমিকায় সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না।’ তিনি উল্লেখ করেন যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার সব ক্ষেত্রে নারীদের নিয়োগে সমর্থন দেবে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, প্রয়োজনে বাংলাদেশ অতিরিক্ত সৈন্য ও পুলিশ পাঠাতে প্রস্তুত। তিনি জাতিসংঘের পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেম (পিপিআরএস)-এর র‌্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুত পাঁচটি ইউনিটের কথা উল্লেখ করেন।

অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় সদর দপ্তর এবং মাঠপর্যায়ে বাংলাদেশি নেতৃত্ব বৃদ্ধির পক্ষে মত দেন। জাতিসংঘ প্রতিনিধি বলেন, এ ব্যাপারেও তারা বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘের যাচাই প্রক্রিয়া বাংলাদেশ কঠোরভাবে মেনে চলে এবং প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতায় জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আরও সহযোগিতাকে স্বাগত জানায়, যাতে মানবাধিকার প্রতিপালন আরও জোরদার হয়।

প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আগামী ১৩ থেকে ১৪ মে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নেবে।

মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষ, সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা, বেসামরিক নাগরিক হতাহত এবং নাফ নদীসংলগ্ন এলাকায় জীবিকা বিঘ্নিত হওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি সতর্ক করেন, এই অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে তা আরও অবনতি হয়ে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কথা স্মরণ করে বলেন, তার এই সফর রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে নতুন করে আশা জুগিয়েছে।

এআর-০২/২০/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন : চিফ প্রসিকিউটর

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ২০ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে প্রসিকিউশন বলছে, মামলার তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো সময় দাখিল করবে।

রোববার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাটির শুনানি শেষে এ তথ্য জানান ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, রোববার ট্রাইব্যুনালে তিনটি মামলার শুনানি হয়। প্রথম মামলাটি ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধের। এ মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জন আসামি রয়েছেন, যারা এই অপরাধের নির্দেশদাতা ছিলেন। মামলার ১৭ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। আমরা আজ আদালতে এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়েছি এবং দুই মাসের সময় চেয়েছি। আদালত আমাদের দুই মাস সময় দিয়েছেন।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, পরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি মামলার শুনানি হয়। জুলাই-আগস্ট গণহত্যার সম্পৃক্ততার বিষয়ে যে মামলাটি রয়েছে সেটির বিষয়ে আমরা আদালতকে জানিয়েছি, আমাদের তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হবে। তারপরও আমরা সত্যতার জন্য দুই মাসের সময় চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, তৃতীয় যে মামলাটির শুনানি হয় সেটি হলো গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ক্রসফায়ার নিয়ে। এই মামলাটিতে আমরা ১১ জনের বিরুদ্ধে শুরু করেছিলাম। মামলায় মাত্র একজন গ্রেপ্তার আছেন, তিনি হলেন সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান। শতশত গুমের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তারপরও আমরা আদালতের কাছে তিন মাস সময় চেয়েছিলাম, আদালত সেটি মঞ্জুর করেছেন। এই সময়ের মধ্যে গুমের অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্ত-প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

এআর-০১/২০/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি ২০ এমবিপিএস করার প্রস্তাব করেছে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন থেকে তারা ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএস থেকে বাড়িয়ে ১০ এমবিপিএস গতির সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

শনিবার রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে ইন্টারনেট সেবার মান নিয়ে এক সেমিনারে এই ঘোষণা দেয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডটার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি)।

এ সময় সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেটের মানসম্মত সেবা দেওয়ার বিষয়ে মোবাইল অপারেটরদের আহ্বান জানানো হয়।

টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, এখন থেকে ৫০০ টাকার ইন্টারনেট প্যাকেজে গ্রাহকরা ১০ এমবিপিএস গতির সেবা পাবেন। যা আগে ৫ এমবিপিএস ছিল। এই সিদ্ধান্ত শনিবার থেকেই কার্যকর হবে।

তিনি আরও বলেন, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন ব্রডব্যান্ড সেবার সর্বনিম্ন গতি ২০ এমবিপিএস করতে চায় এবং এজন্য লাইসেন্স আপগ্রেডেশনের প্রয়োজন। পাশাপাশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে লাইসেন্সের মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণের দাবি জানান ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা। তারা সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তিরও দাবি জানান।

 
এআর-০২/১৯/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

ফের দাম বাড়লো স্বর্ণের

প্রতি ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৬২৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।

সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম দুই হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম দুই হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা।

 
এআর-০১/১৯/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে : প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব

অন্তর্বর্তী সরকার প্রো-বাংলাদেশপন্থি পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে দাবি করে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ওঠা প্রশ্নের ব্যাখ্যায় শুক্রবার আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ কথা বলেন।

বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার উদাহরণ তুলে ধরে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড শতাব্দী ধরে অসংখ্য যুদ্ধ করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হাত মিলিয়েছে। একই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জাপানে বোমাবর্ষণ করেছিল, কিন্তু পরে তারা মিত্রে পরিণত হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি কী পাকিস্তানপন্থি হয়ে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি আমরা। এ ধরনের প্রশ্ন আমাদের মোটেও অবাক করেনি। এমন কিছু মানুষ সবসময়ই থাকবে, যারা বাংলাদেশের স্বাধীন পরিচয়ে খুব কমই বিশ্বাস করবে।

উপ-প্রেস সচিব বলেন, আমাদের জবাব স্পষ্ট ছিল। অতীতে দেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে যাই ঘটুক না কেন, এখন থেকে এটি বাংলাদেশপন্থি নীতি হবে, যা আমাদের নিজস্ব স্বার্থে পরিচালিত হবে।

এক প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে অন্য প্রতিবেশী থেকে দূরে সরে যাওয়া একটি স্বাধীন জাতির পররাষ্ট্র নীতি হতে পারে না বলে মনে করেন আজাদ মজুমদার।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের সফররত পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচকে দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তার কথাগুলো বাস্তবায়নে ২৪ ঘণ্টারও কম সময় লেগেছে। এ সময় তিনি (বালুচ) পারস্পরিক স্বার্থের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টিকারী একটি আবেগঘন বিষয় হল, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর গণহত্যা ও নৃশংসতার জন্য দেশটির পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি।

তিনি বলেন, এমনকি পাকিস্তানের সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই বিশ্বাস করতেন, ক্ষমা চাওয়া- সদিচ্ছা ও উদারতার একটি কাজ হবে। কিন্তু পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর ও সামরিক আমলাতন্ত্র সর্বদা এই ধরনের কথার বিরোধিতা করেছে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো ক্ষমা চাওয়া হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশ সম্পদের বিভাজনের বিষয়টির ওপরও জোর দিয়েছে, যা অতীতের শাসকদের কাছে ভুলে যাওয়া একটি বিষয় ছিল। অতীতে শাসকরা এটি আলোচনর চেয়ে বিচ্ছিন্নতা পছন্দ করতেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের একটি অনুমিত হিসাব অনুযায়ী, পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা ৪ দশিমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অভ্যন্তরীণ মূলধন সৃষ্টি, বৈদেশিক ঋণ নিষ্পত্তি এবং বৈদেশিক আর্থিক সম্পদ ধরে রাখার অনুমিত হিসাবের ভিত্তিতে এটি নির্ধারণ করা হয়।

আজাদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের আরো প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করেছে, যা ১৯৭০ সালের নভেম্বরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ/সংস্থাগুলো অনুদান দিয়েছিল। ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের লাহোর শাখায় স্থানান্তরিত হওয়ার আগে এই অর্থ ঢাকায় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের অফিসে পড়ে ছিল।

আজাদ মজুমদার তার পোস্টে আরো উল্লেখ করেন, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন আরেকটি বিষয় ছিল, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে বাধাগ্রস্ত করেছিল। অতীতে পাকিস্তান তাদের লোকদের মাত্র এক লাখ ২৫ হাজার জন ফিরিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের ১৪টি জেলার ৭৯টি শিবিরে প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার জন ছিল।

তিনি বলেন, এই বিষয়গুলোই দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ ও ভবিষ্যৎমুখী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে রয়ে গেছে। সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম বিকল্প হলো আলোচনা এবং অন্তর্বর্তী সরকার ঠিক এটাই করার চেষ্টা করছে। অনেক বছর পর বাংলাদেশ পাকিস্তানকে আলোচনায় এনেছে এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা অন্বেষণ করার পাশাপাশি যথাযথভাবে বিষয়গুলো উত্থাপন করেছে।

উপ-প্রেস সচিব স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ডিসেম্বরে মিশরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে এক বৈঠকে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বালুচের সঙ্গে বৈঠক করার সময় তিনি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একই বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতের সুবিধার্থে অতীতের ইস্যুগুলো সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের এখন এক সঙ্গে কাজ করা ও এগিয়ে যাওয়ার সম্ভবত সময় এসেছে।

এআর-০১/১৮/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা অনুসন্ধানে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি যমুনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান। ১৫ বছরের মধ্যে প্রথম পাকিস্তানি পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন আমনা বেলুচ।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। এসব কাটিয়ে ওঠার উপায় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

এসময় অতীতের বিষয়গুলো স্বীকার করে আমনা বালুচ বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে অবশ্যই দুই দেশের মধ্যে সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

বালুচ আরও বলেন, আমাদের নিজেদের আয়ত্তে বিশাল আন্ত-বাজার সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমাদের এটি ব্যবহার করা উচিত। আমরা প্রতিবার ‘বাস মিস’ করতে পারি না।

দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে নিয়মিত পারস্পারিক যোগাযোগ এবং সব পর্যায়ে দুদেশের মধ্যে সফর আয়োজনের প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন পাকিস্তানি এই আমলা।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফপিসিসিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আশা প্রকাশ করেন, এপ্রিলের শেষ দিকে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের আসন্ন সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সার্কের কাঠামোয় পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তিনি সবসময়ই পছন্দ করেন।

তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে বন্ধন বাড়াতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উচিত দুই দেশের মধ্যে আরও বেশি যুব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিনিময় করা। আমাদের সম্পর্ক হিমশীতল হয়ে যাওয়ায় আমরা দীর্ঘদিন একে অপরকে মিস করছিলাম। আমাদের প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রম করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কায়রোতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতির ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সার্ক, ওআইসি ও ডি-৮ এর মতো বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে।

এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এআর-০২/১৭/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

সম্পদ ফেরত-গণহত‍্যার জন‍্য ক্ষমা চাওয়া নিয়ে আলোচনায় সম্মত পাকিস্তান

স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশের সম্পদ ফেরত ও গণহত‍্যার জন‍্য সাধারণ ক্ষমা চাওয়া নিয়ে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান। ঢাকা-ইসলামাবাদ বিদ‍্যমান সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দুই দেশই একমত— এমনটা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দীন।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দীন এবং পাকিস্তানের হয়ে ঢাকা সফররত দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ অংশ নেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশের সম্পদ হিসেবে ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার ফেরত চেয়েছে সরকার। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে ইসলামাবাদ। বাংলাদেশে এখনও তিন লাখ ২৫ হাজার আটকে পড়া পাকিস্তানি রয়েছে। তাদের নিজ দেশে প্রত‍্যাবাসনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বৈঠকে দুই দেশই অর্থনৈতিক ও বাণিজ‍্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার প্রত‍্যয় ব্যক্ত করেছে। খুব শিগগিরই পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে। জাতীয় স্বার্থের বিষয়টি মাথায় রেখেই দেশটির সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করছি। তবে তাদের দিকে ঝোঁকার কোনও বিষয় নেই।

এআর-০১/১৭/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)