বিকাল ৪:১৪
শনিবার
১৮ ই মে ২০২৪ ইংরেজি
৪ ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ ই জ্বিলকদ ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

ছোটনের দলের জয় অব্যাহত

জাতীয় নারী ফুটবল দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন এখন আর্মি স্পোর্টস দলের কোচ। প্রথমবারের মতো নারী লিগে অংশ নেয়া দলটি প্রথম দুই ম্যাচই জিতেছে। আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ছোটনের দল।

ম্যাচের দুই অর্ধে একটি করে গোল করে আর্মি। ৩৩ মিনিটে নওশন জাহান ও ৮৯ মিনিটে মমিতা খাতুন একটি করে গোল করেন। ফরাশগঞ্জ ম্যাচ হারলেও ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্সই করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত ছোটনের দল সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

কমলাপুর স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সদ্য পুষ্করণী ও সিরাজ স্মৃতির মধ্যকার ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়। আর্মির কাছে হারা আতাউর রহমান ভূইয়া গতকাল ৪-০ গোলে ঢাকা রেঞ্জার্সের বিপক্ষে জিতেছে। সাগরিকার হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি শাহেদা আক্তার রিপা এক গোল করেন। গতকাল ম্যাচটি রাত নয়টার পর শেষ হলেও বাফুফে মিডিয়া বিভাগ সেই ফলাফল প্রেরণ করেছিল মধ্যরাতে।

এসএ-১০/০৬/২৪(স্পোর্টস ডেস্ক)

টানা চতুর্থ হার বাংলাদেশের

সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের সবকটিতেই হেরে আগেই সিরিজ হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ নারী দল। হারের বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা নিগার সুলতানা জ্যোতির দল ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আজও। চতুর্থ ম্যাচেও ব্যাটে-বলে ব্যর্থ স্বাগতিকরা। বৃষ্টি আইনে ৫৬ রানের জয় পেয়েছে ভারত।

সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টি আইনে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে ভারত। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয় ১২৫ রানের।

জবাবে খেলতে নেমে ১৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ বলে ২১ রান করেছেন দিলারা আক্তার।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ভুগেছে বাংলাদেশ। ৫ বলে ১ রান করে ফিরছেন মুর্শিদা খাতুন। আরেক ওপেনার দিলারা উইকেটে থিতু হলেও সময়ের দাবি মিটিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি। ২৫ বলে করেছেন ২১ রান। তিনে নেমে ১৭ বলে ১৩ রান করেছেন রুবিয়া হায়দার।

টপ অর্ডার ব্যাটারদের এমন ধীর গতির ব্যাটিংয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় দল। বাকিরা চেষ্টা করেও দলকে ম্যাচে ফেরাতে পারেননি।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন শেফালি ভার্মা। ২ রান করা এই ওপেনার শরিফা খাতুনের বলে রিতু মনির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তবে তিনে নেমে রানের চাকা সচল রাখেন হেমলতা। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ২২ রান।

আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্দানাও দারুণ শুরু করেছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৮ বলে করেছেন ২২ রান। এরপর মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও দ্রুত রান তোলেছেন। কারণ ৫ ওভার ৫ বলে খেলা শেষে ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। ঘণ্টা খানেক ম্যাচ বন্ধ ছিল। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে।

১৪ ওভারের ম্যাচ হওয়ায় আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেছেন ব্যাটাররা। তাতে সফলও হয়েছেন। বিশেশ করে হারমানপ্রীত। অধিনায়ক ২৬ বলে করেছেন ৩৯ রান। শেষদিকে রিকা ঘোষ করেছেন ১৫ বলে ২৬ রান।

এসএ-০৯/০৬/২৪(স্পোর্টস ডেস্ক)

হজের ভিসায় নতুন বিধি-নিষেধ সৌদির

প্রত্যেক বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মুসলিম নারী-পুরুষ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে যান। এ সময় হজের পাশাপাশি সৌদি আরবের বিভিন্ন শহর ও ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা ঘুরে দেখেন তারা। পাশাপাশি অনেকেই খণ্ডকালীন কাজেও নিযুক্ত হন দেশটিতে। কিন্তু এ বছর আর সেই সুযোগ থাকছে না।

সম্প্রতি হজযাত্রীদের ভিসার ক্ষেত্রে নতুন বিধি-নিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি। দেশটির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, হজের ভিসায় জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণের অনুমতি পাবেন হজযাত্রীরা।

সৌদির এই মন্ত্রণালয় বলেছে, ২০২৪ সালের হজ ভিসা কেবল হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়া তীর্থযাত্রীদের সৌদিতে প্রবেশের অনুমতি হিসাবে কাজ করবে। সৌদি আরবে কোনও কাজে নিযুক্ত হওয়া, বসবাস কিংবা নির্ধারিত শহরের বাইরে ভ্রমণের জন্য হজ ভিসা বৈধ নয়।

নতুন বিধিনিষেধ লঙ্ঘনকারীরা ভবিষ্যতে সৌদিতে হজে অংশগ্রহণের অনুমতি পাবেন না বলেও সতর্ক করে দিয়েছে দেশটি। এমনিক হজ ভিসার শর্ত অমান্যকারীদের সৌদি থেকে প্রত্যাবাসনও করা হতে পারে।

উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সদস্য দেশগুলোর হজযাত্রীরা ছাড়া অন্যান্য দেশের আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের মধ্যে যারা হজ করতে চান তাদের অবশ্যই হজের ভিসা নিতে হবে।

নতুন বিধি-নিষেধ অনুযায়ী, সৌদি আরবের সরকারের ইস্যু করা হজের ভিসা কেবল হজ মৌসুমের জন্য বৈধ। এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসাধারীদের ওমরাহ পালন অথবা যেকোন ধরনের বৈতনিক বা অবৈতনিক কর্মসংস্থানে যুক্ত হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদনকারীরা আগামী ৭ জিলহজের মধ্যে অথবা হজযাত্রী কোটা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ভিসার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

সূত্র: গালফ নিউজ।

এসএ-০৮/০৬/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

গেস্টাপো প্রশাসন চালাচ্ছেন জো বাইডেন : ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে নাৎসি প্রশাসনের সঙ্গে তুলনা করে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন গেস্টাপো প্রশাসন পরিচালনা করছে। শনিবার দাতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন বলে মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে।

নাৎসি আমলের গোপন পুলিশ বাহিনীর নাম ছিল গেস্টাপো। নিজের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। এক অডিও রেকর্ডিংয়ে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, তারা গেস্টাপো প্রশাসন চালাচ্ছে। নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট এই রেকর্ডিংটি শুনেছে।

এ বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যান্ড্রু বেইটস এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী বক্তব্যের সঙ্গে সুর মেলানোর অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প নব্য-নাৎসিদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করছেন। আর বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সমর্থন করছেন, যার কারণে সাহসী অনেক পুলিশ অফিসারকে প্রাণ দিতে হয়েছে।

বেইটস বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আইনের শাসনের চারপাশে অ্যামেরিকান জনগণকে একত্রিত করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এটা এমন এক পদ্ধতি যা গত ৫০ বছরের মধ্যে সহিংস অপরাধ সবচেয়ে বেশি কমিয়েছে।

অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ‘‌‌জুইশ কাউন্সিল ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স’ নাৎসি তুলনার নিন্দা করেছে। সংস্থার প্রধান নির্বাহী অ্যামি স্পিটালনিক রোববার বলেন, এরকম তুলনা সবসময়ই ভুল, আক্রমণাত্মক এবং নিন্দনীয়।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতিমধ্যে বেশি কিছু বর্ণবাদী ও উত্তেজনা তৈরি করে এমন বক্তব্য রেখেছেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি জয় না পেলে সহিংসতা হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন ট্রাম্প। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তিনি প্রাণীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। গত বছর ট্রাম্প বলেছিলেন, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করে তারা আমাদের দেশের রক্তকে বিষাক্ত করে তুলছেন।

এসএ-০৭/০৬/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

লাল মনোকিনিতে উষ্ণতা ছড়ালেন ঋদ্ধিমা

গরমে অনেক টলিউড তারকাই পাড়ি জমাচ্ছেন পাহাড়ে বা সমুদ্র সৈকতে। উদ্দেশ্য, নিজের মতো করে একান্তে সময় কাটানো। অভিনেত্রী ঋদ্ধিমাও স্বামী সন্তানকে নিয়ে সমুদ্রের ধারে গেলেন ছুটি কাঁটাতে। সেখানে গিয়েই বোল্ড অবতারে ধরা দিয়েছেন তিনি। যেসব ছবি উষ্ণতা ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

স্বামী-সন্তান নিয়ে থাইল্যান্ডে ঘুরতে গেছেন ঋদ্ধিমা। থাইল্যান্ডের রিসোর্টে পুলের ধারে বসে থাকতে দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। লাল রঙের মনোকিনি, তার ওপরে সাদা রঙের শার্ট। কাঁধ থেকে সেই শার্ট খুলে পড়তেই দেখা গেল খোলা পিঠ।

খোলা চুলে একেবারেই নো মেকআপ লুকস। পোজ দিয়েছেন ক্যামেরায়। পুলের ধারে বসে গরম উপভোগ করছেন ঋদ্ধিমা। লাল মনোকিনিতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল অভিনেত্রীকে।

সেই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে গৌরবপত্নি লিখেছেন, শ্বাস নিলেই সেটাকে বেঁচে থাকা বলে না, আনন্দের মুহূর্তগুলোকে নিয়ে বেঁচে থাকা বলে। আর আমি আনন্দে থাকি ঘুরতে গিয়ে।

প্রসঙ্গত, এর আগে সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে পাহাড়ে গিয়েছিলেন গৌরব ও ঋদ্ধিমা। দুজনেই ভীষণ ঘুরতে ভালবাসেন, একটু ছুটি পেলেই বেরিয়ে পড়েন। জীবনে ছোট্ট ছেলে ধীর আসার পরেও সেই রুটিনে কিন্তু ছেদ পড়েনি।

কয়েকমাস আগেই ধীরকে নিয়ে দার্জিলিং গিয়েছিলেন ঋদ্ধিমা ও গৌরব। এই জায়গায় নিয়ে গৌরব ও ঋদ্ধিমা দুজনেই আবেগপ্রবণ হয়েছিলেন। কারণ কাঞ্চনজঙ্ঘাকে সাক্ষী রেখে ঋদ্ধিমাকে প্রেম নিবেদন করেছিলেন গৌরব। আর ছেলে ধীরকে নিয়ে তারা ফিরে গিয়েছিলেন সেখানেই।

এসএ-০৬/০৬/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

ওমর সানীর মতো ‘খাঁটি প্রেমিক’ দেখেননি মিশা

ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানীর জন্মদিন আজ সোমবার (৬ মে)। বিশেষ এই দিনে ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসছেন এই তারকা।

যাদের মধ্যে রয়েছেন এই নায়কের বন্ধু অভিনেতা মিশা সওদাগর। জন্মদিনে ওমর সানীকে ‘খাঁটি প্রেমিক’ বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। পাশাপাশি ফেসবুকে নিজেদের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন।

যেখানে একটি ছবিতে ওমর সানীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন মিশা আর একটি দুইজনে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে বিজয় চিহ্ন দেখাচ্ছেন। আরেকটি ছবিতে শুধুই ওমর সানী ও মৌসুমী।

ছবিরগুলো প্রকাশ করে ক্যাপশনে মিশা লিখেছেন, ‘গল্প, উপন্যাস, সিনেমা, নাটক আর ইতিহাসে অনেক প্রেমিকের গল্প শুনেছি কিন্তু তোর মত খাঁটি প্রেমিক আমি জীবনেও দেখিনি। লও সালাম হে প্রেমিক। শুভ জন্মদিন হে প্রেমিক।’

মিশার সেই পোস্টে অনেকেই নায়ককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মিশার মন্তব্যের সঙ্গে একমতও পোষণ করেছেন। কারণ ঢালিউডের অন্যতম সফল দম্পতি বলা হয় ওমর সানী-মৌসুমী জুটিকে। সিনেমার সূত্রে পরিচয়ের পর দীর্ঘদিন এক ছাদের নিচে কাটিয়ে দিয়েছেন এই দম্পতি।

উল্লেখ্য, ঢাকাই সিনেমার সাফল্যময় দশক নব্বইয়ের অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল নায়ক ওমর সানীর জন্ম ১৯৬৯ সালের ৬ মে। জেলা বরিশাল। পরিবারের উৎসাহ আর বাবার অনুপ্রেরণায় রুপালি দুনিয়ায় পথচলা শুরু করেন সানী। দারাশিকো পরিচালিত ‘সুজন সখী’ সিনেমায় প্রথম কাজ করেন। এরপর একের পর এক ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিয়েছেন। সবশেষ এই অভিনেতাকে কাজ করতে দেখা গেছে ‘ডেডবডি’ সিনেমায়।

এসএ-০৫/০৬/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে সিনেমা সরিয়ে নেওয়ার কারণ জানালেন সৌদ

গত শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমা ‘শ্যামা কাব্য’। এর মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি ও সনি স্কয়ার শাখায় দেখা যাচ্ছিল সিনেমাটি। মুক্তির তৃতীয় দিন রোববার (৫ মে) বেশ কিছু অভিযোগ তুলে স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে শ্যামা কাব্যর প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ।

এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধের বিষয়টি জানান নির্মাতা। পরে সিনেপ্লেক্সের ওয়েবসাইটেও ‘শ্যামা কাব্য’ সিনেমার প্রদর্শনীর তথ্য মুছে ফেলা হয়।

বদরুল আনাম সৌদ ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, প্রথম দিন পর্দার সমস্যার কারণে দর্শক সিনেমাটি ভালো করে দেখতে পারছিলেন না। এ কারণে প্রথম দিনের একটি হাউসফুল শো বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও পরদিন হল পরিবর্তন করে সমস্যার সমাধান করা হয়। দ্বিতীয় কারণ হলো, পরের দিন দেখা গেল, একটি দৃশ্য শেষ না করে ওই দৃশ্যের মাঝামাঝি সময়ে মধ্যবিরতি দেওয়া হচ্ছে। বিরতির পর শুরু হচ্ছে সেই দৃশ্যের পর থেকে।

সর্বশেষ টিকিট বিক্রির হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্মাতা। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। কিন্তু প্রদর্শনী টাইম নিয়ে তার আপত্তির কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অনুরোধ করার পরেও যে সময়টায় হলে দর্শক কম থাকে, সেই মর্নিং শোতে রাখা হয় শ্যামা কাব্যর প্রদর্শনী। তাই স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে শ্যামা কাব্য সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নিজের এই স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে সৌদ লেখেন, ‘হিসাবের গরমিলটা আমি আপলোড করিনি এবং চাইও না।’ আরেকটি মন্তব্যে তিনি লেখেন, ‘কেউ সম্ভবত এর আগে সিনেপ্লেক্স থেকে সিনেমা তুলে নেয়নি। আমি নিলাম।’

সিনেমাটি না চললে নামিয়ে নেওয়া হবে, সিনেপ্লেক্সের পক্ষ থেকে বারবার এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছিল দাবি করে সৌদ বলেন, ‘তাদের এত প্রয়োজন নেই কাউকে, সবাই তো তাদের কাছে ধর্না দেয়। আমার মনে হয় না অন্য কেউ স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে তিন দিনের মাথায় নিজ দায়িত্বে ছবি তুলে নিয়েছে। এর কারণ, তারা যে মানসিক নির্যাতনটা করে থাকে একজন নির্মাতা-প্রযোজককে, সেটা থেকে বের হতে চেয়েছি। সেটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি।’

এ বিষয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রথম দিন তারা হলের প্রজেকশন নিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছিল। পরদিন হল পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া অফিশিয়ালি আর কোনো অভিযোগ তারা আমাদের জানায়নি, বরং আজ (গতকাল) ডিস্ট্রিবিউটর প্রতিষ্ঠান অফিশিয়ালি মেইল করে সিনেমাটির প্রদর্শনী বন্ধের জন্য বলেছে, তাই আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। ওই স্লটে ‘কাজলরেখা’ চালাচ্ছি।’

মনস্তাত্ত্বিক গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘শ্যামা কাব্য’। বিভিন্ন চরিত্রে সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল, নীলাঞ্জনা নীলা, ইন্তেখাব দিনার, নওরীন হাসান খান জেনি, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ।

এসএ-০৪/০৬/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

নিজের সৌন্দর্যের রহস্য জানালেন মমতাজ

বাংলাদেশের লোকগানের তুমুল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ। যাকে বলা হয় বাংলা ফোক গানের সম্রাজ্ঞী। গ্রাম-শহর পার করে মমতাজের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে গেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও।

গানের পাশাপাশি রাজনীতিতেও ব্যাপক সক্রিয় মমতাজ। ছিলেন সংসদ সদস্য। গান ও রাজনীতি দুটোই সমানতালে সামলে চলেন তিনি। গেল রোববার ছিল এই গায়িকার জন্মদিন। ব্যস্ততার মধ্যেই কেটেছে বিশেষ এই দিনটি।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মমতাজ। সেখানে বেশ কিছু কনসার্টে অংশগ্রহণ করছেন তিনি। নিজের জন্মদিন যুক্তরাষ্ট্রেই কাটিয়েছেন এই শিল্পী।

মমতাজ জানান, জন্মদিনে ঘরোয়া আয়োজনে কেক কাটেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিল বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভীন, নীলিমা শশীসহ অনেকে। তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন তিনি।

যেখানে মমতাজ বলেছেন, ‘জন্মদিনটা এত পুরোনো হয়ে গেছে ফেসবুক না থাকলে হয়তো ভুলেই যেতাম। ধন্যবাদ সবাইকে, যারা এদিনটি মনে রেখে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’

সবশেষ নিজের রূপের রহস্যও জানিয়েছেন এই গায়িকা। ভক্তদের দিয়েছেন টোটকা। মমতাজ বলেন, ‘মন সুন্দর রাখলে ৬৩ বছর বয়সেও আমার মতো সুন্দর ও সুস্থ থাকবেন।’

জানা গেছে, গেল ১১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন ফোক গানের এই শিল্পী। বর্তমানে দেশটিতে আয়োজিত বিভিন্ন স্টেজ শোতে অংশ নিচ্ছেন তিনি। ফিরবেন চলতি মাসের শেষ দিকে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালের ৫ মে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইরে জন্মগ্রহণ করেন মমতাজ। তার বাবা মধু বয়াতিও গান করতেন। তার কাছেই মমতাজের গানের হাতেখড়ি। পরে মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান এবং শেষে আবদুর রশীদ সরকারের কাছে গানের তালিম নেন। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে ৭০০ শতাধিক গানের রেকর্ড করেছেন মমতাজ। পাশাপাশি তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি।

এসএ-০৩/০৬/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

‘ফিল্মের মানুষ কোনো দিন আপন হয় না’

ওমর সানী ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবি। এই অভিনেতা ১৯৬৯ সালের ৬ মে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের উৎসাহ আর বাবার অনুপ্রেরণায় রুপালি দুনিয়ায় পথচলা শুরু হয় তার। আজ এই অভিনেতার জন্মদিন।

শুভ জন্মদিনে জীবনের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ঝুলি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন এক সময়ের দাপুটে এই নায়ক। এক সময় জন্মদিনকে জমকালো আয়োজনে উদযাপন করলেও এখন তা করছেন না। না করার কারণও জানিয়েছেন ওমর সানী। তাছাড়া বিয়ের পর থেকে এই প্রথমবারের মতো স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে ছাড়া জন্মদিন পার করছেন ওমর সানী।

বিয়ের পর এবারই কি প্রথম জন্মদিন যে আপনার স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমী পাশে নেই? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওমর সানী বলেন, একদমই তাই। তাই খালি খালি লাগছে। তবে আমার জন্মদিন তো সেদিন থেকেই খালি খালি হয়ে যায়, যেদিন আমার আম্মা মারা যান। ২০০০ সালের এই মাসের ২৩ তারিখেই আম্মা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। এরপর থেকে এই দিনে ভাষাহীন থাকি। কিছুই ভালো লাগে না। বিবর্ণ থাকি। আমি চাইও না দিনটা উদ্যাপনের। এরপর আর তেমনভাবে কখনো হয়নি। আমি পণ করেছি, যত দিন বাঁচি আর দাওয়াতের ধারেকাছেও যাব না। নিজেও কাউকে অযথা দাওয়াত দেব না।

কেন সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এই নায়ক বলেন, মান্না ভাইয়ের কথাটাই সঠিক। ফিল্মের মানুষ কোনো দিন আপন হয় না। এটা উপলব্ধি হতে হতে আমার একটু সময় লেগে গেছে তো, তাই আমি চাই না। চার-পাঁচ বছর আগে মান্না ভাইয়ের কথাটা আমাকে ভালোই নাড়া দেয়। কিন্তু আমি একটু স্টুপিড তো, গাধামার্কা—তাই বুঝতে বুঝতে সময় লেগে গেছে বেশি। এখন এই কথা আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করছি। আমাকে অবশ্য মৌসুমী অনেক আগে থেকেই বলছে- ‘খামাখাই এসব করো। মনে রেখো, কেউ কারও না।’ এসব করে সত্যি বলতে কোনো লাভ নেই, এখন বুঝছি। প্রচুর টাকা ব্যয় করেছি। আমি আর চাইও না কেউ আমাকে দাওয়াত দিক। আসলে যতই এদিক-সেদিক থাকি না কেন, দিন শেষে পরিবারই সবচেয়ে বেশি আপন। তাই পরিবারে মগ্ন আছি। এর বাইরেও আরেকটা পণ করেছি।

কী সেই পণ? জবাবে ওমর সানী বলেন, ঢাকায় না থাকার পণ। ঢাকাতে এখন সেভাবে এমনিও থাকি না। বসুন্ধরায় যদিও বাসা আছে, তারপর থাকা হয় না বেশি সময়। আমি একটু লোকালয়ে চলে যেতে চাই। এখন গ্রাম বেশি টানে। ঢাকায় যানজটে থাকতে থাকতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।

এদিকে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমীর প্রেমে জড়ান এই অভিনেতা। এরপর ১৯৯৬ সালে বিয়ে করেন তারা। এখন শোবিজের অন্যতম সফল জুটি তারা। এই দম্পতির সংসারে এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তান রয়েছেন। বর্তমানে মৌসুমী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

এসএ-০২/০৬/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

গ্রামাঞ্চলে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায়। এটি আমরা গত এক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশকিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট, বিশেষত ওয়েল বেইজড পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, অর্থ স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটি ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়গুলো সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যেন গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যত দ্রুত পারা যায় ব্যবস্থা করতে। আমরা সেটাই ব্যবস্থা করে এখন একটা ভালো অবস্থায় আছি।

তিনি আরও বলেন, লোডশেডিং এখন কমে গেছে। কারণ, আমি তো প্রতিদিন নিউজ পাচ্ছি। আজকে যদি দেখেন জিরো লোডশেডিং। আস্তে আস্তে কমে আসছে। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আসছে। আমাদের বেশকিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রাখা ছিল। কারণ, জ্বালানি তেলের স্বল্পতা ছিল। যারা তেল আনার কথা তারা আনতে পারছিলেন না। তারা দেরি করছিলেন। যে কারণে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াটের মতো (লোডশেডিং) প্রথম দিকে ছিল। এখন ৫০০ থেকে জিরোর দিকে চলে আসছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে এটি ভালোর দিকে যাবে।

উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।

তিনি বলেন, আমাদের জেনারেশনে যতটুকু প্রস্তুত ছিলাম আমরা সে পর্যন্ত গিয়েছি। তার উপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা ছিল। আমরা করতে পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থান। এ দুটো জিনিসকে সমন্বয় করতে হবে। সেটা করতে আমাদের যে সময়টুকু লেগেছে তখন বেশকিছু জায়গায়, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হয়েছে। সার্বিকভাবে এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো।

এআর-০৫/০৬/০৫ (জাতীয় ডেস্ক)